তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম
প্রিয় পাঠক আশা করছি ভাল আছেন। আজকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা আমাদের প্রত্যেকের জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী। আমরা এই সমস্যাগুলোর কারণে অনেক সময় অনেক বিভ্রান্তকর প্রস্তুতিতে পড়তে হয়। তবে এই ধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আমরা যে সকল ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারি এই ক্রিমগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
চলুন তাহলে আজকের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেনে নেওয়া যাক তৈলাক্তক ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম হিসাবে কোনটি ব্যবহার করতে পারবেন এ বিষয়ে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম
আমাদের অনেকেরই শরীর ও ফ্রেশ অনেক বেশি ঘামে যার ফলে মুখের অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায়। তবে আপনি কিভাবে আপনার মুখ তৈলাক্ত হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন এ বিষয়টি নিয়ে আজকে আলোচনা করব। আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব তৈলাক্তক ত্বকের জন্য সবথেকে ভালো যে সকল নাইট ক্রিমগুলো রয়েছে এগুলো নিয়ে।
তাই অবশ্যই আপনি যদি আপনার ত্বককে ক্লিন ও কমল রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই ধরনের ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে হবে। চলুন তাহলে সেই ক্রিম গুলোর নাম কি কি জেনে নেওয়া যাক।
- ক্লেনজার
- টোনার
- ময়শ্চারাইজার
- স্ক্রাব
- মাস্ক
- সানস্ক্রিন
- নাইট ক্রিম
তাই আপনি যদি এই ধরনের সমস্যায় থাকেন অবশ্যই ক্রিম গুলো ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে এগুলি মুখ যে সময় ঘেমে তৈলাক্ত হয়ে যায় তখন এগুলোর কাজে আসে। এগুলো ব্যবহার করলে আপনার মুখে আর কোন ধরনের তৈলাক্তক ভাব আসবে না এবং আপনার মুখে অনেক সুন্দর ও ফর্সা দেখাবে ।
আশা করছি আপনি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন এ ছাড়া আর আজকে অনেক ধরনের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করব আপনাদের সঙ্গে। চলুন তাহলে আরো কিছু জেনে নেওয়া যাক।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াস ভালো
আমরা আপনাদের সঙ্গে উপরে কিছু নাইট ক্রিম এর সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ও এই নাইট ক্রিম গুলোর নাম আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরেছিলাম। তবে আপনি তৈলাতক ত্বকের জন্য কোন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন এবং কোনটি ভাল হবে এ বিষয়টি নিয়েই আজকের আলোচনা। তাই অবশ্যই আপনি যদি ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকুন।
আজকের এই নিচে যে সকল ফেসওয়াশগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে এগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এর ফলে অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় ত্বকে যেমন ব্রণ, মেস্তা, কালো দাগ, মুখ ঝলসে যাওয়া, মুখের রগ দেখা যাওয়া,
ইত্যাদি আর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন ফেসওয়াশ টি ব্যবহার করবেন আপনি তৈলাক ত্বক দূর করার জন্য।
- জেল বেস্ড ফেসওয়াশ
- অয়েল-ফ্রি ফেসওয়াশ
- নিম ফেসওয়াশ
- হিমালয়া ফেসওয়াশ
ফেসওয়াশ গুলি আপনি রাত্রে ব্যবহার করতে পারেন খুব অনায়াসে। এগুলো ব্যবহার করলে মুখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আশা করছি ত্বকের জন্য ফোন নাইট ক্রিম বা নাইট ফেসওয়াশ ভালো এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ক্রিম ভালো
তাই আপনি যদি আপনার ত্বকে ভালো রাখতে চান অবশ্যই ভালো মানে ফেসওয়াশ বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ফেস ওয়াস ক্রিম ব্যবহার করার সময় তার উৎপাদন তারিখও এক্সপায়ার ডেট দেখে ব্যবহার করতে হবে। যে সকল এক্সপায়ার ডেটের পণ্যগুলো আপনি ব্যবহার করবেন এগুলো আপনার তোকে অনেক ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই অবশ্যই যেকোন ক্রিম বা ফেসওয়াশ কেনার সময় তার মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ টি দেখে কিনবেন।
আপনি যেকোন ফেসওয়াশ কেনার আগে বা ক্রিম কেনার আগে অবশ্যই ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। বাজারে অনেক ধরনের পাওয়া যায় যেগুলো আপনার চোখে সঙ্গে নাও মিলতে পারে। তাই আপনি যখন ফেসওয়াশ বা ক্রিম কিনবেন অবশ্যই ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে যেটি ভালো সেটি কিনবেন।
তবে এই ক্রিমগুলি ক্লেনজার,টোনার,ময়শ্চারাইজার,স্ক্রাব,মাস্ক,সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে অনেক ভাল ফলাফল পাবেন।
তৈলাক্ত ত্বকের ঘরোয়া নাইট ক্রিম
বা ফেসওয়াশ তৈরি করতে পারেন এটি আপনার সৌন্দর্য আরো বেশি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
চলুন তাহলে কিভাবে আপনি বাসাতেই নাইট ক্রিম তৈরি করবেন এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
পাউডার ও টুথপেস্টঃ
- আপনি চাইলে আপনার বাসার টুথপেস্ট ও পাউডার দিয়ে খুব সহজে আপনি ফেসওয়াশ তৈরি করতে পারবেন এই দুইটি একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে যদি আপনি ভালোভাবে প্রতিদিন ব্যবহার করতে থাকেন অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এবং দেখবেন আপনার মুখে তৈলাক্তক ভাব গুলো দূর হবে খুব সহজে।
লেবু ও চিনিঃ
- লেবু ও চিনি আপনি একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট করে ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের মৃত কোষ জীবিত হতে সাহায্য করবে এবং আপনার চেহারাটা আরো বেশি লগনময় করে তুলবে।
- চিনি আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের মৃত কোষ কে বাঁচাতে সাহায্য করে এবং লেবু আমাদের ত্বকের যে সকল কালো দাগ রয়েছে এগুলো দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনি চাইলে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আলু ও চিনি হলুদঃ
- এগুলোর সঙ্গে মিস করে যে পেস্টটি তৈরি হবে এটি আপনার ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকৃত একটি ফেসওয়াশ হতে পারে। কারণ আমরা সকলেই জানি আমাদের ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলো প্রত্যেকটি জিনিসই আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনি চাইলে এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
কমলার খোসা ও চিনিঃ
- এটিও আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি উপাদান । আপনি চাইলে এগুলো মেহেরপুরে পিষে পেস্ট করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন দেখবেন অনেক ভালো উপকার পাবেন।
আপনি যদি এ কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে আপনার ত্বকের জন্য খুব সুন্দর একটি ফেসওয়াশ হতে পারে এগুলি। তাই আপনি যদি আপনার পক্ষে আরো সুন্দর ও ত্বকের তৈলাত্মক ভাব দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই এগুলি ব্যবহার করতে পারেন।
কারণ এগুলো হলো প্রত্যেকটি প্রাকৃতিক উপাদান ও প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি যার ফলে এগুলো থেকে সাইড ইফেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । আশা করছি কিভাবে আপনি ঘরে বসেই ঘরোয়া উপায়ে ফেসওয়াশ তৈরি করবেন এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
লেখক এর মতামত
আজকে আমরা আলোচনা করেছি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো নাইট ক্রিম। আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি কিভাবে আপনি ঘরে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসওয়াশ তৈরি করবেন এ বিষয়টিও আলোচনা করেছি। আজকের আলোচিত বিষয়গুলি আপনি যদি সহকারে ভালোভাবে পড়ে থাকেন অবশ্যই আজকের বিষয়গুলি মেনে চললে ভালো ফলাফল পাবেন।
এছাড়াও আপনি যখন বাজারে যেকোন ফেসওয়াস বা নাইট ক্রিম কিনতে যাবেন অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন এবং এর ডেট দেখে কিনবেন। না হলে এর উপকারের থেকে প্রতি বেশি হতে পারে। তবে আমার মতে যে কোন ফেসওয়াশ বা ক্রিম ব্যবহার করার আগে ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
এছাড়া আপনি যদি ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে থাকেন তাহলে কোন বিপদে আশঙ্কা থাকবে না। তাই কিছুটা সময় লাগলেও আপনি চাইবেন ঘরা পদ্ধতি অবলম্বন করতে। আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি যদি উপকৃত হন অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না আপনি কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছেন আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url