কাচের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর উপকারিতা

আমাদের বাসা বাড়িতে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বাল্ব ব্যবহার করে। কেউ কাঁচের বাল্ব কেউ এলইডি বাল্ব আবার কেউ এনার্জি বাল্ব । তবে কোন বাল্ব জ্বালালে বেশি সাশ্রয় এ সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই যারা বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের বাল্ব জানান অবশ্যই তারা আজকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করব। 

কাচের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর উপকারিতা

আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন আপনি কোন বাল্ব জ্বালাবেন আর কোন বাল্ব জানাবেন না। তবে আজকে আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করব কাঁচের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর উপকারিতা কি। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কাছের বাল্ব চালানোর উপকারিতা কি কি রয়েছে এ বিষয়টি।

কাচের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর উপকারিতা গুলো জেনে রাখুন

আজকে আমরা আগেই বলেছি কাছের বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানোর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই যারা বাসা বাড়িতে কাচের বাল্ব ব্যবহার করেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কাচের বাল্ব জ্বালালে কি কি উপকারিতা পাবেন এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে অবশ্যই এ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। 

আরো পড়ুনঃ এনার্জি বাল্ব জ্বালানোর উপকার

চলুন তাহলে এই কাচের বাল্ব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা গুলি জেনেটি নেওয়া যায়।শীতের সময় আমাদের ঘরবাড়ি বিশেষ করে অনেক ঠান্ডা থাকে। তখন যদি আপনি কাছের বাল্ব ব্যবহার করেন আপনার ঘরকে ও বাসা বাড়িতে উষ্ণ করতে সাহায্য করবে। এছাড়াও যারা ছোট মুরগি পুষে বা মুরগির খামার রয়েছে তারা যদি এই কাচের বাল্ব ব্যবহার করে তাহলে ভালো ফলাফল পাবে। 

অনেক সময় দেখা যায় একটু ঠান্ডা লাগলে ছোট ছোট মুরগির বাচ্চাগুলো মারা যায়। তাই আপনি চাইলে এই কাচের বাল্ব দিয়ে মুরগির ঘর উষ্ণ করে রাখতে পারবেন। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিক ও রয়েছে যেগুলি হলো আপনি যদি অনেকক্ষণ ধরে কাচের বাল্ব জ্বালিয়ে রাখেন তাহলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল উঠার সম্ভাবনা থাকে। 

এই কাছের বাল্বের আলো চোখের জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত করা হয়। তাই অবশ্যই আপনি এই কাজের বাল্বের আলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে এই কাঁচের বাল্বপে ।তাই অবশ্যই এই কাফের বাল্ব বেশিক্ষণ চালানো উচিত নয় বলে বিবেচিত করা হয়।আশা করছি কাচের বাল্বের কি কি উপকারিতা অপকারিতা রয়েছে বুঝতে পেরেছেন।

বৈদ্যুতিক বাতির বিবর্তনের চমকপ্রদ ইতিহাস

আমাদের প্রত্যেকেরই মাথায় কমবেশি একটা প্রশ্ন সবারই ঘুরে। সেটি হল বৈদ্যুতিক বাল্ব কিভাবে তৈরি হলো আর এর চমকপ্রদ ইতিহাস কি রয়েছে এই বিষয়টি। আপনাদের সঙ্গে আজকে আলোচনা করব বৈদ্যুতিক বাতির পরিবর্তনের চমকপ্রদ ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। 

আরো পড়ুনঃ এনার্জি সেভিং বাল্বে কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়

তাই যারা বৈদ্যুতিক বাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং মজাদার হতে চলেছে। তাই আপনিও যদি বৈদ্যুতিক বাতি কিভাবে তৈরি হলো এর ইতিহাস কি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার চেষ্টা করুন অনেক কিছু জানতে পারবেন। 

এই বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করার জন্য কাউকে এককভাবে লক্ষ্য করে বলা যাবে না। এর কারণ হচ্ছে এই বৈদ্যুতিক বাল্ব ১৮০২ সালে হামফ্রে নামক ডেভি এক বিজ্ঞানী বৈদ্যুতিক বাল্ব আবিষ্কার করে। তবে এটি যতদিন দিয়েছে তত উন্নত করেছে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানীরা তাই এই বাল্ব আবিষ্কারের পিছনে কোন বিজ্ঞানী কে কেন্দ্র করে নাম করা যাবেনা। 

কারন এই বাল্ব আবিষ্কারের পিছনে রয়েছে অনেক জনের গুরুত্ব। তখনকার সময়ে কোন এক নির্দিষ্ট পদার্থের মধ্য দিয়ে যেকোনো তড়িৎ প্রবাহ করলে তা আলোতে রূপ নিতো। এরপরে এটির উপরে ব্যাখ্যা করে গাছের ফুল তৈরি করা হলো যার মধ্যে নিষ্ক্রিয় গ্যাস এর ব্যবহার করে কাছের বাল্ব তৈরি করা হতো।

এর কাছের বাল্ব তৈরি করার পরে এর মধ্যে দিয়ে তড়িৎ শক্তি প্রদান করা হতো এবং আলো শক্তিতে রূপ নিতো। আর যত দিন যেতে থাকলো বছর যেতে থাকলো তত বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বাতির ডিজাইন তৈরি করা হতে থাকে। আর সেই ডিজাইন মোতাবেক বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করা শুরু হয়। 

আর এক সময় এসে এই বৈদ্যুতিক বাদে বিভিন্ন ধরনের রূপ নিয়ে আমাদের মাঝে আলোকিত করে রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে এটি অনেক বেশি উন্নত হয়ে এখন বর্তমানে এই কাঁচের বাল্বের অনেক বেশি কমে গিয়েছে। কারণ এতে থাকা যে সকল গ্যাসগুলো রয়েছে এই গ্যাসের প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। আর অন্যদিকে এখনকার যে আধুনিক এলার্জি বাল্ব এলইডি বাল্ব এগুলো তে অনেক বৈদ্যুতিক খরচ কম বলে বিবেচিত করা হয়।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে চাইলে অবশ্যই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাল্ব ব্যবহার করতে হবে এটি আমরা সকলেই জানি। তবে কোন বাল্ব আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করবে এ বিষয়টি জানা প্রয়োজন। এজন্য আজকে আলোচনা করব সেসব বৈদ্যুতিক বাতি আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী করতে অনেক বেশি সাহায্য করে। এমন সকলেই জানি কাচের বাল্ব ব্যবহার করার যে সব উপকারিতা রয়েছে তার থেকে বেশি অপকারিতায় রয়েছে। 

বড় উদাহরণ হলো যেমন বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি এই ধরনের কাচের বাচিতে।তবে এখন যে এনার্জি বাল্ব গুলো বা এলইডি বাল্ব গুলো বাজারে পাওয়া যায় এ ধরনের বাস গুলো ব্যবহার করলে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতে পারবেন।আপনি যদি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চান তাহলে আজকে থেকে এনার্জি বাল্ব বা এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা শুরু করুন। এই ধরনের বাল্ব আপনাদের বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি কমিয়ে দিবে। তাই আপনি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চান তাহলে অবশ্যই এই বাল্ব গুলো ব্যবহার করুন।

বৈদ্যুতিক বাতি আলো দেয় কীভাবে

অনেক মানুষের মাথায় একটা প্রশ্ন ঘুর-পাক করে যে বৈদ্যুতিক বাতি কিভাবে আলো দেয় এই বিষয়টি। তাই আজকে আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করব বৈদ্যুতিক বাতি থেকে কিভাবে আলো উৎপন্ন হয় এ বিষয়টি। তাই যারা এ ধরনের বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী বা ইচ্ছা প্রকাশ করে তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। 

এবং এই পোস্টটি আপনি সম্পূর্ণ পড়লে মজাও পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বৈদ্যুতিক বাতি কিভাবে আলো দেয় এই বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। আপনি যখন বাল্ব জ্বালানোর জন্য বৈধকে সুইচ অন করেন তখন তারের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাল্বের ভিতরে প্রবেশ করে। এবং বাল্বের মধ্যে পাতলা ফিলামেন্ট দিয়ে ধাতব স্টেপ তৈরি করা থাকে। 

এবং বাল্বের গায়ে লেখা সেই সাদা ফসফরাস কে ইলেকট্রন গিয়ে উত্তেজিত করে এবং এই উত্তেজিত হওয়ার ফলে লাইট থেকে আলো সৃষ্টি হয়। এক কথায় বলতে গেলে তড়িৎ শক্তি যখন কোন বৈদ্যুতিক বাল্বে ভিতরে গিয়ে সেই বাল্বের গরম উৎপন্ন করে এই গরম উৎপন্ন হওয়ার ফলে এই গল্পে থাকা গ্যাস সাদা বর্ণের আবরণকে উত্তেজিত করে ফেলে যার ফলে আলো শক্তিতে উৎপন্ন হয়। আশা করছি আলো দেয় কিভাবে এ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

লেখক এর মতামত

আজকে আমরা আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি কাচের বৈদ্যুতিক বাল্ব জালানোর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। ও এর কি কি ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে এ সম্পর্কে আলোচনা করেছি যেমন অতিরিক্ত কাছের বাল্ব বা যে কোন বাল্ব জ্বালিয়ে রাখলে চোখের সমস্যা হতে পারে। তাই অবশ্যই আপনি বিশেষ করে কাচের বাল্ব ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। 

এছাড়াও বাল্ব তৈরি কিভাবে হয়েছিল এ সম্পর্কে কিছু ইতিহাস আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরেছে। এবং সর্বপ্রথম কে কাছের বাল্ব আবিষ্কার করেছে এ বিষয়টিও জানিয়েছি। এবং যারা বিদ্যুৎ শাসন করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যে সাজেশন থাকবে সেটি হল বিভিন্ন ধরনের এনার্জি বাল্ব ও এলইডি বাল্ব ব্যবহার করা। 

এই ধরনের বাল্ব আমাদের বিদ্যুৎ খরচ কমানো বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি করে আপনি কিছু নতুন তথ্য হলেও জানতে পেরেছেন। তবে আপনি আপনার পরিচিতদের কাছে শেয়ার করুন যেন তারাও নতুন কিছু জানতে পারে। এবং আপনি কি নতুন জানতে পেরেছেন আমাদের এই আর্টিকেলটি করে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url