নিজেকে স্মার্ট করে তোলার উপায় গুলো জেনে নিন

প্রত্যেকটি মানুষ চাই যেন তাকে সবার থেকে একটু আলাদা মনে হয়। এজন্য সবার থেকে একটু আলাদা হওয়ার জন্য নিজেকে স্মার্ট করে তোলার প্রয়োজন। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে আমি কিছু তথ্য তুলে ধরব যেগুলো আপনি অবলম্বন করে আপনাকে আরো বেশি স্মার্ট করে ফেলতে পারবেন। তাই আপনি যদি সবার নজরে আকৃষ্ট হতে চান বা স্মার্ট হতে চান তাহলে আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়া চেষ্টা করবেন । 

আজকের এই পোস্টটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়তে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আপনাকে স্মার্ট করে তুলতে পারবেন। স্মার্ট করতে নিজের কিছু দক্ষতার প্রয়োজন দরকার। আপনি স্মার্ট হতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনার ভিতরে স্মার্ট হওয়ার যে গুণগুলি থাকা দরকার সেগুলো নেই। বা ভিতর থেকে কোন ফিল নেই। 

তাই অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আপনিও অন্যদের মতো স্মার্ট হয়ে যাবেন। আর স্মার্ট হতে যে সকল বিষয়গুলি জানা দরকার সেগুলি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে আপনি কিভাবে নিজেকে স্মার্ট করে তুলবেন জেনে নেওয়া যাক।

নিজেকে স্মার্ট করে তোলার উপায়

নিজেকে স্মার্ট করে তোলার উপায় যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেক বেশি উপকারী হতে চলেছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে আপনি আপনাকে স্মার্ট করে তুলবেন। এর কারণ হচ্ছে এখন প্রত্যেকটি পদক্ষেপে স্মার্ট মানুষ ছাড়া কোন কাজ নেই। 

আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

তবে স্মার্ট হতে গেলে কি কি গুন গুলো থাকা দরকার সেগুলি আপনার সঙ্গে আলোচনা করব। আপনি যদি এই ধরনের গুণগুলি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আজকে যে বিষয়গুলি আলোচনা করব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করবেন।

• মানুষকে জ্ঞান দেওয়াঃ কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত জ্ঞান দিতে পছন্দ করে। কিন্তু এই অতিরিক্ত জ্ঞানের ফলে মানুষের কাছে সে মূল্যহীন হয়ে পড়ে। তাই আপনি যদি এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বা মানুষকে অযথা যুক্তি দিতে পছন্দ করেন তাহলে এই কাজটি ত্যাগ করুন। অতিরিক্ত যুক্তি বা পরামর্শ অনেকেই পছন্দ করে না। এর ফলে আপনাকে হ্যাংলা মনে করতে পারে তাই মানুষকে জ্ঞান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

• নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসঃ আপনি যখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাবে তখন আপনি নিজে নিজেই স্মার্ট স্মার্ট ভাব পাবেন। এর কারণ হচ্ছে আপনি যখন বুঝতে পারবেন বা নিজের ফেল করবেন আপনি স্মার্ট হচ্ছেন তখন অন্য কেউ স্মার্ট না বলুক আপনি নিজে নিজেকে স্মার্ট বলতে বাধ্য হবেন। আর যখন আপনি আপনার কাছে স্মার্ট হতে পারবেন। তখন আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সবার কাছে স্মার্ট মানুষ হিসাবে বিবেচিত হবে।

• জামা কাপড় পরিধানঃ দামি জামা কাপড় মানুষের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলে না। আপনি যদি আপনার স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পরিবারেই থাকতে হবে। আপনি যদি আপনাকে পরিষ্কার রাখেন তাহলে আপনার ভিতরে এমনিতেই স্মার্টনেস কাজ করবে।

• মানুষকে সাহায্য করাঃ আপনি যখন মানুষের সাহায্য করবেন তখন আপনার মধ্যে ভালো লাগলো কাজ করবে। এবং আপনি যখন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন সাহায্য করবেন। তখন আপনি এমনি মানুষের কাছে স্মার্ট হয়ে উঠতে পারবেন।

• ভালো মন-মানসিকতাঃ আপনার যদি ভালো একটি মন মানসিকতা থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে আপনি একটি ভাল মানুষ বা ভালো মূল্য পেতে শুরু করবে। আর এই ভালো মূল্য পাওয়াটাই আপনার স্মার্টনেস হিসাবে কাজ করবেন।

• শান্ত থাকার চেষ্টাঃ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন কাজে বহুতহাট করে রেগে যায়। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি যদি স্মার্ট হতে চান তাহলে অবশ্যই এই হুট করে রেগে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এর কারণ হচ্ছে রেগে যাওয়া মানুষের স্মার্টনেস বৃদ্ধিকরে না। তাই শান্ত থাকা অত্যন্ত জরুরী যে কোন অবস্থায়।

• অন্যের প্রশংসা করাঃ আপনি যখন খোলা মনে অন্যের প্রশংসা করবেন তখন তাকে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগবে। এবং আপনি তার কাছে একটি বিশ্বস্ত লাভ করবেন এবং স্মার্ট হতে পারবেন। তাই স্মার্ট হতে চাইলে মানুষকে ছোট করে না দেখে তাদের প্রশংসা করবেন।

• রূপগত সুন্দর হওয়াঃ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ রয়েছে তারা তাদের স্মার্টনেস বৃদ্ধি করার জন্য রূপ গত সুন্দর হওয়ার চেষ্টা করে। রূপগত সুন্দর হলে মানুষেরে স্মার্টনেস বৃদ্ধি পায় না। বড় আপনার ব্যবহারে চলাফের আপনার স্মার্টনেস বৃদ্ধি পায়।

স্মার্ট হওয়ার সাইকোলজি

উপরে যে সকল বিষয় গুলি আলোচনা করেছি শুধু এগুলো লক্ষ্য করলে যে আপনি স্মার্ট হতে পারবেন এটি নয় বরং স্মার্ট হওয়ার সাইকোলজি কিছু টিপস রয়েছে। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব স্মার্ট হওয়ার জন্য সাইকোলজি যেসব টিপস গুলো রয়েছে এগুলি তুলে ধরা। একটি ব্যক্তি যখন স্মার্ট হতে চাই তাকে বিভিন্ন ধরনের স্টেপ পার করতে হয়। 

আরো পড়ুনঃ নিজেকে পরিবর্তন করার ১০ টি গোপন উপায়

তবে হতে পারে সেটি সাইকোলজি ফিজিক্যালি। আশা করছি এ বিষয়টি বুঝেছেন। কারণ হচ্ছে অনেক সময় সাইকোলজি বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে ফিজিক্যালি বিষয় থেকে। এটি বলারও কারণ রয়েছে কখনো কখনো দেখবেন এমন এমন লোক রয়েছে যারা কোন কাজ করে না কিন্তু মানুষের চোখে অনেক স্মার্ট। এর একমাত্র কারণ হচ্ছে সাইকোলজি ইফেক্ট। 

যারা সাইকোলজির বিষয়ে অনেক ভালো জ্ঞান রাখে তাদের কাছে স্মার্ট হওয়াটা কোন বিষয় না।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক স্মার্ট হতে চাইলে সাইকোলজি কি কি বিষয়গুলি লক্ষ্য করতে হয়। সাইকোলজি বলতে আবেগ কত ভাবে বোঝানো হয়েছে। আপনি যখন কারো কাছে স্মার্ট হতে চান তাহলে তাকে কিছু আবেগ গত বিষয় দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করুন। 

বুদ্ধি খাটিয়ে তার সঙ্গে চলার চেষ্টা করুন। অনেক সময় রয়েছেন বুদ্ধি না খাটিয়ে চললে গাধার মতো সারাদিন কাজ করলেও আপনি স্মার্ট হতে পারবেন না। বরং আপনাকে দিয়েছে কাজ করাতে থাকবে গাধার মত করে। তাই অবশ্যই আপনি যেখানে কাজ করার প্রয়োজন সেখানে কাজ করবেন। যেখানে বুদ্ধি খাটানোর প্রয়োজন সেখানেই বুদ্ধি খাটাবেন। আমাদের কাজ করার থেকে সমাজের লোককে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করানোকে কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

তাই অবশ্যই আপনি আপনার বুদ্ধি কাজে লাগাবেন। এটি আপনাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্মার্ট করে তুলবে। আপনি যখন ওই লোকের সঙ্গে কথা বলবেন বোঝার চেষ্টা করবেন সে লোক কি বলতে চাচ্ছে এবং কি বোঝাতে চাচ্ছে। তার কথা শেষ না হতে আপনি তাকে সুন্দর করে তার কথাটি বুঝিয়ে ফেলতে পারলে আপনি তার কাছে অবশ্যই স্মার্ট হিসাবে গণ্য হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

স্টাইলিশ হওয়ার উপায়

স্মার্ট হতে চাইলে আরো একটি সবথেকে বড় বিষয় হলো স্টাইলিশ হওয়া। আপনি স্মার্ট হতে চাইলে স্টাইলিশ না হলে স্মার্ট হতে পারবেন না। তবে কখনো কখনো এই স্টাইলিস্ট হওয়াটা স্মার্ট হওয়া ক্ষেত্রে কাজে আসে না। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন জায়গায় আপনি যদি স্টাইলিস্ট না হন তাহলে স্মার্ট হিসাবে গণ্য করতে পারবেন না। চলুন তাহলে স্টাইলিশ হওয়ার উপায় জেনে নেওয়া যাক।

• চুলের কাটিংঃ অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের চুলের কাটিং ব্যবহার করে স্মার্ট হিসাবে গণ্য করতে চায়। কিন্তু আপনি মাথায় রাখবেন যে কোন কাটিং স্মার্টনেস বৃদ্ধি করে না। বরং সুন্দর একটি নম্র ভদ্র কাটে যেটা সমাজে চলা যায় বা দেখতে আপনাকে মানায় এ ধরনের কাটিংটি ব্যবহার করবেন। এ ধরনের কাটিং ব্যবহার করলে আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ও স্মার্টনেস বৃদ্ধি পাবে।

• জামা কাপড় পরিধানঃ অনেক মানুষ রয়েছে তাদের স্মার্টনেস মানুষের সঙ্গে ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের কালার ও রং বেরঙ্গের কাপড় পরে ।তবে আপনি মনে রাখবেন এই ধরনের রঙ্গিন কাপড় আপনার স্মার্টনেস বৃদ্ধি করতে পারবে না। কারণ মানুষ এই ধরনের কাপড়-চোপড় পছন্দ করে না । আপনি স্মার্ট হতে চাইলে বা স্টাইলিশ হতে চাইলে অবশ্যই সিম্পল কাপড় পড়ার চেষ্টা করতে হবে এবং কাপড়টি যেন সবার কাছে ভালো মনে হয় এরকম করতে হবে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি মানুষের কাছে স্টাইলিশ ও স্মার্টনেস হয়ে উঠতে পারবেন।

• অতিরিক্ত গল্প করাঃ এ ধরনের কাছ থেকে আপনাকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে । এর কারণ হচ্ছে আপনি যখন অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে শুরু করবেন এবং আপনি বিভিন্ন ধরনের গল্প গুজবে দেশি মগ্ন হয়ে পড়বেন তখন আপনি মানুষের কাছে সামান্য মানুষ হিসেবে গণ্য হতে শুরু করবেন। আপনি যখন আপনার মোটিভেশন কে ধরে রাখবেন এবং কথা কম বলবেন কম মানুষের সঙ্গে চলাফেরা করবেন। এগুলো থেকে স্মার্টনেস বৃদ্ধি পায় এবং আপনার উপরে মানুষের কতহল জাগতে শুরু করে।

স্মার্ট হওয়া প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রয়োজন এটি আমাদের বিভিন্ন কাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।স্মার্টনেস মানুষ এই না যে আপনার সবার কাছে হিরো কিংবা অন্য কিছু। স্মার্টনেস হল আপনার মানুষের কাছে একটু অন্যরকম ভাবে উপস্থাপন করা। মানুষ আপনার থেকে উপকৃত হবে ক্ষতি হবে না এইরকম বিষয়কে বোঝায়। তাই অবশ্যই আপনি যদি স্মার্ট ধরে রাখতে চান তাহলে এই বিষয়গুলি মেনে চলতে পারেন।

লেখক এর মতামত

স্মার্ট সবাই হতে চায় কিন্তু কয়জন আর হতে পারে। একমাত্র কারণ হলো সঠিক সময়ে সঠিক কাজ। আপনি যতদিন সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করতে পারবেন ততদিন মানুষের কাছে স্মার্ট হিসাবে গণ্য হবেন না। এর কারণ হচ্ছে আপনি আপনাকে উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকেন। আগে আপনি আপনার উপস্থাপন করাটি সুন্দরভাবে বুঝুন। 

আর সস্তা মোটিভেশন দেওয়া বন্ধ করুন । এর কারণ হচ্ছে অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানুষের অতিরিক্ত মোটিভেশন দিতে পছন্দ করে কিন্তু এ ধরনের মানুষকে অনেক পছন্দ করে না । তাই এ কাজগুলো করা থেকে অবশ্যই বঞ্চিত থাকবে। এই স্মার্টনেস মানুষের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

আপনি যতই পড়ালেখা শিক্ষিত হন না কেন আপনার মধ্যে যদি স্মার্টনেস ভাব থাকে তাহলে আপনার ওই পড়ালেখার কোন দাম নেই। এখন যে কোন জায়গায় স্মার্ট মানুষদের বেশি আগ্রহ করে কারণ তারা সব কাজে পারদর্শী হয় । এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন অবশ্যই আপনার পরিচিত শেয়ার করবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।