মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

আমরা নিত্য নতুন প্রয়োজনের ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের কি কি ক্ষতিগুলো হচ্ছে এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিত। মোবাইল ফোন আমাদের যেরকম উপকার করছে সময় বাঁচাচ্ছে ইত্যাদি ঠিক তেমনভাবে এটি আমাদের ক্ষতিও করছে। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে যে সকল ক্ষতিগুলো হচ্ছে।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

আমরা সাধারণ মানুষ এই বিষয়গুলো। আপনিও যদি মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি রয়েছে এই বিষয়টি।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো

আমরা সকলেই জানি মোবাইল ফোন আমাদের জীবনধারাকে অনেকটাই উন্নতির দিকে প্রবাহিত করেছে। ঠিক তেমনভাবেই এটির ক্ষতি কর দিকগুলো আমাদের উপরে প্রভাব ফেলেছে। তবে এ মোবাইল ফোনে কি কি অপকারিতা রয়েছে বা কি কি ক্ষতি হতে পারে এই বিষয়গুলি আজকে আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।

আরো পড়ুনঃ বৈদ্যুতিক বাতির বিবর্তনের চমকপ্রদ ইতিহাস

  • মাথা ব্যথাঃ অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে অকারণে মাথা ব্যথা সৃষ্টি হয়। কিন্তু আপনারা বুঝতে পারেন না এ মাথাব্যথা কি জন্য হয়ে থাকে। আপনি নিজেই ভাবলেই এর উত্তরটি পেয়ে যাবেন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এই মাথা ব্যাথার সমস্যা দেখা দেয়।
  • স্মৃতিশক্তি হয়ঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আমাদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। এমনও পর্যায়ে আপনি স্মৃতিশক্তি হারাতে পারেন।
  • স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগায়ঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শরীর স্বাস্থ্য নষ্ট হতে শুরু করে। এবং আপনি যতই ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খান না কেন আপনার সুস্বাস্থ্য কখনোই হবে না।
  • চোখের ক্ষতিঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের জ্যোতি শক্তির সমস্যা হয় কেবল চোখের নিচে কালো দাগ লক্ষ্য করা যায়।
  • খিটখিটে মেজাজঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে খিটখিটে মেজাজ হয়ে যায়। এই খিটখিটে মেজাজ হওয়ার কারণ হলো মাথায় পানি সল্পতা।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অপাপ্তবয়স্ককে চুল উঠার সম্ভাবনা থাকে।।
  • রক্তস্বল্পতাঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শরীরের রক্তস্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি এই অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করা থেকে থাকবেন।
  • মানসিক রোগীঃ কেউ যদি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাহলে মানসিক রোগী তে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • ঘুমের ব্যথাঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
  • শ্রবণ ত্রুটিঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে আপনার শ্রবণ ত্রুটি হতে পারে।
  • ত্বকের সমস্যাঃ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন ত্বকের চামড়া ঝলসে যাওয়া বা বিভিন্ন ধরনের ফসরা।
  • অলসতাঃ দেখা যায় যারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রতি অমনোযোগিতা তো অলসতা সৃষ্টি হয়।

আরবি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে মোবাইল ফোন ব্যবহার করায়।তাই আমরা চেষ্টা করব যতটা কম মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও যারা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের এই ধরনের সমস্যা গুলো লক্ষ্য করবেন দেখবেন মিলে গিয়েছে। এবং ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার লক্ষ্য করতে পারবেন। তবে এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কিছু সুবিধা রয়েছে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যায়।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুবিধা

আমরা সকলেই জানি মোবাইল ফোন আমাদের জীবনধারা কতটা উন্নত করেছে। তবে কিছুক্ষণ আগে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তো এখন আমরা আলোচনা করব মোবাইল ফোনের যে সকল উপকারী ও সুবিধা দিকগুলো রয়েছে এই বিষয়গুলো। 

আরো পড়ুনঃ মাউস কত প্রকার ও কি কি

সব থেকে বড় সুবিধা হল একসময় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য পাঠাতে অনেক সময়ের ব্যবধান ছিল। তবে এ মোবাইল ফোন এসে তা কিছু মিনিটের বা কিছু সেকেন্ডের ভেতরে করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে। কিছু মিনিটের ভিতরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। এছাড়াও মোবাইল ফোনের যে সকল উপকারিতা গুলো রয়েছে তা আপনাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোনের সুবিধা গুলো কি কি রয়েছে এই বিষয়টি।

  • খেলাধুলাঃ একটা সময় ছিল যখন ছোট বাচ্চার খেলাধুলা করতে গেলে মাঠের বিভিন্ন কারণে হাতে পায়ে চোট লাগত। এবং হাত-পা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকতো।তবে এই মোবাইল ফোনটি এসে ঘরের মধ্যে একই স্থানে বসেই খেলাধুলা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে ওই ধরনের কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না।
  • তথ্য আদান প্রদানঃ কিছু সময়ের মধ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। যা এই মোবাইল ফোন আসার আগেই ছিল না।
  • ডিজিটাল ওয়ালেট হিসাবঃ আপনি চাইলে আপনার স্মার্টফোনকে ডিজিটাল ওয়ালেট হিসাবের ব্যবহারে করতে পারেন। এতে কার্ডও ড্রয়িং পাশ টিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য হিসাব করে রাখতে পারেন।
  • ছবি তোলারঃ এক সময় ফোন না থাকার কারণে কোন প্রয়োজনে ছবি তুলতে হলে ক্যামেরার প্রয়োজন হতো কিন্তু তখন এই ক্যামেরাও ততটা প্রচলন ছিল না। থাকলেও সাদাকালো ক্যামেরা দেখা যেত। তবে এখনকার সময়ে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে যেকোনোভাবে ছবি তুলতে পারবেন।
  • বিভিন্ন নথিপত্র স্ক্যান করাঃ অনেক নথিপত্র কেউ আর কোডে সংরক্ষিত করে রাখা হয়। যা আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে ইফতার করে খুব সহজে দেখতে পারবেন।
  • বিভিন্ন ধরনের বিল প্লেঃ আপনার প্রয়োজনীয় যে সকল ব্যবহৃত বিল প্লে করার দরকার হয় এগুলি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন।
  • ম্যাপ দেখাঃ এক সময় ম্যাপ ছিল কাগজের উপরে তাকানো সেই ম্যাপ দেখে এগোতে হতো। কিন্তু এখনকার সময়ে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনে জিপিএস ট্র্যাকার যেটি ব্যবহার করা হয় এটি সাহায্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি যে কোন স্থানে ম্যাপ দেখে চলে যেতে পারবেন। এবং এটি আপনাকে রাস্তাও দেখাতে সক্ষম।
  • কর্মব্যবস্থাঃ আগে কর্মব্যবস্থা অনেক বেশি জটিল ও কঠিন ছিল তবে এখন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে আপনার কর্ম ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।

এছাড়াও মোবাইল ফোনের আরো অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে যা বলে শেষ করার মতো না। তাই আপনিও যদি মোবাইল ফোনের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে অবশ্যই মোবাইল ফোনের সুবিধা গুলো কি কি জানেন। এবং এই ফোনের যে সকল ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে এ সম্পর্কেও কিছুটা ধারণা দিতে পেরেছি। আশা করছি মোবাইল ফোনে যে সকল উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে এ বিষয়টি আপনার বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের নীতিমালা

আমরা হয়তো সকল জিনিসের নীতিমালা সম্পর্কে জানি। ঠিক অন্যান্য জিনিসের মত এই ফোন ব্যবহারের ও কিছু নীতিমালা রয়েছে।আপনি যদি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তবে অবশ্যই আপনাকে এর নীতিমালা সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। আপনি যদি নীতিমালা না মেনে মোবাইল ব্যবহার করেন তাহলে হতে পারে বড় ধরনের ক্ষতি। 

এর কারন হচ্ছে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে গিয়েছে মোবাইল ফোন। আর এই মোবাইল ফোন প্রত্যেকটি মানুষের বাসায় বা কর্মস্থলে রয়েছে। তবে সবারই জানা দরকার যে এ মোবাইল ফোন ব্যবহার করার যে সকল নীতিমালা গুলো রয়েছে এই বিষয়টি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মোবাইল ফোন ব্যবহার করার নীতিমালা গুলো কি কি রয়েছে। 

একটানা অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা যাবে না। আপনি যখন মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন তখন আপনার সহ আপনার মোবাইল ফোনের অনেক সমস্যা দেখা দিবে। যেমন মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ক্ষমতা কমে যাওয়া মোবাইল ফোনের ডিসপ্লের আলো কমে যাওয়া। মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ডের সমস্যা । মোবাইল চার্জ একদম শেষ না করা। 

গরম অবস্থায় ফোন চার্জে না দেওয়া।চার্জে দিয়ে মোবাইল ফোন না ব্যবহার করা। ইত্যাদি এই সকল বিষয়গুলো অবশ্যই আপনি মেনে চলার চেষ্টা করবেন। তাহলে আপনার মোবাইল ফোনের হেল্প ও আপনার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। আশা করছি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আপনাদের মোবাইল ফোনের নীতিমালা সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করতে পেরেছি। মোবাইল ফোনের নীতিমালা সম্পর্কে আরো একটি আর্টিকেল লেখা হবে চাইলে করে আসতে পারে।

লেখকের মতামত

আমরা সকলে জানি আমাদের এখন জনপ্রিয় তথ্য আদান-প্রদানের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো মোবাইল ফোন। এছাড়াও মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সহজেই প্যাকেজ স্থান থেকে অন্য স্থানে সংবাদ নিতে পারছি। আমরা আলোচনা করেছি মোবাইল ফোনে যে সকল ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে এগুলি সম্পর্কে তাই অবশ্যই আপনি এই মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর দিকগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। 

এবং এর উপকারিতা গুলো কি কি এ বিষয়টিও আলোচনা করেছে। আশা করছি আপনি যদি আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন আপনি নিজেই মূল্যায়ন করতে পারবেন এই ফোনটি আপনার জন্য কতটা উপকার ও কতটা ক্ষতিকর। 

আর্টিকেলটি করে আপনি যদি উপকৃত হন অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন যেন তারা উপকৃত হতে পারে এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না আপনি কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url