জানেন রাখুন জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ গুলো কি কি
জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষাপ্রিয়া পাঠক আপনি হয়তো জল জলাতঙ্ক রোগ হলে একটি মানুষের দেহে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় । এই বিষয়গুলো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন । কিন্তু আপনার মন মত কোথাও তথ্য পারছেন না । আমি আশা করি আমার এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনার মনের সকল ধরনের প্রশ্নে
সমাধান পেয়ে যাবে । আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে জলাতঙ্ক রোগ কি করে পরীক্ষা করবে । জলাতঙ্ক হলে একটি মানুষের শরীরে কেমন পরিবর্তন হয় এ বিষয়ে ও কয় দিনের মাথায় জ্বালাতন করল শরীরে বিস্তার করে । তাহলে চলুন জেনে নেই জলাতঙ্ক রোগের সম্পর্কে বিস্তারিত ।
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ
জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ, জলাতঙ্ক নামটি শুনতে অন্য মনে হলেও এর প্রভাব অনেক ভয়ানক । জলাতঙ্ক রোগীদের বাঁচানো একপ্রকার অসম্ভব বলা যায়। তাই আমাদের সবারই জলাতঙ্ক রোগের সম্পর্কে জানা জরুরী । জলাতঙ্ক রোগের ইংরেজি নাম হল ( Rabies) । এই রোগটিকে ভাইরাস জাতীয়
আরো পড়ুনঃ হঠাৎ করে বুকে ব্যথা হওয়ার কারণ
রোগ হিসাবে বিবেচিত করা হয় । এই রোগটি সাধারণত যেকোনো প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে বিস্তার লাভ করে । আপনার পালিত পশুপাখি বা জীবজন্তু থেকে এ রোগ বিস্তার লাভ করে । কোন প্রাণীর কামড়ে বা লালার নিষ্পর্শে এলে এ রোগ আক্রান্ত হয়। সেগুলো প্রত্যেকটি প্রাণী নয় যে প্রাণী জলাতঙ্ক রোগে
আক্রান্ত তারা কামড়ালে ওদের লালা শরীরে প্রবেশ করলে জলাতঙ্ক রোগাক্রান্ত হতে পারে । জলাতঙ্ক রোগটি শুধু একটি শুধু এন্টারটিকা ছাড়া প্রত্যেকটি দেশে বা মহাদেশে এই রোগ দেখা যায় । জলাতঙ্ক রোগের কারণে সারা বিশ্বে বছরে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয় । জলাতঙ্ক রোগ হলে বোঝা যায় তার
কিসের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ আক্রান্ত হয়েছে । কুকুরের কামড়ালে সে কুকুরের মত আচরণ করে মুখ দিয়ে কুকুরের মতো শব্দ করে । যদি ছাগল থেকে আক্রান্ত হয় তাহলে ছাগলের মতো আচরণ করে । বিড়াল থেকে আক্রান্ত হলে বিড়ালের মত আচরণ করে ও মুখ দিয়ে শব্দ করে । এক কথায় যে প্রাণী
আরো পড়ুনঃ সিগারেট খেলে যে ১৫ টি রোগ হয়
থেকে আক্রান্ত হবে সে প্রাণীর মতো আচরণ করবেন। ও মাথা ব্যথা , গলা ব্যথা, চুলকানি , কামড়ে দরকার খিচুড়ি , খাবার খেতে না পারা , মুখ দিয়ে লালা ওঠা , ইত্যাদি এ ধরনের লক্ষণ গুলো বেশি হয় ।
জলাতঙ্ক রোগের পরীক্ষা
জলাতঙ্ক রোগ সাধারণত প্রাণী থেকেই আক্রান্ত হয় । এই রোগ পরীক্ষা করার রয়েছে কয়েক ধরনেরপদ্ধতি সেগুলো হলো
- রক্ত পরীক্ষা
- হরমোন পরীক্ষা
- আক্রান্ত ব্যক্তির মৌখিক পরীক্ষা
- রেডিওগ্রাফি পরীক্ষা
- আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষতস্থানের পরীক্ষা
জলাতঙ্ক কি ছোঁয়াচে রোগ
জলাতঙ্ক রোগটি ধীরে ধীরে এ দেশে বিস্তার গঠন করছে ও এর পরিমাণ দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে । এখন প্রায় বড় বড় মেডিকেল গলিতে দুই তিনটি করে জলাতঙ্ক রোগী থেকেই থাকে । এই জলাতঙ্ক রোগটিকে সাধারণত ছোঁয়াচে রোগ বলা হয় না । কিন্তু এই জলাতঙ্ক রোগীর লালার স্পর্শে এলে এই রোগটি সরানোসম্ভাবনা থাকে । যেমন আক্রান্ত কুকুর বিড়াল ছাগল হাঁস মুরগি ইত্যাদি । কোন প্রাণী যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে ওই ওই প্রাণীর লালার সংস্পর্শে এলে রোগটি ছড়ায় ।
জলাতঙ্ক রোগ সাধারণত প্রাণী থেকে শনাক্ত হয় । তাই এই রোগটি কামড়ানোর পরে কত দিনে আক্রান্ত হবে এর কোন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া নেই। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যে এই রোগ টি শনাক্ত হয়ে থাকে । এই ভাইরাসটি সবথেকে বেশি কুকুরের মাধ্যমে মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে । কিন্তু ৪থেকে ৫ দিনের
মধ্যে কোন ব্যক্তির যদি জলাতঙ্ক হয়ে থাকে তাহলে আস্তে আস্তে তার প্রভাবিত বিস্তরণ করবে । তবে বেশিরভাগ মানুষই বলে থাকে কুকুরের কামড়ালে ১০ দিনের মাথায় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে । তবে এই রোগটি সাধারণত বাংলাদেশও ভারতে বেশি হয়ে থাকে । এর একমাত্র কারণ হলো অসাবধানতা । তাই যারা এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে পড়ে ৫ দিনের মধ্যে নমুন সংরক্ষণ করা যায় ।
জলাতঙ্ক রোগের প্রতিকার
জলাতঙ্ক রোগ সাধারণত গৃহপালিত পশু পাখি থেকে হয়ে থাকে । তবে দেখা যায় বিভিন্ন হিংস প্রাণ থেকে এ রোগটি ব্যাপকভাবে সনাক্ত হয় । জলাতঙ্ক ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো প্রাণী যদি মানুষকে কামড়িয়ে দেয় তাহলে সেই মানুষটির ও এ জ্বালা তাকে ভাইরাসে আক্রান্ত হবে । এই জলাতঙ্ক থেকেবাঁচতে হলে প্রথমে টিকা দিয়ে দিতে হবে । এই ভাইরাসের বিভিন্ন রকম টিকা ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। এবং কি ওই আক্রান্ত ব্যক্তির যতদিন পর্যন্ত না হচ্ছে ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী নিতে হবে। আপনার ভেতরে কোন পরিবর্তন দেখলে বা সন্দেহজনক কিছু মনে হলে তাড়াতাড়ি গাছের সঙ্গে পরামর্শ করতে
হবে । রক্ত পরীক্ষা করতে হবে । ক্ষতস্থান পরীক্ষা করে নিতে হবে গরম পানি দিয়ে .২০ থেকে ১৫মিনিট ক্ষতস্থান ধৌত করতে হবে । জলাতঙ্ক রোগীকে করবে কে ৮ থেকে ৯ টি ভ্যাকসিন প্রদান করা হয় । লাস্টের বেলায় সেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বুস্টার ডোজ নিতে হয় এছাড়া আরো অনেক ডাক্তারের নিয়মে
ওষুধ খেয়ে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং সন্দেহজনক প্রাণী দেখলে তার থেকে দূরে অবস্থান করা । এছাড় জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত প্রাণী দেখলে মেরে ফেলতে হবে ।
লেখক এর মতামত
আমরা সাধারণত যারা গ্রাম গঞ্জে বাস করি তাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত । কারণ গ্রামে এলাকায় অনেক ধরনের পশু পাখি চলাফেরা করে থাকে যেমন কুত্তা বিড়াল হাঁস মুরগি ইত্যাদি ও শেয়াল এ ধরনের পশু পাখি থেকে সতর্ক থাকতে হবে । কারণ এই জলাতঙ্ক রোগটি সাধারণত পশু পাখিথেকে ছাড়াই। আর এ জলাতঙ্ক রোগে বেশি আক্রান্ত হয় ছোট ছোট বাচ্চারা । কারণ ছোট বাচ্চারা বাইরে খেলাধুলা করতে গিয়ে বিশেষ করে কুকুর থেকে এই জলাতঙ্ক রোগটি বেশি দেখা যায় । তাই আপনার বাচ্চাদের খুব শতকের সঙ্গে রাখবেন । আর এই জলাতঙ্কের অপর নাম মৃত্যু বলা হয়ে থাকে ।
এর কারণ যেসব রোগীর জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে তাদের বেশিরভাগই মারা যায় হাতে গোনা কয়েকজন বাঁচে তাও সুস্থতার সঙ্গে নয় । তাই আমরা সবাই সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করব।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url