পড়ালেখা মনে রাখার জন্য কোন সময় সবচেয়ে ভালো
অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা পড়াশোনা করে ঠিকই কিন্তু মনে রাখতে পারে না। এর কারণ হচ্ছে সঠিক সময়ে না পড়ার ফল। পড়ালেখামনে রাখার জন্য কোন সময় সবচেয়ে বেশি ভালো এ বিষয়টি আগে আপনাদের জানতে হবে। মানে কোন সময় লেখাপড়া করলে মনে থাকবে বা ভুলে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে না এই সম্পর্কে আপনাদের ভালো কেন থাকতে হবে।
শুধু বেশি পড়লে যে মনে থাকে তা কিন্তু নয় পড়াশোনা মনে রাখার জন্য রয়েছে সঠিক সময়। আর আপনি যদি সঠিক সময়ে পড়ালেখা করেন তাহলে পড়ালেখা কম করতে হবে এবং সেই লেখাপড়াটি মনে থাকবে। তাই আজকের পোস্টটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
আপনি যদি এই ধরনের সমস্যায় থাকেন যে পড়াশুনা করছেন ঠিকই কিন্তু পড়াশোনা মনে থাকে না তাহলে আপনার জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি সাহায্যকারী হতে চলেছে। আপনি যদি আজকে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন কিভাবে কখন করতে হয়।
পড়ালেখা মনে রাখার জন্য কোন সময় সবচেয়ে ভালো
পড়ালেখা মনে রাখার জন্য সঠিক সময় না পড়লে সে পড়ালেখাটি মনে থাকবে না। তাই আপনিও যদি খুব অল্প সময় পড়ে সে পড়াটি মনে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন করবেন। এই পোস্টটি সম্পন্ন করলে কি কি উপকারিতা পাবেন এই বিষয়টি আপনি হয়তো এখন জেনে গিয়েছেন।
আরো পড়ুনঃ নিজেকে পরিবর্তন করার ১০ টি গোপন উপায়
আর এই সমস্যাটি শুধু আপনার নয় বরং ৮০ পার্সেন্ট ছেলে মেয়েদের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে । চলুন তাহলে কোন সময় পড়াশোনার জন্য সবথেকে ভালো ও পারফেক্ট এ বিষয়টি জেনে নেয়া যাক। আপনি যদি খুব অল্প সময় পড়ে সেই পড়াটি মনে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে গভীর রাতে পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
গভীর রাত বলতে যখন আপনার এলাকায় একদম নিস্তব্ধ হয়ে যাবে কোন শব্দ থাকবে না তখন আপনি পড়াশোনা শুরু করতে পারেন। রাত্রে দুইটা তিনটা থেকে আপনি যদি পড়তে শুরু করেন তিন ঘন্টায় যেটুকু পড়া মনে রাখতে পারবেন সারাদিন পড়লেও ওইটুকু ওরা মনে রাখতে পারবেনা।
পড়াশোনা কি আপনি ভাগ ভাগ করে পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে সেই পড়াটি একটু বেশি মনে থাকবে। আশা করছি কখন পড়লে পড়াশোনার জন্য সবথেকে ভালো এ বিষয়টি জানতে পেরেছেন।
পড়া মনে রাখার গোপন রহস্য
পড়াশোনা মনে রাখার জন্য কিছু টিপস অবলম্বন করতে হয়। না হলে পড়াশোনা বা আপনি যে পার্টি করবেন সেটি সম্পূর্ণ মনে রাখা সম্ভব হয় না। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে কিছু গোপন রহস্য আলোচনা করার চেষ্টা করব। আপনি যদি এই বিষয়গুলি সুন্দরভাবে নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনিও পড়া মনে রাখতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ সমাজবিজ্ঞান কাকে বলে
পড়া মনে রাখার জন্য প্রয়োজন ঘুমের। তাই আপনি যদি পর মনে রাখতে চান অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ ঘুমাতে হবে।আপনি যখন পড়াশোনা করতে বসবেন তখন অবশ্যই আপনার আশেপাশে থাকা ইলেকট্রিক ডিভাইস তুলে রাখবেন। বিশেষ করে মোবাইল ফোন ল্যাপটপ কম্পিউটার ইত্যাদি।
এই সকল ধরনের জিনিসপত্রগুলো আপনাকে পড়ালেখা থেকে ডিমোটিভেট করতে পারে।এর ফলে আপনি পড়াশোনা ফাঁকা হতে একটু করে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবিং করতে শুরু করবেন তখন আর পড়াশোনা ভালো হবে মন বসবে না। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এ ধরনের জিনিসপত্র অবশ্যই দূরে রাখা প্রয়োজন।
আর পড়ার সময় শুধু পড়াতে মনোযোগ দিতে হবে অন্য কোন জিনিসে মনোযোগ দিলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত করবে। আর বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই কয়েকটি কাজ যদি আপনি ভালোভাবে করতে পারেন তাহলে পড়াশোনা অল্প করলেও সেটি আপনার মনে থাকবে এবং পাবেন।
পড়া মনে রাখার উপায়
পড়াশোনা মনে রাখার উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। এর কারণ হচ্ছে পড়াশোনা মনে রাখার উপায়টাও অনেক বেশি জরুরী। শুধু করলে পড়াশোনা মনে থাকবে না তাই অবশ্যই এর কিছু উপায় গুলো আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। তবে কি কি অবলম্বন রয়েছে বা উপায় রয়েছে যেগুলি আপনি এপ্লাই করলে ভালো ফলাফল পাবেন জেনে নেওয়া যাক।- স্টেপ বাই স্টেপঃ আপনি যখন পড়তে বসবেন তখন আপনার পড়াগুলো কে স্টেপ স্টেপ আকারে গুছিয়ে নিবেন। তাহলে পড়াশোনা করতে অনেক বেশি সহজ হবে।
- মনোযোগী হওয়াঃ আপনি যখন পড়তে শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে। অন্য কোন দিকে মনোযোগ দিলে আপনার পড়াশুনা ধরতেন এবং পড়া ভালো মনে রাখতে পারবেন না।এজন্য মনোযোগী হতে হবে।
- ছোট ছোট প্যারাঃ আপনি যখন পড়বেন তখন অবশ্যই আপনাকে পড়াগুলো ছোট্ট ছোট্ট প্যারাতে সাজিয়ে নিতে হটে। তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে হবে পড়া মুখস্ত করতে পারবেন।
- খাবার দাবারঃ আপনাকে সুস্থ থাকতে হবে পড়াশোনা ভালো রাখার জন্য। আর ভালো সুস্থ শরীরে আপনি যদি পড়াশোনা করেন তাহলে অবশ্যই সে পড়াশোনাটি আপনি মনে রাখতে পারবেন। আর এর জন্য দরকার সঠিক নিয়মে খাবার দাবার করা হোক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
- সঠিক জায়গা নির্বাচনঃ পড়াশোনা করার জন্য সুন্দর পরিবেশ প্রয়োজন। সুন্দর পরিবেশে আপনি খুব সহজে পড়াশোনা করে সে পড়াশোনা মনে রাখতে পারবেন।
- বিরতি দেওয়াঃ ১০ মিনিট ২০ মিনিট পর পরে বিরতি দেওয়া। আপনি যখন কিছুক্ষণ পরপরই বিরতি দিয়ে করবেন তখন সেই পড়াটি আপনার মাথায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে গেঁথে যাবে। এবং এই পড়াটি আপনি মনে মনে কল্পনা করবেন দেখবেন অনেক ভালো ফলাফল পেয়ে গেছেন।
- পড়ার সঙ্গে লেখাঃ আপনি যখন পড়বেন তখন অবশ্যই আপনাকে পড়তে হবে আর লিখতে হবে। এটি আপনার পড়াশোনা মনে রাখার শক্তি আরো দ্বিগুণ করে তোলে। তাই অবশ্যই আপনাকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিখতে হবে।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পড়াঃ আপনাকে অবশ্যই পড়াশোনা ভালো করে মনে রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পড়াশোনা করার দরকার।। তাই অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পড়াশোনা করতে হবে মনোযোগ সহকারে।
কম সময়ে বেশি পড়ার উপায়
অনেকে জিজ্ঞাসা করে কম সময়ের মধ্যে বেশি পড়া মনে রাখার উপায় কি রয়েছে। এর কারণ হচ্ছে অনেক মানুষ থাকে যারা বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম ব্যস্ত থাকে এবং পড়াশোনায় তেমন একটা গুরুত্ব দিতে পারে না। তাই অবশ্যই আজকের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করবেন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন কোন সময়ে বেশি পড়ার উপায় গুলো কি কি রয়েছে।আর আপনি যদি চাকরিজী কিংবা গৃহিণী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আজকের পোস্টটি আপনার জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এর কারণ একটি চাকরি বা একটি গৃহিণী সম্পূর্ণ সময় পায়না পড়াশোনা করার জন্য। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে আপনি বেশি পরিমাণে পড়তে পারবেন এই বিষয়টি জানাও আপনার জরুরী।
আপনি যদি চাকরি হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই যে কাজটি করবেন। সারাদিন কাজ করার পরে রাত্রে বা সন্ধ্যাবেলায় প্রচুর শরীর ক্লান্ত হয়ে থাকবে যার ফলে পড়াশোনা ঠিক একটা মন বসে না। মন বসলেও পড়াশোনা করা যায় না। তাই আপনি চাইলে চারটা থেকে পড়া শুরু করতে পারেন। এর কারণ হচ্ছে তখন আপনার ঘুম পরিপূর্ণ হবে এবং আপনি।
যে পড়াটি করবেন এটি আপনার অনেক বেশি কাজে লাগবে। ভরে উঠে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ পড়াশোনা করলে সেটি অনেক ভালো হয়। এবং অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি পড়া সম্ভব হয়। আর আপনি যদি একটা গৃহিণী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই একই পরামর্শ থাকবে।
এর কারণ সারাদিন কাজকর্ম করে সন্ধ্যাবেলায় পড়ার সময় পেলেও তখন আর পড়া হয় না। আপনিও চাইলে ভোর বেলায় পড়ার অভ্যাস করতে পারেন এটি সবচেয়ে ভালো একটি সময়। যা আপনি অল্প করলে বেশি উপকারিতা লাভ পেতে পারেন।
পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম
পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীকে অবলম্বন করা দরকার। এর কারণ হচ্ছে আপনি যখন পড়াশোনা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম কারণ মেনে পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার সঠিক নিয়ম আপনি যদি অবলম্বন না করেন তাহলে আপনি যতই করুন তার কোন ফল পাবেন না।আর এর ভালো ফলাফল পেতে হলে অবশ্যই পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো বা তুলে ধরার চেষ্টা করব পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম কি রয়েছে এ বিষয়টি ও কি কি অবলম্বন করবেন আপনি। পড়াশোনা কর সঠিক নিয়ম হলো আপনাকে যে কোন একটি সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে।
এবং প্রতিদিন ওই সময়ে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। পড়াশোনা করার জন্য একটি নিরিবিলি জায়গা খোঁজ নিতে হবে যেন সেখানে কোন গ্যাঞ্জাম ও শব্দ না হয়।। এরকম জায়গায় পড়াশোনা করলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। পড়াশোনা করার জন্য সবথেকে ভালো সময় হচ্ছে বলবে। ভোর বেলা আপনি যদি পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি পড়া কভার করা যায়। এবং সেগুলি মনেও থাকে।
পড়াশোনা করে মনে রাখা ঠিক নিয়ম হল আপনি যে পার্টি করবেন আবার দুইবার খাতায় লিখবেন তাহলে সেই ফরটি আর ভোলার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এই কয়েকটি বিষয়ে আপনি যদি ভালোভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আপনিও পড়াশোনা ভালো করতে পারবেন। এছাড়াও পড়াশোনায় আরো বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে কিন্তু এই সহজ উপায় গুলো যদি আপনি মেন্টেন করতে পারেন তাহলে আর কিছুর প্রয়োজন হবে না।
লেখকের মতামত
পড়ালেখা মনে রাখার জন্য আপনাদের সঙ্গে যে সময় গুলো আলোচনা করা হয়েছে । এ সময় গুলো যদি মেনে ভালো ভাবে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো উপকারিতা পাবেন। এ ছাড়া কিভাবে পড়াশোনা মনে রাখবেন এ সকল বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। তাই আপনি যদি পড়াশোনা মনে রাখতে না পারে তাহলে অবশ্যই এর কয়েকটি বিষয় মেনে চলবে।
তাহলে অবশ্যই আপনিও পড়াশোনা মনে রাখতে পারবেন। এছাড়াও পড়াশোনা মনে রাখার জন্য যে সকল উপায় গুলো বলেছি এগুলো প্রত্যেকটি মানুষের জন্য একই কার্যকরী দিক পালন করে। আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন অবশ্যই আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামতটি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url