জেনে নিন মনোবিজ্ঞান কাকে বলে ? মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা বিস্তারিত আলোচনা
মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহঃপ্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব মনোবিজ্ঞান এর সম্পর্ক নিয়ে । আসলে মনোবিজ্ঞান কি? মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি । এই ধরনের প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনি হয়তো খুঁজে বেড়াচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না । আশা করি আমার এই পোস্টটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন । তাহলে
মনোবিজ্ঞান কাকে বলে ?
মনোবিজ্ঞান হলো মানুষ ও প্রাণী আচরণ ও মানসিক ক্রীড়া সম্পর্কে বিজ্ঞানসম্মত পর্যালোচনাই হলো মনোবিজ্ঞান।মনোবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু কি কি ? মনোবিজ্ঞান হলো মূলত মানুষ ও প্রাণীর আচরণের এবং তাদের মানসিক প্রতিক্রিয়া এগুলোকে বিষয়বস্তু বলে বিবেচনা করা হয় (ফ্রাইডার এবং তার সহপাঠীগণ ১৯৯৩) মানসিক প্রতিক্রিয়া বলতে বোঝায় পেশা শিক্ষা স্মৃতি প্রসন আগে চিন্তা স্বপ্ন বিশ্বাস প্রকৃতি এগুলোকে প্রতিক্রিয়া বোঝায়
আরো পড়ুনঃ সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে
মনোবিজ্ঞানের মূল বিষয় হলো দুইটি আচরণ ও মানসিক প্রতিক্রিয়া
এছাড়াও মনোবিজ্ঞানে আরো ১৪ টি আচরণগত বিষয় রয়েছেঃ
১।শিক্ষণ
২।ব্যক্তিত্ব
৩।বুদ্ধি
৪।স্মৃতি ও বিস্মৃতি
৫। অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি
৬। স্নায়ুতন্ত্র
৭। প্রত্যাক্ষণ
৮। সামাজিক পরিবেশ
৯। আচরণের অস্বাভাবি
১০। শিক্ষাক্ষেত্রে আচরণ
১১। প্রাণী আচরণ
১২। উপদেশনা ও নির্দেশনা
১৩। শিশু আচরণ
১৪। শিল্পক্ষেত্রে আচরণ
মনোবিজ্ঞানের উদ্ভব
১৮৭৫সালে মনোবিজ্ঞানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দুটি বিজ্ঞানী কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। বিজ্ঞানী দুইটার নাম উইলিয়াম জেমস ও উইলহেম উন্ড ।(১৮৭৫-১৯০০) সাল থেকে ২৫ বছরের মধ্যে মনোবিজ্ঞান তার নিজস্ব ধারনা চলে আসে। মনোবিজ্ঞানে আরও একটি নাম সাইকোলজি(Psychology) এই শব্দটি
আরো পড়ুনঃ সমাজবিজ্ঞান এর সংজ্ঞা
বিশ্লেষণ করলে এর দুইটি অর্থ প্রকাশ পায়
সাইকোলজি শব্দের উৎপত্তি গ্রীক শব্দ থেকে। মনোবিজ্ঞানের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন রকমের মত প্রদান করেন । এই নানা রকম মতের কারণে উদ্ভব ঘটেছে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির ।মনোবিজ্ঞানের ৫ টি প্রধান দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে১। জৈব মনোবিজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি।
২। মনোগতীয় ও দৃষ্টিভঙ্গি ।
৩। আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গি।
৪। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি।
৫। জ্ঞানী ও দৃষ্টিভঙ্গি।
দৃষ্টিভঙ্গি গুলো বিভিন্নভাবে আলোচনা করার জন্য আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে। দৃষ্টিভঙ্গি গুলো পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত। কোন সময় কোন কোন দৃষ্টিভঙ্গি অন্যগুলোর চেয়ে বেশি ব্যবহারিত হয়। কিন্তু তাদের সবগুলোই কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য থাকে তবে এভাবে চিন্তা করা ঠিক
যে আচরণ ও মানসিক প্রতিক্রিয়ার মত জটিল বিষয় অনুধাবনে প্রত্যেকটি দৃষ্টিভঙ্গি একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। যার মাধ্যমে মানুষ সহজেই সেটা পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
মনোবিজ্ঞানের শাখা সমূহঃ
সময়ের পরিবর্তনের সাথে বিজ্ঞানের অগ্রগতি উন্মোচিত হয়ে মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন দিক প্রসারিত হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সেজন্যই সৃষ্টি হয়েছে মনোবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা। মনোবিজ্ঞানের প্রধান শাখা গুলি হল ১৪ টিঃ
১। সাধারণ মনোবিজ্ঞান
২। পরীক্ষণ মনোবিজ্ঞান
৩। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
৪। শিক্ষা মনোবিজ্ঞান
৫। শিল্প মনোবিজ্ঞান
৬। কাউন্সেলিং মনোবিজ্ঞান
৭। বিকাশ মনোবিজ্ঞান
৮। শিশু মনোবিজ্ঞান
৯। সমাজ মনোবিজ্ঞান
১০। শরীরবৃত্তীয় মনোবিজ্ঞান
১১। নির্দেশনা মনোবিজ্ঞান
১২। প্রকৌশল মনোবিজ্ঞান
১৩। অস্বভাবি মনোবিজ্ঞান
১৪। পরিসংখ্যানমূলক মনোবিজ্ঞান
লেখক এর মতামত
মনোবিজ্ঞান এমন একটা বিজ্ঞান যা পড়লে আমরা মানুষ ও প্রাণীর আচরণগত দিকগুলি সহজেই বুঝতে পারে তাই আমাদের সকলেরই উচিত মনোবিজ্ঞান বইটি পড়া এতে করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো কাজকর্ম সহজ করবে ও সহজ ভাবে বুঝতে সহায়তা করবে তাই আমাদের সকলের উচিত মনোবিজ্ঞান বইটি পড়া।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url