রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাপ্রিয় পাঠক আপনি হয়তো রসুন খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । কিন্তু আপনার মন মত কোথাও উত্তর গুলো পাচ্ছেন না। আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার মনের সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। রসুনের যে সকল উপকারগুলো রয়েছে তা
অতি সংক্ষিপ্ত রূপে তুলে ধরার চেষ্টা করব । যাতে করে আপনার বুঝতে সহজ হয় ও আপনার মন মত প্রশ্নের উত্তর পান ।
রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন । কারন আমরা সবাই কমবেশি এই রসুন শব্দটির সঙ্গে পরিচিত । তাই আমাদের জানাও প্রয়োজন যে রসুনের কি কি উপকারিতা হয়েছে ওর অপকারিতা রয়েছে । দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে এই রসুনকে ব্যবহার করে থাকি। তরকারি থেকে শুরু করে ঝাল মুড়ি পর্যন্ত এই রসুন ব্যবহার করে থাকেন ।
এই রসুন আমাদের তরকারি বা যেকোনো প্রয়োজনীয় খাদ্যকে সুস্বাদু করে তোলে । পিঁয়াজ মরিচের মত রসুন ও একটি জনপ্রিয় মসলা ধরা যায় । প্রাচীনকালে এই রসুনকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো ওষুধ হিসাবে । যোগ পরিবর্তন হতে হতে এখন এটি মসলায় রূপান্তরিত হয়েছে । এবার চলুন জানবো রসুনের উপকারিতা গুলো কি কিঃ
- প্রথমত রোগ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
- পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
- ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ থেকে দূরে রাখে ।
- বিভিন্ন কোষ কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
- হাড়কে শক্তি ও মজবুত করে ।
- ত্বকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায় রসুন খেলে । রসুন একটি প্রাকৃতিক ফল হিসেবেও বিবেচিত করা হয় । আর যে কোন প্রাকৃতিক ফলে উপকারিতা থাকে বেশি । ঠিক এর রচনার ক্ষেত্রেও তেমন পরিবর্তন দেখা যায় না । তাই এ রসুনের উপকারিতা রয়েছে অনেক অনেক বেশি । এবার জানবো রসুন খাওয়ার ফলে কি কি অপকারিতা হয় আমাদের শরীরে ।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে দেখা গেছে লিভারের সমস্যা দেখা দেয় ।
- গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ।
- শরীরে রক্তের ঘনত্ব কমে যায় ।
- গর্ভবতী নারীর রসুন খেলে প্রসবের যন্ত্রণা বেড়ে যায় ও রক্তক্ষরণ দেখা দেই ।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে হাইফেরা নাম ক অসুখের সম্ভাবনা থাকে ।
- অতিরিক্ত রসুন খেলে বাড়তে পারে এলার্জি ।
তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন রসুন থেকে বিরত থাকাই ভালো । যদিও রোশনে উপকারিতা রয়েছে তাও রসুন থেকে বিরত থাকা ভালো । আপনার যদি কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই তা পরিবর্তন করুন । না হলে হতে পারে লিভারের মতো বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা । কিন্তু নিয়ম মেনে প্রতিদিন যদি দুই এক কুয়া খেয়ে থাকেন তাহলে সেরকম একটি ক্ষতি দেখা হয় না । তবে এটি প্রাপ্তবয়স্ক নিয়ম মেনে খেতে পারেন পরিমাণ মতো । বিভিন্ন ধরনের রসুন বাজারে পাওয়া যায় কিন্তু দেশি রসুন টাই ভালো বলে ধারণা করা হয় অন্য রসুনের থেকে।
কাঁচা রসুনের উপকারিতা
সকাল বিকেল কিংবা রাত যেকোনো সময়ে এক থেকে দুই কোয়া রসুন খেতে পারেন । এতে করে পাবেন বিশেষ বিশেষ উপকার । এমনি যদি কাঁচা রসুন থেকে না পারেন তবে অন্য কোন কিছু সঙ্গে মিলিয়ে খান । রসুনে রয়েছে অনেক ধরনের গুণাবলী যেমন চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করে ইত্যাদি । এভাবে যদি নিয়মিত কাঁচা রসুন খেয়ে থাকেন তাহলে পাবেন বিশেষ বিশেষ উপকার দেহের জন্য। আপনার দেহে কোলেস্টরেল মাত্রা কমাতে সাহায্য করে । যারা বেশিরভাগ হৃদরোগে ভুগছে, তারা যদি নিয়মিত কাঁচা রসুন খায় তাহলে এই রোগে আক্রান্ত আশঙ্কা অনেকটাই
কমে যায় ও অনেক বেশি অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে । হাইড্রোজেন লেভেল বাড়তে সাহায্য করে ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে । মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্টোজেন লেভেল ভালো করতে সাহায্য করে ।লেড টক্সিসিটি নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে । এ ক্ষেত্রে সবথেকে যদি ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার
না করে রসুন খান । বিশেষজ্ঞদের মতে সিদ্ধ রসুনের থেকে কাঁচা রসুনের থাকে বেশি পরিমাণ উপকারিতা । একটি রসুন ছেলার সঙ্গে সঙ্গে বা বাটার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে না হলে কমে যাবে তার গুনাগুন মাত্রা । বিভিন্ন ধরনের বাটা রসুনের কাঁচা রসুনের মতো উপকার থাকে না ।
রসুনের ক্ষতিকর দিক
আমরা জেনে না জেনে অনিয়মিতভাবে পরিমাণের মাত্রা পার করে রসুন খায়। এতে করে দেখা দেয় আমাদের নানা রকম সমস্যা । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে যেকোনো জিনিস খাওয়ার আগে তা ভালো করে জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । যেমন উপকারী দিক ঠিক তেমনি রয়েছে ক্ষতিকর দিক । চলুন তাহলে জেনে নিই রসুনের কি কি ক্ষতিকর দিক হলো দেখা যায় ।
- যকৃতের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়
- ডায়রিয়া জনিত সমস্যা ।
- রক্তের ঘনত্ব কমে যায় ।
- গর্ভবতী নারীদের জন্য রসুন খাওয়া একেবারে বারন এর কারণ হচ্ছে রসুনের গর্ভধারণের প্রসব ব্যথা বেড়ে যায় । ও বুকের দুধের স্বাদ কমে যায় ।
- মাথা ঘোরা ।
- অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ।
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে । প্রমাণস্বরূপ দেহা যায় যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী , দেখা গেছে যে খালি পেটে যারা রসুন খেয়েছে তাদের বুক জ্বালাপোড়া করে , বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৯০% । এছাড়াও বৃষ্টির শক্তি হারানোর সম্ভাবনা থাকে । সে ক্ষেত্রে রসুনকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে বেশি খেতে গেলে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
প্রতিদিন রসুন খেলে কি হয়
প্রতিদিন রসুন খেলে কি হতে পারে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন । আসলে যারা প্রতিনিয়ত প্রতিদিন রসুন খায় তাদের কাছে এই প্রশ্নটা করা স্বাভাবিক বিষয় । প্রতিদিন তুমি রসুন খেয়ে হচ্ছেন আপনার দেহের না হচ্ছে উপকার । চলুন জেনেনি।আপনার শরীরে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা
করে । ও ত্বকের বিভিন্ন কোষের ক্ষতিকর দিকগুলো সারতে সাহায্য করে । ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । ওজন কমাতেও এটি বিশেষ কার্যকরী দিক পালন করেন । রসুনের প্রচুর এন্টি অক্সিজেন থাকার ফলে ইউরিন জাতীয় ইনফেকশন কমায় । স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এছাড়াও আরো
অনেক দিক রয়েছে তবে এগুলো পেতে হলে খেতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে । বেশি পরিমাণে খেলে এর বিপরীত্য হতে পারে আপনার সাথে যেমন বিভিন্ন রোগের কবলেও করতে পারেন । তাই আশা রসুন খাওয়ার ফলে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ।
ভরা পেটে রসুন খেলে কি হয়
ভাড়া পেটে রসুন খেলে কি হয় এটি নিয়ে অনেকেই জানতে চাই । মানুষ সাধারণত খালি পেটে রসুন খায় ।এবং খালি পেটে রসুন খেলে পাওয়া যায় অনেক ধরনের উপকার ।এছাড়াও আমরা দৈনন্দিন জীবনে এই রসুন খেয়ে থাকি । তরকারি স্বাদ বাড়াতে বা বিভিন্ন প্রয়োজনে । রসুন খেলে মিলে উপকারিতা কিন্তুখালি পেটে রসুন খেলে যে উপকার মিলে ।
ভরা ফেটে রসুন খেলে খালি পেটে রসুন খাওয়ার মত উপকার মিলেনা । তবে রসুন যে ভরা পেটে খেলে উপকার মিলে না তা কিন্তু নয় । ভরা পেটে রসুন খেলে পাবেন অল্পপরিমাণে।তবে আপনি যদি এই রসুনটি ঠিকভাবে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার বিভিন্ন রোগবৃতি থেকে থাকবেন দূরে । আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন যে ভরা পেটে রসুন খেলে তেমন একটি উপকার পাওয়া যায় না ।
লেখক এর মতামত
আমরা সবাই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করে থাকে আমাদের খাদ্যে স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য । তবে তার ভেতরে রসুনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মসলা হিসাবে গণ্য করা হয় । এই রসুন চিকিৎসার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন । তবে প্রত্যেকটি জিনিসেরই দুইটি করে দিক থাকে
একটি ভাল দিক ও অপরটি ক্ষতিকর দিক । তবে যে কোন জিনিস খাওয়ার আগে সতর্কতার সঙ্গে এবং তার নির্দিষ্ট মাত্রা মেনে খাওয়া ভালো। এতে যেমন না থাকে অসুস্থ হওয়ার ভয় ঠিক তেমনি থাকে সুস্থতা থাকার নির্ভর । তাই আমার কথা মতে এই রসুনটিও খাবার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজনীয়
না হলে পড়তে পারে নানা রকম সমস্যার ।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url