নিম পাতার ক্ষতিকর দিক । নিম পাতার ব্যবহার

প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করব নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে। অনেক মানুষ প্রশ্ন করেন নিম পাতার ক্ষতিকর দিক উপকারিতা গুলি কি কি । চলুন তাহলে আজকে থেকে নিয়ে যাক নিম পাতার
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক । নিম পাতার ব্যবহার
ক্ষতিকর দিকগুলো ও নিম পাতার বিভিন্ন ব্যবহার কি কি রয়েছে। আপনি যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন । আশা করি নিম পাতা নিয়ে আপনার মনে আর কোন ধরনের প্রশ্ন থাকবে না।

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক

নিম পাতার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অনেকেই জানতে চায় বা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। আজকে তাই সর্বপ্রথম নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরব। প্রতিটি জিনিসের তৈরি করে দিক রয়েছে একটি ভালো অপরটি খারাপ ঠিক তেমন নিম পাতার ক্ষতিকর দিক রয়েছে। তবে নিম পাতা তুলনামূলকভাবে

ক্ষতিকর দিকগুলো খুবই কম অন্যান্য জিনিসপত্র থেকে। অনেকেই বলে থাকেন যে কোন মানুষের যদি লিভার বা কিডনির কোনরকম সমস্যা থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ছাড়া নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয় । এতে ক্ষতিও হতে পারে বলে ধারণা করা যায়। আবার গর্ভাবস্থায় নিম পাতার 

বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে বলা হয় । পেটে বাচ্চা নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে বলা হয়। নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো আরো বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যা আমাদের সবার যেন নাও থাকতে পারে । তাই নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো এড়ানোর জন্য নিম পাতা ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞদের বা ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া জরুরী ।

নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়

অনেকে এটাও জিজ্ঞাসা করেন নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়। নিম পাতা মুখে দিলে মিলবে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা। ত্বকে নিম পাতা ব্যবহার করলে যে উপকারিতা গুলো মিলবে সেগুলো শুনলে আপনিও অবাক হবেন। ত্বকে ভালো রাখার জন্য আদিমকাল থেকে এই নিম পাতার ব্যবহার চলে 
আসছে। যতদিন আধুনিক হচ্ছে তত নিম পাতার ব্যবহারও আধুনিক হচ্ছে। আপনার তোকে যদি কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক জাতীয় কোন কিছু বাসা বাদে তাহলে নিম পাতায় তাদেরকে নির্ভর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর ওষুধ হিসেবে কাজ করে । নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় যেসব জেনে আসি
  • বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে।
  • মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।
  • অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করবে।
  • মুক্তি আরও লাবণ্যময় করে তুলে।
  • মুখের বিভিন্ন রঙের গোড়া থেকে ময়লা দূর করে।
  • বিভিন্ন কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
  • ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে নিম পাতার মধ্যে । এজন্যই আপনি যদি কয়েকদিন নিমপাতা ক্রিম বানিয়ে মুখে ব্যবহার করেন তাহলে এই ধরনের উপকারিতা গুলো পাবেন। নিম পাতার ক্ষতিকর দিক গুলো প্রথমেই আলোচনা করেছি আপনি যদি পড়ে না আসেন তাহলে নিম পাতার 

ক্ষতিকর দিকগুলি করে আসার জন্য অনুরোধ রইল এতে করে আপনারই ভালো হবে। এছাড়া অনেক ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর নিমপাতা মুখে দিলে কি হয় এই সম্পর্কে কিছুটা হলেও আপনাকে বোঝাতে পেরেছি। আপনি যদি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বা বিভিন্ন ডাকঝবের জন্য চিন্তিত থাকেন তাহলে নিম পাতা বেটে আপনার মুখে ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভালো ফলাফল পাবেন।

নিম পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

নিম পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো কি কি এই বিষয়ে জানতে চেয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন। ওই প্রশ্নের ক্ষেত্রেই আজকে নিম পাতার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। প্রথমে আলোচনা করেছি নিম পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো কি কি। তাই সেগুলো আলোচনা আর না করে নিম পাতার বিভিন্ন 

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো আলোচনা করব । এই নিম পাতা শুধু আমাদের বাংলাদেশেই পরিচিত লাভ করেছেন তাই নয় বরং গোটা বিশ্বেই এই নিমপাতার নাম রয়েছে অনেক । অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অতিরিক্ত নিমপাতা ব্যবহার করে তাদের কিডনি বা লিভারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি দেখা 

দেয়। এর ফলে যদি কেউ প্রফেশন না করে তাহলে আস্তে আস্তে কিডনির বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় এবং কিডনিতে পাথর হতে শুরু করে। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সক্রিয় উপাদান। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসকে ধ্বংস করে। নিমের তেলের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের 

ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী ও ফাঙ্গাস বিরোধী উপাদান থাকে তাই কখনো কখনো ব্যাবহার সময় এলার্জি এর অনুভব করা যায়। কিন্তু এ ধরনের সমস্যা খুব একটা দেখা যায় না তবুও সাবধান থাকাই ভালো। তাই আমাদের সবার উচিত নিম পাতা ব্যবহার করার সময় একবার হলেও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা 

প্রয়োজন। কারণ নিম পাতার বেশি নেই কিন্তু যে দুই একটি ক্ষতি রয়েছে এগুলোই বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রূপ নিতে পারে। যা আমরা নিম পাতার ক্ষতিকর দিক এই বিষয়ে পড়েছি।

নিম পাতার ব্যবহার

নিম পাতার ব্যবহার এই বিষয়টি নিয়েও অনেক প্রশ্ন দেখা যায়। আজকে এই নিম পাতা নিয়ে আমরা কিছু মতামত প্রদান করব। যারা নিমপাতা ব্যবহার সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তার জন্য কি পোস্টটি লেখা। এই নিম পাতার ব্যবহারটি আদিম কাল থেকে এই কাল পর্যন্ত এখনো চলে আসছে। যত দিন যাচ্ছে নিম 
পাতার ব্যবহার তত বেশি পেতে পাচ্ছে । 

এই নিম পাতায় রয়েছে অফুরন্ত উপকারিতা। যা আমাদের শরীরের বা মুখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় । ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করেন আবার কেউ জ্বর হলেও এটি ব্যবহার করেন। তবে নিম পাতায় কয়েকটি সাইড ইফেক্ট রয়েছে যা আমরা নিম পাতার ক্ষতিকর দিক এই বিষয়ের মধ্যে পড়েছি। এখন আমরা জানবো নিম পাতার বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার সম্পর্কে।
  • নিম পাতার ব্যবহার সাধারণত দুই ধরনের হয়
  • কেউ খেয়ে ব্যবহার করে
  • কেউ রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করে
  • কি ব্যবহার করার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা
  • চুলকানি প্রতিরোধ করে
  • পেটের কৃমি নির্মূল করে
  • দাঁতের বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করে
  • রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  • শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে
  • জন্ডিস রোগ ভালো করে
  • বাত ব্যথা দূর করে
  • ম্যালেরিয়া ভালো করে
  • চোখের সমস্যা দূর করে
এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে নিমপাতা বা নিমের ছাল খাওয়ার মাধ্যমে। এমনকি তাদের ঘন ঘন জ্বর হয় তারা যদি এই নিমপাতা বা রিমের ঝাল ভিজিয়ে খায় তাহলে জ্বরের এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।
  • নিম পাতায় রূপচর্চায় ব্যবহার করে যা হয়
  • মুখ পরিষ্কার হয়
  • বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে
  • মুখে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
  • লাবণ্যতা বাড়ায়
  • ব্রণ দূর করে
  • সজীবতা ফিরিয়ে আনে
  • ত্বককে ফর্সা করে তোলে
ইত্যাদি এই বিভিন্ন ধরনের উপকার পাবেন রূপচর্চার কাজে ব্যবহার করলে নিমপাতা। তাহলে আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতা ব্যবহার করলে। আপনার শরীরে বা আপনার ফেসে কি কি পরিবর্তন আসতে পারে ও কি কি উপকারিতা পাবেন নিম পাতা ব্যবহার করলে।

চুলের জন্য নিম পাতার উপকার

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। নিম পাতা ব্যবহার করলে নতুন চুল গজাতে শুরু করে। নিমের তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া কমায়। চুলকে আরো কালো করে। মাথায় খুশকি থাকলে তা ভালো হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে নিমের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ফাঙ্গাল বিভিন্ন উৎপাদন। যার 
ফলে আমাদের দেহে বা আমাদের চুলে এ ধরনের পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য করা যায়। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ধরনের উপাদান যা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর ফলেই চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে ও চুলের গোড়া মজবুত করে এবং নতুন চুল গজাতে শুরু করে। আশা 

করি চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা গুলো বুঝতে পেরেছেন। এসব আর বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা রয়েছে নিম পাতা বা নিমের তেলের মধ্যে । যা এই পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন। আর নিম পাতা ব্যবহারের আগে ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিবেন। এটি সবার জন্য সেম উপকারী নয়। কারণ এতে রয়েছে ক্ষতিকর দিক। যা আমরা নিম পাতার ক্ষতিকর দিক থেকে পড়ে জেনেছি।

লেখকের মতামত

প্রতিটি জিনিসের ভালো-মন্দ রয়েছে তাই এ নিম পাতার ক্ষেত্রেও এর কোন বিপরীত দিক নেই। নিম পাতা যেমন অনেকগুলো ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি নিম পাতার ক্ষতিকর দিক রয়েছে । সেগুলো আশা করি বুঝতে পেরেছেন। তাই যেকোন জিনিস খাবার আগে বা ব্যবহার করার আগে বিশেষজ্ঞ 

ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করা বা জিজ্ঞাসা করে জেনে নেওয়া ভালো। এতে পরবর্তী সময়ে থাকবে না কোন কিছু হওয়ার ভয় বা সাইড ইফেক্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url