এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার - চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারপ্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করব এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ও চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করবেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে এলার্জিতে ভুগছেন কিন্তু সঠিক উপায় বা নিয়ম জানতে পারছেন না । আশা করি আমার এই পোস্টটি করার পরে আপনার এলার্জি জাতীয় রোগ দূর হবে ইনশাআল্লাহ । এলার্জি হলে আপনি কিভাবে
নিম পাতার ব্যবহার করতে পারেন এই বিষয়গুলো আজকে আলোচনা করা হবে । এছাড়া যাদের বিভিন্ন ধরনের বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে । এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করবেন যে যে উপাযজ গুলো মেনে চলুন তাহলে জেনে নেয়া যায় এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার নিয়মবিধি ।এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার কি
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করলে কি এলার্জি ভালো হয় এই প্রশ্নটি প্রায় অনেকেই করেন । আজকে এই প্রশ্নর সঠিক উত্তর দেয়ার জন্য এই পোস্টে লেখা হয়েছে । যারা অনেকদিন ধরে এলার্জিতে ভুগছেন কিন্তু ভালো হচ্ছে না অনেক চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে । তারা যদি এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করে আশা করা যায় তাদের এলার্জি ভালো হতে অনেক সাহায্য করবে ।
আরো পড়ুনঃ চুলের জন্য পেঁয়াজের অপকারিতা
যারা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করে তাদের মতে এটি খুব দ্রুত ও অল্প সময়ের ভেতরে এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে । তাহলে হয়তো আপনি বুঝতে পারলেন যে এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করলে কাজ হয় কিনা । হ্যাঁ কাজ হয় যারা অনেকদিন ধরে এলার্জিতে ভোগেন কিন্তু অনেক চিকিৎসা করার পরেও ভালো হচ্ছেন না।
তারা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার রোগ খুবই দ্রুত ভালো হতে সাহায্য করে । এনার্জি বা চুলকানি জাতীয় যেসকল সমস্যা গুলো রয়েছে নিম পাতা ব্যবহার করলে সেগুলো অল্পতেই ভালো হয়ে যায় । আমরা জানি নিম পাতার উপকারিতা অনেক বেশি । যে কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দমন করতে নিম পাতা অনেক শক্তিশালী একটি উপায় ।
যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিম পাতা ব্যবহার করতে পারেন । দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার এলার্জিজনিত যে সকল সমস্যা ছিল সব দূর হতে শুরু করুন । যে নিয়মগুলো বললাম এগুলো যদি আপনি নিয়ম মেটাবেন ১০ থেকে ১৫ দিন লাগাতার করতে থাকেন তাহলে আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হবে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার কিভাবে করবেন এই বিষয়টি।
রক্তে এলার্জির ঔষধ
তাদের রক্তের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আলাদা করে তৈরি করা হয়েছে রক্তে এলার্জির ওষুধ । অনেকেই জানতে চায় রক্তে এলার্জির ওষুধ এর নাম গুলো কি । আজকে আমরা জানাবো রক্তে এলার্জির ওষুধের নাম গুলো কি কি এর । আগে জেনেছি এলার্জিতে নিম পাতার কিভাবে ব্যবহার করবেন এই বিষয়টি ।
চলুন জেনে নেয়া যাক রক্তে এলার্জির ওষুধ এর নাম গুলো হলোঃ আপনাদের যদি রক্তের এলার্জি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারদের সাজেস্ট করা ওষুধ খাবেন । এর কারণ হচ্ছে বাজারে অনেক ধরনের ডুপ্লিকেট ওষুধ পাওয়া যায় যা খেয়ে কোন উপকার হয় না । তাই আপনার যদি এনার্জির সমস্যা থাকে বা রক্তে এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে।
কারণ রক্তের এলার্জি এটি একটি খুব জটিল রোগ যা ভালো না হলে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । তাই আপনাকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এলার্জি ভেদে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে আপনার শরীরে । জাতা-মাতা ওষুধ খেয়ে নিজের ক্ষতি বাড়াবেন না । তবে যে সকল ওষুধগুলো খেলে রক্তে এনার্জি কমতে সাহায্য করে।
সেগুলো হলো এলার্জিক কন্ডিশনে এন্টিহিস্টামিন এটি খেলে আপনার এলার্জি ভালো হতে সাহায্য করবে । আন্টি হিস্টামিন যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে আপনি ফলাফল পাবেন । এর সঙ্গে আপনি অ্যালাট্রল কিংবা সেটিজিন প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় একটি করে খেতে পারেন ।
তবে আমার মতে এলার্জি জনিত সমস্যা নিয়ে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আয় ভালো । কারণ রক্তে এলার্জি একটি খুব বড় সমস্যা । যা ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে । তাছাড়া এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার করবেন এ বিষয়টি কিছুক্ষণ আগেই বলা হয়েছে । আশা করি রক্তে এলার্জি হলে কি করবেন এই বিষয়টি আপনি ক্লিয়ার হয়েছেন ।
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা
নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা রয়েছে অনেক । যা জানলে আপনি প্রতিদিন নিমপাতা দিয়ে গোসল করবেন । আমরা সকলেই জানি নিমপাতা আমাদের জন্য কতটা উপকারী। নিম পাতায় যে সকল উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদেরকে অনেক উপকার করেন । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যা নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা গুলো কি কি ।
আপনি যদি প্রতিদিন নিমপাতা পানির সঙ্গে গরম করে ওই পানি দিয়ে গোসল করেন তাহলে আপনার দেহে চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকবে । বিভিন্ন ধরনের শরীরে লাগা ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যাবে। আবার অনেকে দেখা যায় ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে নিম পাতা গরম পানি করে গোসল করেন । আর এটি বহু যুগ থেকে চলে আসছেন এই নিয়ম । এর ফলে
- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
- চুলের সমস্যা দূর হয়।
- চুলকানি জনিত রোগ থেকে দূরে থাকে।
- গায়ের বিভিন্ন ব্যথা সারতে সাহায্য করে ।
- আপনার শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে
গরম পানিতে ৫ মিনিট থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত নিমপাতা কে ফুটিয়ে নিতে হবে।এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা তো রয়েছেই নিম পাতা দিয়ে গোসল করলে । আর নিল পাতা খেলে তার থেকে বেশি উপহার রয়েছে। যেমন এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করলে যে সকল উপকারিতা গুলো পাবেন তা উপরে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।
নিম পাতা দিয়ে গোসল করলেও অনেক ধরনের উপকারিতা পাবেন তা বলা হলো । এছাড়াও নিম পাতা দিয়ে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি করা হয় । কোন ঔষধি গাছের নাম বলতে গেলে সবার আগে নিম গাছের কথা মনে পড়ে। এটি সব দিক দিয়ে আমাদের উপকারিত করে থাকে । আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা কি কি রয়েছে তা বুঝতে পেরেছেন ।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার বিধি জানবো। এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার কি কি রয়েছে এ বিষয়গুলো জেনেছি । এখন জানবো যারা দীর্ঘদিন ধরে ব্রণের জন্য নিমপাতা ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন কিন্তু সঠিক নিয়ম পাচ্ছেন না । সঠিক নিয়ম গুলো জানানোর চেষ্টা করব ।
আর ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করলে কি কি উপকারিতা গুলো পাবেন এ বিষয়গুলো জানানোর চেষ্টা করব । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ব্রণ হলে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন । যাদের মুখে অতিরিক্ত ব্রণ ভালো হচ্ছে না তারা এ নিয়ম গুলি ফলো করবেন ।
- কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা বেটে আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারেন ।
- নিম পাতার রস মুখে তেল তেলের মত করে ব্যবহার করবেন ।
- নিম পাতা গরম পানি দিয়ে গোসল করবেন ।
এই তিন চারটি মাধ্যমে আপনি মুখের বরুন দূর করতে পারেন । এছাড়াও অনেকে নিম পাতা রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করে । নিম পাতার মুখে ব্যবহার করলে মুখের বিভিন্ন ধরনের মরা কোষ দূর হয় ও নতুন কোষ জন্ম নেয় । মুখের খসখসে ভাব দূর করে । মুখে আগে থেকে অনেক গুলো করে । মুখে ফর্সা ফর্সা ভাব আসে ।
আরো অনেক ধরনের গোলাগুলি রয়েছে এই নিম পাতার মধ্যে যা আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি । নিম পাতার উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমন ক্ষতিও রয়েছে কিন্তু ক্ষতিকর দিকগুলো খুবই কম । নিম পাতার কথা মনে হলে নিমের সব উপকারিতার কথাগুলো মনে পড়ে যায় । তাই যারা ব্রণ নিয়ে চিন্তার মধ্যে আছেন তারা এই পদ্ধতিটি ফলো করতে পারেন ।
লেখকের মতাম
যারা এলার্জি সমস্যায় অনেকদিন ধরে ভুগছেন কিন্তু সঠিক নিয়ম পাচ্ছেন না। আশা করি এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন। তবে যাদের রক্তে এলার্জি রয়েছে তাদের ডাক্তারের সেবা নিয়ে আয় সর্বোত্তম বলে মনে করা হয় । আরে ডাক্তার যে ওষুধগুলোর সাজেস্ট করবে সেগুলোই খাওয়া উচিত ।
এর কারণ হচ্ছে এলার্জি অনেক ধরনের থাকে তাই আপনাকে সাধারণত অবলম্বন করতেই হবে । তবে যারা এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার জানতে চাইছিলেন আশা করি সঠিক তথ্য পেয়েছেন । এছাড়াও যে কোন যে সকল তথ্য বলা হয়েছে আপনি যদি নিয়ম মেনে ব্যবহার করেন ভালো ফলাফল পাবেন ।
এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার পরিচিতর কাছে শেয়ার করুন। এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টে করে জানান আপনার কেমন লেগেছে আর ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url