মানসিক রোগী চেনার উপায় সাধারণত অনেক রয়েছে । এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকের আলোচনাটি সাজানো হয়েছে । আজকের আলোচিত বিষয়ের মধ্যে জানবেন কিভাবে মানসিক রোগী চিনবেন । কি করে বুঝবেন সে মানসিক রোগে ভুগছেন। মানসিক রোগ থেকে মুক্তি
পাওয়ার উপায় ও সমাধান । এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আর দেরি না করে কি কি বিষয়ে আমরা এই ধরনের রোগীগুলোকে চিনব তা জেনে নিন ।
মানসিক রোগের কারণ
মানসিক রোগের কারণ,আমরা সাধারণত অনেক ধরনের মানুষ দেখে থাকি তারা সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করে না । বা সাধারণ মানুষের থেকে আচরণে অনেক ধরনের বৈষম্যতা লক্ষ্য করা যায়। চলুন তবে এদের এ ধরনের সমস্যা কারণ গুলো কি কি জেনে নিই। মানসিক রোগী কে এক ধরনের অসুস্থ
ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত করা যায়। এর কারণ হচ্ছে একটা মানুষ যখন মানসিক রোগী হয়ে যায় । তখন তার কাজকর্ম আর সুস্থ মানুষের মতো থাকে না । এ মানসিক রোগী হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে । যেমন অতিরিক্ত প্রেসার, প্রেসার বলতে মানুষের প্রেসার এটা না সংসারিক , শারীরিক , মানসিক , ইত্যাদি বিষয়ের জন্য মানুষ ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত হয় ।
- কেউ কেউ ভালোবাসা থেকে ব্যর্থ হয়ে পাগলের মতো আচরণ করে এগুলো কেউ এক ধরনের মানসিক রোগীর মধ্যে বিবেচিত করা হয়।
- হঠাৎ ভয় পেয়ে গেলে কেউ এরকম হয়ে যায় ।
- মস্তিষ্ক জনিত রোগের কারণে ।
- অতিরিক্ত নেশা দ্রব্য পান করলে ।
এছাড়াও আরো অনেক কারণে মানুষ মানসিক রোগীতে পরিণত হচ্ছে । যা আমাদের দেশে বা প্রবেশ ভয়াবহ রূপ দান করছে । মানসিক রোগী আরো বেশি দেখা যায় । কেউ যদি ভালোবাসায় ব্যর্থ হলে এ ধরনের মানসিক রোগী অনেক দেখা যায় । তারা একসময় পাগলে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।
মানসিক রোগ কত প্রকার
সাধারণত সবাই মানসিক রোগী দেখে থাকি । এই মানসিক রোগীদের মধ্যেও রয়েছে প্রকারভেদ । যা আপনি এতদিনও জানতেন না । মানুষের রোগী রয়েছে অনেক ধরনের । আমরা আজ থেকে ২ , ৩শ বছর আগের কথা বলতে গেলে বোঝাই । মানসিক রোগী তারাই ছিল রাস্তাঘাটে বা পথে-বান্ধরে কোন
দিশাহীনভাবে ঘুরে বেড়াতো এমন পাগল। তবে এই রোগীদের সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে আচার ব্যবহার ও রোগের নীতি । শুরু থেকেই মানসিক রোগীকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে ।১Psychotic Illness ও ২ নাম্বার neurotic Illneরুন।
মানসিক রোগীদের প্রকারভেদ করতে গেলে প্রথমত আসে অন্তর্দৃষ্টি । অন্তর্দৃষ্টি মানে অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতনতা । এর মানে হচ্ছে সে রোগী ভাবে তিনি কি অসুস্থ না সুস্থ এই নিয়ে কনফিউজ থাকে । তাহলে জানা গেল মানসিক রোগী দুই প্রকার সাধারণত হয়ে থাকে ।
মানসিক রোগী চেনার উপায়
মানসিক রোগী চেনার অনেক ধরনের উপায় রয়েছে। যা প্রতিটি মানুষেরই জানা দরকার । আমাদের চারপাশে বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগী চলাচল করে । যা আমরা কারো ব্যবহার দেখে বুঝতে পারি আবার কারো ব্যবহার দেখে বুঝতে পারেনা । তবে কিছু কিছু উপায় আছে যা দেখে সহজে বোঝা যাবে ওই ব্যক্তিটি মানসিক রোগী কিনা । তাহলে জেনে নিই কি কি উপায় ।
- যারা ডিভিশনে বা মানসিক রোগী কে ভুগছে তাদের মধ্যে এই বিষয়গুলো দেখতে পাবেন
- ঘুমের সমস্যা যেমন কখনো বেশি ঘুম আবার কখনো ঘুম আসে না ।
- মন ভালো থাকতে থাকতে হঠাৎ করে মন খারাপ হয়ে যাওয়া বা ভালো না লাগা ।
- আত্মবিশ্বাস ও মনোবল খুবই কম ।
- হঠাৎ থাকতে থাকতে কান্না করে দেওয়া ।
- অতিরিক্ত কোন যুক্তি ছাড়া চিন্তা করা ।
- মানসিক ও শারীরিক অস্থিরতা বোধ করা ।
- কৌতূহলতা বেশি দেখা দেয় ।
- অল্পতেই ভয় পেয়ে যাওয়া ।
- হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে যাওয়া ।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের পরিবর্তন দেখবেন মানসিক রোগীদের মধ্যে । তবে এই আচরণগুলো যদি কোন মানুষের মধ্যে দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন সে মানুষটি স্বাভাবিক নয় বা মানসিক রোগী । তবে এই ধরনের মানসিক রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন বয়সেরও বিচার হয়ে থাকে । আমেরিকান এক বিজ্ঞানের মতে ৩০ বছর বয়সের নিচে প্রায় ১৫% মানুষ নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত বা হত্যা করার কথা চিন্তা করে থাকেন । এই ১৫% মানুষকেই ধরা হয় মানসিক রোগী । যে মানসিক রোগীতে ভোগে তার মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পেতে অনেক বাধা সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়
মানসিক রোগের সমাধান
মানুষকে বলা হয়ে থাকে সামাজিক জীব । এই মানুষের জীবনযাপন পরিচালনার ক্ষেত্রে করতে হয় নানা রকম বিপদ বা বাঁধার সম্মুখীনে । তবে একটি দক্ষ ও শিক্ষিত পরিবারই পারে এই সমস্যার সমাধান অতি অল্প সময়ে দিতে । বেশিরভাগ মানসিক রোগী হয়ে থাকে পরিবার থেকে । পরিবারের নানান রকমের
সমস্যা বা চাপের ফলে একটি মানুষ ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিবর্তন হয় । আমরা পরিবারের মানুষ সাধারণত দৈহিক রোগের উপরে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে । কিন্তু কোন মানুষের মানসিক চিন্তাভাবনার উপরে বিবেচনা বা গুরুত্ব দিই না । তাহলে আপনি যদি মানসিক রোগ এর থেকে মুক্তি
পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য কার্যকরী হবে । প্রকৃতি ভাবে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা । এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক একজন ব্যক্তির একেক রকম হয় । তাহলে চলুন জেনে নিন মানসিক রোগের মোকাবেলা কি করে করবে ।
- যে কোন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা ।
- যে বিষয়ে আপনাকে বিব্রত করে তা না করা ।
- অতীত নিয়ে না চিন্তা করা ।
- ঠিক একইভাবে ভবিষ্যৎ নিয়ে না চিন্তা করা ।
- খারাপ মানুষের সঙ্গ না দেওয়া ।
- সৃজনশীল ও কঠোর পরিশ্রমে হয়ে ওঠা ।
- নিজেকে কর্মে ব্যস্ত রাখা ।
- পরিবারের সঙ্গে সময় পার করা ।
এগুলো হচ্ছে সাধারণত পরিবারের বা বেসিক নিয়মে মানসিক রোগের থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টিপস । মানসিক রোগীর জন্য রয়েছে ডাক্তারি উপায় যা আপনাকে মানসিক রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে । তাহলে চলুন ডাক্তারের উপায় গুলো কি কি জেনে নিন ।
- অভিজ্ঞ সাইকোলজিক্যাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া ।
- ডাক্তার যা বলে নিয়ম মেনে পরিহার্য করা ।
- ধূমপান ও নিশা জাতীয় দ্রব্য থেকে বিরত থাকা ।
- ধর্মীয় কাজে নিয়োজিত থাকা ।
- আপনার মনে যা বলে তাই করা।
উপরে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । তা আপনাকে বা আপনার পরিচিত কোন মানসিক রোগীকে দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করবে । তবে আমাদের মতামত থাকবে আপনাকে বা ওই মানসিক রোগীকে দ্রুত কোন হাসপাতালে বা অভিজ্ঞ সাইকোলজিকাল ডাক্তারের কাছে নেওয়া । বাংলাদেশের এমন অনেক সাইকোলজিক্যাল ডাক্তার রয়েছে ।
মানসিক রোগ কি ভালো হয়
এটাই চিরতন সত্য, যে রোগ আছে ওই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ও রয়েছে । মানসিক রোগ একটি মানুষকে ধীরে ধীরে পাগলের মত আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে । এই রোগটি আমাদের দেশে প্রায় সবার ক্ষেত্রেই কম বেশি উপলব্ধ দেখা যায় । তবে এ রোগ থেকে মুক্তি ও পাওয়া সম্ভব ।তবে আপনাকে
দেখাতে হবে বিশেষ ভালো ডাক্তার । ও মনোবিজ্ঞানী বা সাইকোলজিক্যাল বিশেষজ্ঞদের কাছে । আরেকটি উপায়ে রয়েছে আপনি যদি কুরআন শরীফ এর নিয়ম অনুযায়ী আমল করেন ও যে যে কথাগুলো নিষিদ্ধ করা আছে তা মেনে চলেন তাহলে মুক্তি পেতে পারেন মানসিক রোগ থেকে । কুরআনের আলো করলেও ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ ।
লেখক এর মতামত
আমরা সাধারণত অনেক ধরনের মানসিক রোগী দেখে থাকি । তবেআমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত যে আমরা এ ধরনের কাজকাম থেকে বিরত থাকবো । মানসিক রোগী হতে সময় লাগে না কিন্তু এর থেকে বের হতে অনেক সময় লাগে । এই সময়ের মধ্যে একটি মানুষ পাগলও হয়ে যেতে পারে । ফলে
আমাদের সবাইকে সাধারণত অবলম্বন করতে হবে । যেন আমরা সেই মানসিক রোগীদের পরিণত না হয় । অনেক মানুষ দেখা যায় অনেক কারণ ছাড়াই চিন্তা করে । এই ধরনের মানুষ কেউ এক প্রকার মানসিক রোগী হিসেবে বিবেচিত করা হয়। । তবে এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেক
সাইকোলজিক্যাল বিশেষজ্ঞ রয়েছে ওদের থেকে মতামত নিলে সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । এবং আমাদের কুরআনের মতে আমল করলেও এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । উন্নয়নের মতে কাজকর্ম করলে সহজেই এ রোগ থেকে মুক্তি পাবে।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে
আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url