আপনি জানেন কি বেশি ঘুমানোর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতাপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো অনেক ওয়েবসাইট খুঁজে আপনার মনের মতো প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না আশা করি আমার এই পোস্টটি করার পরে আপনার বেশি ঘুমানোর উপকারিতা ও অপকারিতা কি হবে এই সম্পর্কে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না আমাদের সকলেরই উচিত সময় মেনটেন করে নিয়ম অনুসারে ঘুমানো
 |
| আপনি জানেন কি বেশি ঘুমানোর উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি |
প্রতিটি মানুষেরই দিনে ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন এর ফলে মানুষের মন থাকে সুন্দর ও প্রফুল্ল ময় আর একটি মানুষের পরিপূর্ণ ঘুম হলে তার সব কাজে কর্মে ভালো মনোযোগ বসাতে সাহায্য করে তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে যাক বেশি ঘুমানোর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি
বেশি ঘুমানোর উপকারিতা ও অপকারিতা কি
আমরা সবাই ঘুম পছন্দ করি কিন্তু এই ঘুমের মধ্যেই রয়েছে উপকারিতা ও অপকারিতা। বেশি ঘুমালে শরীরের জন্য ক্ষতিকর দিক হয়ে ওঠে ঠিক তেমনি অল্প সময় ঘুমালেও শরীরের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর দিক লক্ষ্য করা যায়। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ঘুমানোর থেকে না ঘুমানোর ক্ষতিকর দিক বেশি
আরো পড়ুনঃ দিনে কতটুকু পানি পান করা প্রয়োজন
বলে লক্ষ্য করা যায়। আমাদের সবারই সময় মেন্টেন করে নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার ঘুম যদি পরিপূর্ণভাবে না হয় তবে মাথাব্যথা কাজে অমনোযোগী গা হাত মোছানো অরুচি ববি ববি ভাব ইত্যাদি এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আমাদের সবারই উচিত নিয়ম মেনে
যতোটুকু ঘুমানো বা ঘুমালে শরীর ভালো থাকে ঠিক ততটুকু ঘুমানো উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ৮থেকে৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত এতে শরীরের জন্য ভালো। এছাড়াও রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা এর মধ্যে বিশ্লেষণ করা হলো। নিচেদেওয়া হলো ঘুমানো কয়েকটি উপকার দিক পড়েন
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা
ছোট থেকে বড় সকলেরই আমাদের ঘুমালো খুবই প্রয়োজনীয় এই ঘুমের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা যা আমরা উপভোগ করে থাকি যেমন তাড়াতাড়ি ঘুমালে পরিমাণে ঘুম হয়ে যায় ফোনে মন ও মেজাজ দুটোই ভালো থাকে গবেষকদের মতে যাদের আপাতত পরিমাণ ঘুম হয় তাদের হৃদরোগ ও
আরো পড়ুনঃ ১ মাসে চুল ঘন করার উপায়
স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে দূরে থাকে ডায়াবেটিসের যৌক্তিক কমে যায় রাতে ভালো ঘুম হলে সারাদিন কাজের উপর মনোযোগ বসে। মানবদেহের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে আবার ঠিকমতো ঘুমালে মানুষের বিভিন্ন ধরনের হতাশা ও
ডিপ্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় প্রজাতীয় পরিবার ঘুমানোর ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এছাড়াও রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ফলে আরো অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যার ভোরে বোঝানো সম্ভব নয় তাই সকলেরই উচিত ৮ থেকে ৯ ঘন্টা রাতে ঘুমালে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাও রাত জাগলে যেসব ক্ষতি দেখা দেয় তাহলে সে বিশ্লেষণ করা হলো
রাতে দেরিতে ঘুমালে কি হয়
অতিরিক্ত রাত জাগলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।স্টোক হওয়া ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়ে যায় এর সাথে হৃদরোগের মতো রোগ ও বাসা বাঁধে শরীরে ক্ষুধা কমে যায় এবং মুখে অরুচি ভাব দেখা দেয় এর ফলে মানুষ ধীরে ধীরে দুর্বল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
- মস্তিষ্কের টিস্যু গুলোআস্তে আস্তে অফিস নষ্ট হতে শুরু করে।
- ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু হয়।
- প্রচুর পরিমাণে এসিডিটি শুরু হয় যা পরবর্তীকালে পাকস্থলী আলসারের মতো ভালো রোগে রূপ নেয় ।
- উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়
- ঘুমের ফলে সারাদিন একটা ক্লান্তি অনুভূতি সৃষ্টি হয়।
- কোন ধারাবাহিকতা বিপদগ্রস্ত হয় এবং কর্মসঞ্চালতা অনেক গুণে হ্রাস পায় যা নিজের উপরে এক ব্যাপক খারাপ প্রভাব ফেলে
- চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়
- চেহারায় বা ত্বকে বয়স্ক বয়স্ক দেখা দেয় তবে রং নষ্ট হতে শুরু হয়।
- শরীরের চামড়া দ্রুত ভাস পড়ে যায়।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ফলে কাজে অমনোযোগিতা দেখা দেয়।
- সারকোপেনিয়ার মত এক জটিল রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয় সারকোপেলিয়া এমন একটি রোগ যা মানুষের ধীরে ধীরে মাংস বেশি ক্ষয় করে ফেলে ।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে মেদবহুল পেট এবং মোটা বালিক সিমডোম হতে দেখা যায়।
- স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো এই ধরনের ক্যান্সার অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে দেখা দেয়।
সেজন্য অনেক দিন নিজের চেহারার তরুণ্য ধরে রাখার জন্য ঘুমের কোন অবদান নেই তাই আমাদের সকলকে নিয়ম মেনে ৮থেকে ৯ঘন্টা ঘুমানো খুবই প্রয়োজনীয়। ঘুমের কারণে মানুষের শরীরের শারীরিক ও মানসিক দিকগুলো খুব সহজেই সুস্থ থাকে।
বেশি ঘুম আসার কারণ কি
সুস্থ ও সকল থাকার জন্য ঘুম সকলেরই প্রয়োজন কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুম হবে না এটা এক ধরনের প্রতিকার দিক হয়ে পড়ে কেউ ঘুমাতে না চাইলেও অতিরিক্ত ঘুম চলে আসে এর কারণ হচ্ছে একটি মানুষ যখন তার কাজ করার ক্ষমতা তুলনায় বেশি কাজ করে ফেলে তখন তার শরীর ক্লান্ত হয়ে
যাওয়ার ফলে তার অতিরিক্ত ঘুম আসে। এছাড়াও কোন ব্যক্তি জড়িয়ে তার শরীরে গ্রোথ ওজন আর মানসিক বিকাশের ফলে অতিরিক্ত ঘুম দেখা যায় ঘুম যদি না হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে এক্ষেত্রে ঘুম ঘুম ভাব দেখা দেয় আবার কেউ যদি অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভোগে কারো ঘুম বেশি বেশি দেখা দেয় এছাড়াও
রয়েছে আরো অনেক ধরনের ঘুমানোর কারণ যা আমাদের শরীরকে মনকে দূরে থেকে প্রভাবিত করে এবং এই ধরনের আচরণ গুলি লক্ষ্য করা যায় যেমন স্লিপিং সাইকেল নষ্ট হয়ে গেলে খুব মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এর ফলে সে ব্যক্তি অতিরিক্ত ঘুমিয়ে ভোগে। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যার কারণে মানুষ অতিরিক্ত ঘুমে ভোগে।
বেশি ঘুমানোর অপকারিতা
ঘুমিয়ে যেমন শরীরের জন্য উপকার ঠিক তেমনি ঘুমের জন্য শরীরের বিশেষ কয়েকটি ধরনের রোগ দেখা যায় এছাড়াও রয়েছে ঘুমের অনেক ক্ষতি করতে যা অতিরিক্ত ঘুমালে এগুলো হয়ে থাকে তাহলে আর দেরি নেই সরল জেলে নেয়া যাক অতিরিক্ত ঘুমালে কি কি ক্ষতি হয়
আপনি কি জানেন আপনার অতিরিক্ত ঘুমের পিছনে দায়ীকে দায়ী হলো হাইপারসাইমোনিয়াএদিকে একটি ঘুমের রোগ বলে বিবেচনা করা হয় এর ফলেই মানুষ অতিরিক্ত ঘুমায় ।মানুষ যদি সময় না ঘুমায় তাহলে তার ক্যান্সার ডায়াবেটিস ও বিষন্নতা সমূহ অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয় এর ফলে মানুষ আস্তে আস্তে
অকেজো হতে শুরু করে তার শরীরের ও মানসিক অধিক দেখা দেয় ।এছাড়াও যেমন রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ,হতাশা, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, হার্ট অ্যাটাক, ইত্যাদি এই ধরনের রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
লেখকের মতামত।
রাত হল ঘুমানোর জন্য আর দিন হল কাজের জন্য। আমাদের সকলেরই উচিত রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমালে আমাদের শরীরের অনেক ধরনের উপকার দেখা দেয় এছাড়াও রাতে যদি দেরি করে ঘুমায় এর ফলে আমাদের শরীরে অনেক ধন্যবাদ দেখা দেয় যেমন চোখের নিচে কালো দাগ অল্প বয়সে
বা ভাস পড়ে যাওয়া ইত্যাদি এই ধরনের রোগ দেখা দেয় তাই আমাদের সকলের উচিত সবাই মেইন্টেন করে ঠিক সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমানো এর ফলে আমাদের মন ও মেজাজ দুটোই ঠিক থাকবে এর ফলে আমাদের যে কোন কাজে মনোযোগ বসবে ও ভালোভাবে কাজ করতে পারা যাবে তাই আমার
মতে রাত না জেগে ঠিক সময় ঘুমিয়ে যাওয়াটাই আমাদের জন্য উপকারী।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url