শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য

আজকে আমরা চলে এসেছি আরও একটি নতুন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে।বিষয়টি হলো শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য এর মধ্যে পার্থক্য কি এবং এগুলো কেন হয়ে থাকে এ বিষয়গুলি নিয়ে। তাই যারা শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ভুগছেন অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল করার চেষ্টা করবেন।

শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য

আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের কিছুটা হলেও আজকে এই বিষয় সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন। চলুন তাহলে আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য এর ভিতর পার্থক্য কি।

শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য

অনেক মানুষ রয়েছে সার্বিক অসুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকে। মানসিক ভাবে সে সুস্থ আছে কিন্তু সে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে তবে এই ধরনের সমস্যা থেকে কিভাবে রেহাই পাবে আজকের এই বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা চেষ্টা করব। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

আরো পড়ুনঃ মানসিকভাবে ভালো থাকার উপায় গুলো জেনে নিন 

শারীরিক স্বাস্থ্য কাকে বলে

শারীরিক স্বাস্থ্য কাকে বলে এ বিষয়টি সম্পর্কে আপনাকে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক শারীরিক স্বাস্থ্য কাকে বলেঃ শারীরিক সুস্থতা বলতে বোঝানো হয়েছে একজন ব্যক্তির দেহ যেকোনো সময় যে কোন কাজ করতে সক্ষম থাকে বা যে কোন কাজ নির্দ্বিধায় করে ফেলতে পারে। আপনি যদি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য খুব বেশি সুস্থ থাকবে ও যেকোনো কাজ করতে সুন্দর একটি অনুভব করতে পারবেন।
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করাঃ এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাদ্য না থাকে তাহলে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে দৈহিক শক্তি পাবেন না বা কাজ করতে পারবেন না।
  • মানসিক চাপ থেকে বিরত থাকেনঃ আপনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে ।
  • ধূমপান বা মাদকঃ বিভিন্ন ধরনের ধূমপান বা মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে
  • শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবেন।
  • পানি খাওয়াঃ আপনাকে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। শরীরের বিভিন্ন ধরনের ঘাটতি থাকলেও পানের ঘাটতি ছাড়া যাবে না এতে আরো বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো অনেক বিভিন্ন ধরনের বিষয় রয়েছে। তবে আপনি এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে শারীরিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারবেন। আশা করছি আজকের এই বিষয়গুলো আপনি মেনে চলবেন এবং শারীরিক স্বাস্থ্য কাকে বলে এ বিষয়টিও বুঝতে পেরেছেন।

মানসিক অসুস্থতার কারণ গুলি কি কি

মানসিক অসুস্থতার কারণ গুলো কি কি এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি প্রশ্ন দেখা যায়। তাই চলুন আজকে সংক্ষিপ্ত ভাষায় আলোচনা করা যাক মানসিক অসুস্থতার কারণগুলো কি কি রয়েছে এই বিষয়গুলো নিয়ে।

আরো পড়ুনঃ মানসিক রোগ কত প্রকার

  • কাজের প্রেসার ঃ অনেক বেশি তাদের প্রেসার পড়লে মানসিক অসুস্থতা লক্ষ্য করা যায়।
  • টেনশনঃ অতিরিক্ত টেনশনের ফলে মানসিক অসুস্থতার অনেক বেশি লক্ষ্য করা যায়।
  • ডিপ্রেশন ঃ এখন প্রায় এই ডিপ্রেশনের কারণেই হাজার হাজার মানুষ মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে।
  • আর্থিক সংকট ঃ আর্থিক সংকটের জন্যও মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আর এখন এ কারণটিও অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।
  • কষ্ট ঃ অতিরিক্ত কষ্টের হলেও মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে এ ধরনের সমস্যা গুলি আমাদের চোখের সামনে অহরহ ঘটে আসছে। তাই অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকেরই লক্ষ্য রাখতে হবে এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে বিরত থাকায়। আশা করছি মানসিক অসুস্থতা কি এবং এর কারণ গুলো কি কি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

মানসিক রোগের শারীরিক লক্ষণ

মানসিক অসুস্থতা থাকতে থাকতেই মানসিক বিভিন্ন ধরনের রোগের জন্ম নিতে শুরু করে। তবে আজকে আমরা জানবো এই মানসিক রোগ হলে শারীরিক কি কি লক্ষণগুলো দেখে বুঝতে পারবে। অনেক সময় মানসিক রোগ হলে শারীরিক কিছু অঙ্গভঙ্গি দেখে বোঝা যায়। চলুন তাহলে মানুষের রোগের শারীরিক লক্ষণ গুলো কি কি জেনে নেওয়াঃ

  • ঘুমের সমস্যাঃ আপনার যদি অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা হয় বা ঘুমের ব্যথা ধরে তাহলে এটি শারীরিক রোগের বিশেষ একটি লক্ষণ। তাই অবশ্যই আপনি এই লক্ষণ গুলি খেয়াল করবেন।
  • অতিরিক্ত শরীর খারাপঃ মানুষের সমস্যা দেখা দিলে অতিরিক্ত শরীর খারাপ হয়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ঃ আপনার যদি মানসিক সমস্যা হতে শুরু করে তাহলে দেখবেন আপনার যে কোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি কমে যাবে।
  • মাথা ব্যথা ঃ মানসিক সমস্যা হলে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা হয়।
  • শক্তি কমে যাওয়াঃ মানসিক সমস্যা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে মানবদেহের শক্তি কমতে শুরু করে।
  • আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া ঃ মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য সবসময় ভীতু অনুভব হওয়া বা আত্মবিশ্বাস কমে যায়।
  • হজমের সমস্যা ঃ মানসিক সমস্যা হলে হজম শক্তি কমতে শুরু করে ।
  • মুখের রুচি কমে যাওয়া ঃ বিভিন্ন ধরনের মানসিক সমস্যার কারণে মুখের রুচি কমে যায় এবং খাওয়া-দাওয়ার অনিহার সৃষ্টি হয়ে যায়।
  • ওজন কমে যাওয়া ঃ আপনার যদি মানসিক সমস্যা হতে শুরু করে তাহলে আপনার অর্জন করিতে শুরু করবে এবং চিকন হতে শুরু করলেন।

এছাড়া আরো অনেক ধরনের শারীরিক লক্ষণ রয়েছে যা দেখে খুব সহজেই আপনি বুঝে যাবেন আপনার মানসিক রোগের আবির্ভাব ঘটছে। তাই অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলি খেয়াল করতে হবে এবং ভালোভাবে এ বিষয়গুলো উপরে জ্ঞান অর্জন করতে হবে । আশা করছি মানসিক রোগের শারীরিক যে সকল লক্ষণগুলো রয়েছে এ বিষয়গুলি আপনি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের মত

আজকে আমরা আলোচনা করেছি শারীরিক অসুস্থতা এবং মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণ গুলো কি কি এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এবং কি কি কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে এ বিষয়টিও বুঝতে পেরেছেন আর্টিকেল পড়ে। 

এছাড়াও মানসিক অসুস্থতা হলে মানসিক কি কি লক্ষণ গুলো দেখা যায় এ বিষয়টিও আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আজকের এই আর্টিকেলটি করে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না আপনি কতটুকু উপকৃত হয়েছেন। কিছু ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url