জেনে রাখুন নাকের সর্দি দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

সর্দি কাশি হলে করণীয় কিপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো নাকের সর্দি নিয়ে খুবই চিন্তিত আছেন। নাকের সর্দি দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করছে তাও কোন উপকার হচ্ছে না । আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে যে নিউজগুলো থাকবে এগুলো অনুসরণ করলে আপনার সর্দি ভালো হয়ে যাবে । হঠাৎ করে নাক

জেনে-রাখুন-নাকের-সর্দি-দূর-করার-১০টি-ঘরোয়া-উপায়

বন্ধ হওয়া যায় একটি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে । তবে এর থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া অনেক ধরনের টিপস রয়েছে যা আপনাদের সঙ্গে এখন শেয়ার করব চলুন তবে জেনে নিন । ঘরোয়া উপায়ে সর্দি দূর করার উপায় ।

নাকের সর্দি দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

সর্দি কাশির দূর করার অনেক ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে । আমরা সবাই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে সর্দির কবলে পড়ি। এই সর্দির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা উপায় আমাদের সকলের জানা নাও থাকতে পারে । বিভিন্ন কারণে আমাদের সর্দি হয়ে থাকে যেমন ঋতু বদলে যাওয়ার

আরো পড়ুনঃ খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়

সময়, একটু ঠান্ডা লাগলে ,গরম লাগলে, আবহাওয়া চেঞ্জ হলে, আর বিশেষ করে দেখা যায় শীতের মৌসুমে নাক বেশি বন্ধ হয় । নাকের সঙ্গে সঙ্গে মাথা ব্যথা মাথা ভারী গলা বসে যাওয়া ইত্যাদি ওই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় । যা নিয়ে আমাদের পড়তে হয় ঝামেলায় ও অস্বস্তিতে। দেখা যায় ঔষধ নিলেও
তার ফল পাওয়া যায় দেরিতে । 

আরো পড়ুনঃ বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

এই সমস্যা বুঝতে হয় অনেক দিন। কিন্তু বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়াটা জরুরি হয়ে ওঠে । কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ম মেনে গ্রহণ করলে অল্পতে স্বস্তি পাওয়া যায় । তাহলে চলো জেনে নিই ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি ।

  • রসুন তেল গরম করে মাথায় ও গলায় দিতে হবে ।
  • গরম পানি পান করতে হবে ।ঝাঁজ জাতীয় জিনিস খেতে হবে।
  • সরিষার তেল মাখতে হবে ।
  • ঠান্ডা যেন না লাগে সেরকম ব্যবস্থা করতে হবে।
  • গরম চা খেতে হবে।
  • তেজপাতা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি ভালো হয় ।
  • কিংবা এক গ্লাস গরম পানি সঙ্গে পাঁচ ছয়টি তেজপাতা ভিজিয়ে খেতে পারেন।
  • শোবার সময় মাথা উঁচু করে শুতে হবে ।
  • পিয়াজের ঝাঁঝ নাকের কাছে নিতে হবে।

  • ঠান্ডা খাবার খেতে দেরি করে থাকতে হবে

এই ধরনের পদ্ধতি গুলো আপনি একসাথে ব্যবহার করতে পারেন । দেখবেন নাকের সর্দি অনেকটাই কমে গেছে । এই পদ্ধতি গুলো গবেষণা করে দেখা গেছে অনেক ভালো কার্যকর করে শরীরের জন্য । ও দ্রুত সর্দি দূর হয় । এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ঘরোয়া উপায় রয়েছে ।

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

সর্দি কাশি হলে ঘরোয়া ওষুধের সঙ্গে ডাক্তারের ওষুধ খাওয়া উচিত । কারণ বিভিন্ন ওষুধের বিভিন্ন রকম গুণাবলী । ঔষধ খেলে আপনার সর্দি আরো তাড়াতাড়ি ভালো হবে । এই সর্দি ভালো করার জন্য ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন দিয়ে থাকে । কিন্তু আমরা মন বোঝানোর ক্ষেত্রে ওষুধ খেয়ে থাকি ।

কারণ সর্দি কাশি এমনিতেই ১০ থেকে ১৫ দিন পর ভালো হয়ে যায় । আবার ওষুধ খেলেও সেই গড়ে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লেগে যায় । তবে এর থেকে যেন আরো বেশি বৃদ্ধি না পাই সে ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে । চলুন তবে জেনে নিন কি কি ওষুধ সর্দির জন্য বাধ্য হয়েছে ।প্যারাসিটামল, প্যারাসিটামল টি বিভিন্ন অসুখের ক্ষেত্রে খেতে দেয়া হয়ে থাকে ।

যেমন সর্দির, জ্বর, শরীর ব্যথা, কাশি , ইত্যাদি প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে ।সর্দির ড্রপ , বিভিন্ন ধরনের সর্দির ড্রপ পাওয়া যায় যা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে নাক হালকা হয়ে যায় ও শ্বাস নিতে অসুবিধা বোধ করে ।ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় ৬ বছরের নিচে বাচ্চাদের নাকে ড্রপ দিতে মানা করে থাকে । 

ডাক্তাররা যদি পরামর্শ করে যে ড্রপ সাজেস্ট করবে সেটি ব্যবহার করতে পারেন ।অ্যান্টিভাইরাল, এই সর্দির জন্য বিশেষ কোনো ওষুধের প্রয়োজন হয় না। তবে যাদের অতিরিক্ত মাত্রায় সর্দি রয়েছে তারা এটিকে ব্যবহার করতে পারে তবে ডাক্তারের পরামর্শ সাপেক্ষে ।এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে । 

যা ডাক্তাররা রোগী দেখার পরে পরামর্শ দিয়ে থাকেন । তবে আমার মতে সামান্য সমিতির জন্য ঔষধ না খাওয়ান ভালো । এটি সাধারণত .৭থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় । ওষুধ খেলেও এর রেজাল্ট কমবেশি একই থাকে । তবে ভালো ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে পারে ।

সর্দি কাশি হলে করণীয় কি

গ্রীষ্ম , বর্ষা, শীত যেকোনো ঋতু বদল হওয়ার সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি । এ সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় যেমন মাথা ব্যথা, বুক ব্যথা , কাশি, সর্দি , জ্বর , শ্বাসকষ্ট , ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ি । এই সর্দি কাশি হলে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধান করা যায় । 

কিন্তু এখন সময় হয়ে গেছে একটু কিছু হলেই ডাক্তারের কাছে চলে যায় । আগের মানুষ ডাক্তারের কাছে না গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া উপায়ে আসুক এর চিকিৎসা করত । তখনও তার ভালো ফলাফল ছিল এখনো ভালো ফলাফল আছে ঘরোয়া উপায় । আপনারা যদি বেশি সর্দি কাশি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন । 

কিন্তু হালকা থাকলে যা যা করতে পারেনএক গ্লাস দুধ ও ২ চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন ।খুসখুসে কাশি হলে আদা চা করে খেতে পারেন ।তুলসী পাতার রস ও চা করে খেতে পারে ।রসুন গরম তেল শরীরে মালিশ করতে পারে ।বিভিন্ন ধরনের ফার্মেসি থেকে ড্রপ কিনতে পাওয়া যায় । ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন ।বিভিন্ন ধরনের সিরাপ পাওয়া যায় সেটি খেতে পারেন।

নাপা বা প্যারাসিটামল খেতে পারেন ।মধু খেতে পারে ।এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে । যা ডাক্তাররা রোগীদের সাজেস্ট করে থাকে । তাই সবাইকে একটি সাধারণত অনুরোধ করতে হবে যে কোন ওষুধ খাওয়ার আগে তা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে । কিন্তু ঘরোয়া উপায় গুলো আপনি চোখ বন্ধ করে অবলম্বন করতে পারেন দেখবেন ভালো ফলাফল পাবেন ।

সর্দি কাশি হলে কি করা যাবে না

সর্দি কাশি হলে আমাদের যে কাজগুলো করা একদমই উচিত না সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব । আমাদের সর্দি,কাশি হলে বিভিন্ন ধরনের ভুল কাজও ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করি । দেখা যায় এর ফলে সর্দি ভালো হওয়ার থেকে আরো খারাপ হয়ে যায় । তবে আমাদের যে কাজগুলো থেকে দ্রুত থাকা উচিত সেগুলো হলবিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা খাবার যেমন আইসক্রিম ,আরছি , সেভেন আপ, দুই , ঠান্ডা পানি ইত্যাদি জাতীয় জিনিস একদম হওয়া যাবে না ।

ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না ।গলায় বা শরীরে শীত লাগানো যাবে না ।কলা খাওয়া যাবে না ।বেশি বেশি গরম গরম খাবার খেতে হবে ।ওই সময় ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয় । সেগুলো না খেলে নিয়ম মেনে চললে কোনরকম সমস্যা হয় না । তাই যে কোন সমস্যা হবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । তার আগে বিশ্বাস করবে ৪ বছরের নিচে বাচ্চাদের কোন ওষুধ পরামর্শ ছাড়া খাওয়ানো যাবে না ।

লেখকের মতামত

আমরা বিভিন্ন সময় নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এতে করে আমাদের পেতে হয় অনেক কষ্ট। তাই আমরা মেনে যে কোন কাজ করব । যাতে পরবর্তীতে কোন কষ্ট করতে না হয় । বিভিন্ন ঋতুর বদলের সময় দেখা যায় বেশি এ ধরনের সমস্যা । সমস্যা গুলি হল সর্দি , কাশি , মাথা ব্যথা , কিন্তু ব্যথা ,
শ্বাসকষ্ট এগুলো বিশেষ করে শীতের মধ্যে বেশি দেখা যায় ।

তাই আমাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । আর যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । ওষুধে আপনার জীবনে ফিরে যেতে পারে এটি সব সময় মাথায় রাখবে । কিন্তু যে ঘরোয়া উপায় গুলো বলা  হয়েছে সেগুলো মেনে চললে ওষুধের প্রয়োজন হবেনা।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলোনাকের সর্দি দূর করার ঘরোয়া উপায়

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url