জেনে রাখুন সকালে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করার কি কি উপকারিতা পাবেন
বিকালে হাঁটার উপকারিতাপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো সকালে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করার উপকারিতা কি কি জানতে চাচ্ছেন আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে সকালে হাঁটাহাঁটি করার উপকারিতা কি কি এই নিয়ে আর কোন মনে প্রশ্ন থাকবে না।
আমরা জানি হাঁটাহাঁটি করা মানব দেহের জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারি দিক। একটি মানুষ যদি নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করে তাহলে সে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকে দূরে থাকবে শরীরে প্রচুর পরিমাণ এনার্জি থাকবে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে মানুষের মন ও
মেজাজ,মস্তিষ্ক ভালো থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত চর্বি দেহ থেকে ঘাম হয়ে বের হয়ে যায় এর ফলে মানুষের বডি পাতলা ও ওজন কমে যায় ফলে পারফেক্ট ও সুন্দর জীবন যাপনে সহযোগিতা করে হাঁটাহাঁটি করা একটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারটি টিপস।
সকালে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করার উপকারিতা
শরীর স্বাস্থ্য স্বদেশ ও সুন্দর রাখতে মানুষ প্রতিদিন সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করে। ভোর ভোর হাঁটাহাঁটি করলাম মানুষের জীবনের শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মানুষের নানান রকমের বাতের ব্যথ, রক্তচাপ, মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ও শারীরিক অলসতা ইত্যাদি এগুলোতে বিশেষ
আরো পড়ুনঃ দিনে কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন
ভূমিকা রাখে সকাল বেলা হাঁটাহাঁটি করলে। নিয়মিত একটা মানুষ যদি খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করে এর ফলে মানব দেহের মধ্যে অন্যতম শক্তি হলো ইলেকট্রনের বিস্তার ও কর্ম ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। আমাদের মানব দেহের সাধারণত অক্সিজেন গুলো ইলেকট্রনের দ্বারায় তৈরি হয়ে থাকে। এই অ্যান্টিক
অক্সিজেন গুলো শরীরের নানান জন্মানো এবং ফ্রি রিয়েল ধ্বংস করে থাকে। আমাদের মানবদেহে যে কোনোভাবে যেকোনো জায়গায় ইনফ্লামেশন হয়ে থাকে আর এই ইনফ্লামেশন দ্রুত রোধ করতে মানবদেহে ইলেকট্রনের উপস্থিতি খুবই জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ আর খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের দেহে
ইলেকট্রন এর বিস্তার বৃদ্ধি পায়। আমাদের পায়ের তলায় অনেক সেন্সারি নার্ভের পয়েন্ট থাকে যেগুলো খালি পেয়ে হাঁটার সময় সক্রিয়ভাবে একটিভ হয়ে মানবদেহের ভেতরে পজিটিভ এনার্জি তৈরি করতে থাকে। খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
হাঁটাহাঁটি করার উপকারিতা কি কি
- শরীরের নানা রকম ব্যথা কমায়
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়
- মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি হয়
- হার্ট ভালো থাকে
- মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়
- শারীরিক গতি বজায় রাখে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
বিকালে হাঁটার উপকারিতা
আমরা জানি সকালে হাঁটাহাঁটি করলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু বিকেলে হাঁটলেও যে মানুষের জন্য ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এটা কি আপনারা জানেন। হ্যাঁ বিকেলে হাঁটাহাঁটি করলেও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী অনেক বিশেষজ্ঞ রাও বলেন বিকেলে হাঁটাহাঁটি করতে ফলে রাতের ঘুম ভালো
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির উপায়
হয়। খিটখিটে মেজাজ থেকে দ্রুত রাখে রাতে ঘুম একটি মানুষের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী এটার নতুন করে কিছু বলার নেই একটি মানুষের রাতের ঘুমিয়ে তার পরবর্তী দিনের কাজের জন্য দায়ী থাকেন যে রাত্রে ভালোভাবে ঘুমাই ভালো ঘুম হয় তার দিনটি ভালোভাবে কাটে কাজে মনোযোগ বসে আর যার ঘুম
না হয় তারপরে খিটখিটে মেরাজের হয়ে যায় কাজে মনোযোগ বসবে না ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তার রাতে ভালো ঘুমানোর জন্য বিকেলে হাঁটাহাঁটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সারাদিন কাজের চাপে মানুষের মন ও মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। ফলে বিকেলে একটু হাঁটাহাঁটি করলে মন ভালো হয় ও রাতে ঘুম ভালো হয় তাই বিকেলে হাঁটারও গুরুত্ব রয়েছে।
বেশি হাটলে কি হয়
সকলেই জানি যে হাঁটার গুরুত্ব অনেক বেশি। হাঁটার মধ্যে রয়েছে অনেক উপকার যেমন হজম শক্তি বৃদ্ধি করে দেহের নানান স্থানের মাংসপেশি মজবুত ও বিস্তার ঘটায় শক্ত করে ইত্যাদি এর পরে হাঁটাহাঁটি করলে মানুষের চিন্তাশক্তির ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। আগের পুরুষরা জীবনধারণের জন্য প্রতিদিন
১০-১৫ মাইল হাঁটতেন ফলে দেখা যায় এখনকার মানুষের তুলনায় তখনকার মানুষের হার্ট বেশি ভালো থাকতো। হাঁটাহাঁটি করলে যে মানুষের চিন্তা সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় এটা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত রয়েছে। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করলে এক জায়গায় বসে
থাকলে হতাশ হয়ে পড়বে কিন্তু আপনি যদি হাঁটাহাঁটি করতে থাকেন তাহলে দেখবেন সমস্যা সমাধানটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। একটু ঘোষণা করে দেখবেন অনেক গুলি জ্ঞানী লোক বা কবিরা হাঁটাহাঁটি করতেন আর সমস্যার সমাধান করতে এবং কি সমস্যার সমাধান গুলো খুঁজে পেতেন। উদাহরণ হিসাবে
বলা যায় উপন্যাসিক স্টিফেন কিং এর কথা। তিনি নিয়মিত প্রচুর পরিমাণ হাঁটাহাঁটি করতেন। আর এটাই প্রমাণিত যে হাঁটাহাঁটি করলে মানুষের চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ওজন কমাতে হাঁটার উপকারিতা
সবাই চায় তাদের মনে থাকবো পারফেক্ট ম্যাথ ভুড়ি ছাড়া। সেজন্যই সবাই হাঁটাহাঁটি করেন কিন্তু হাঁটাহাঁটি করার একটি সময় রয়েছে। ওজন কমাতে হাঁটাহাঁটি ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বজায় রাখে। হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের চর্বি ও মেদ চর্বি ঘাম হয়ে ঝরে পড়ে ফলে একটা চর্বিগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
অনেক লোক রয়েছে যারা শরীরচর্চা করতে পছন্দ করে না কিন্তু বিপদে পড়ে বাধ্য হয়ে করতে হয় জোর করে দু একদিন জিমে যাওয়ার পরে আবার হাল ছেড়ে দেয়। এই বিষয়টা হয়তো আপনার সঙ্গে ঘটেছে কিন্তু বাদ দিয়ে ওজন এর চিন্তা মাথায় উঠে বসেছে এই অবস্থায় আপনি ভাবছেন কি করলে আমার খুব
সহজে ওজন কমবে। তাহলে আপনি অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করাও আপনি বেছে নিতে পারেন। আপনি জানেন কি ১.৬ কিলোমিটার হাঁটলে ১০০ ক্যালোরি খরচ হয়। অনেক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন ৩৫ মিনিট এর বেশি বা সপ্তাহে ২০০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা প্রয়োজন। তাই সবার উচিত নিয়ম অনুসারে হাটাহাটি করা।
লেখকের মন্তব্য
আমাদের সবার জন্য হাঁটাহাঁটি করা গুরুত্বপূর্ণ।হাঁটাহাঁটি করলে আমাদের শরীরের নানা রোগ ব্যাধি দূর হয় ও যে কোন কাজে মনোযোগ বসায় শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে হজম শক্তি বাড়ায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ইত্যাদি তাই আমরা সবাই যেন নিজের হাঁটাহাঁটি করে।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url