ফলিক এসিডের কাজ কিপ্রিয় পাঠক আপনার জানেন কি ফলিক এসিডের কাজ কি ও ফলিক এসিড খেলে কি হয় । হয়তো এ বিষয়গুলো জানার জন্য আপনারা গুগলে খোঁজাখুঁজি করছেন । কিন্তু এর সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না । আশা করি আমার পোস্টটি সম্পন্ন পড়ার পরে
ফলিক এসিড কি, ফলিক এসিড এর কাজ কি, ফলিক এসিডের অভাবে কি হয় , ইত্যাদি এই সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফলিক এসিড সম্পর্কে ।
ফলিক এসিডের কাজ কি
আমরা সবাই ফলিক এসিড ট্যাবলেট এর নাম শুনেছি | এখন জানবো ফলিক এসিডের কাজ কি | ফলিক এসিড হল এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স জাতীয় ট্যাবলেট | এই ট্যাবলেটটি সাধারণত কাজ করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্য | যাতে করে আপনার বাচ্চা পুষ্টি সম্পূর্ণ
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়
ও ভালোভাবে জন্মগ্রহণ করতে পারে ।এইজন্যেই ফলিকএসিড ট্যাবলেট খাওয়া দাওয়া হয়ে । এছাড়াও ফলিক এসিড আরো বিভিন্ন প্রকার করে। থাকে যেমনবিষন্ন রক্তস্বল্পতা জনিত বিভিন্ন ধরনের উপকার ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।এছাড়া যাদের শরীর দুর্বল থাকে তাদেরকে ফলিক এসিড ট্যাবলেট টি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে ।
ফলিক এসিডের অভাবে কি কি হতে পারে
ফলিক এসিডের অভাবে যে ৭টি সমস্যা বেশি দেখা যায় ।আমরা প্রায় মানুষ ফলিক এসিডের ট্যাবলেটের সঙ্গে পরিচিত । এতে রয়েছে বিশেষ বিশেষ গুণাবলী যা আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে ।শরীরে ফল ফলিক এসিডের অভাব হলে যা যা লক্ষণ দেখা দেয় এর মধ্যে বিশেষ বিশেষ কিছু সমস্যা তুলে ধরলাম
- প্রচুর পরিমাণে ক্লান্তি অনুভব ।
- করা বিভিন্ন ধরনের ঘা হওয়া ।
- জিহব্বা ফুলে যাওয়া ও বিভিন্ন ধরনের ঘা হওয়া ।
- প্রচুর পরিমাণে চুল ঝরতে থাকা ।
- আচ্ছা আমরা ফ্রেশকাটা হয়ে যাওয়া ।
- শরীর বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ হওয়া ।
- শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়া ।
ইচ্ছা আরও বিভিন্ন ধরনের পোশাক দেখা দেয় । যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যান্তই ভয়াবহ। তবে এর এর যেরকম ভালো দিক রয়েছে তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে । তবে এটি বেশি পরামর্শ দিয়ে থাকি গর্ভবতী মাধে খাওয়ার জন্য ।
ফলিক এসিডের উপকারিতা
ফলিক এসিডের উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি ও এটি খাবারও প্রয়োজনে রয়েছে । আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গই সম্পূর্ণভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন ও বিভিন্ন ভিটামিন জনিত বা খনিজ জাতীয় জিনিসের ভূমিক অপরিসীম ।বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাবে আমাদের শরীরের নানা রকম
সমস্যা দেখা দেয় । যার ফলে আমরা করি অসুস্থ । কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন জাতীয় ট্যাবলেট এর মধ্যে অন্যতম হলো অধিক এসিড ট্যাবলেট । এটির মধ্যে সাদৃশ্য থাকে ভিটামিন বি-৯ । এটি মানুষদের জন্য বিভিন্ন পরিক্ষনীয় উপায়ে এই ট্যাবলেট টি আবিষ্কার করা হয়েছে যেটিতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২
এর মতই গুনাগুন । এটি আমাদের মানব দেহের কোষ বিভাজন ও ডিএনএ মাত্র ঠিক রাত রাখতে সাহায্য করে । ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যাদের ফলিক এসিডের অভাব তাদের অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত
হতে ।আপনার শরীরে যদি ফলিক এসিডের মাত্রা কমে যায় তাহলে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে । যাতে করে ঘাড়তি তাড়াতাড়ি পূরণ হয়ে যায় ।তাহলে কিছু ফলিক এসিডের উপকারিতা জেনে আসি
- গর্ভবতীদের খাওয়ানো হয় কারণ বাচ্চাদের আমি পরিপূর্ণ সুন্দর ।
- দ্রুত বৃদ্ধি পেতে ফলিক এসিড ট্যাবলেট দেওয়া হয় ।
- গর্ভবতী অবস্থায় জটিল সমস্যার জন্য ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে বলা হয়।
- আজকের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য ফলিক এসিড খেতে বলা হয় ।
- হৃদপিন্ডের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ।
- পড়া বন্ধ করে ।
- ফুল চুল গজাতে সাহায্য করে ।
ছাড়াও ফলিক এসিডে ভিটামিন বি ৯ থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকে মুক্তি পাওয়া যায় । এই ট্যাবলেটটি হচ্ছে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন জাতীয় ট্যাবলেট । যা আমাদের শরীরকে এনার্জির যোগায় ও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন জনিত ঘাটতি থাকলে তার নির্মূল করে ।ফলিক এসিডটি পানিতে ডুবলিত হয়ে থাকে এর ফলে খুব সহজে আমাদের শরীরে এড জব হয়ে যায় ।
ফলিক এসিড কেন খায়
ফলিক এসিড কেন খায় এটি আমাদের কমবেশি সবারই প্রশ্ন থাকবে । আসলে ফলিক এসিড টি খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি।কি এমন বিশেষ অর্থ আছে ডাক্তাররা ফলিক এসিড খেতে বলে বলে এ বিষয়টি আজকে জানবো । ফলিক এসিড কি আমরা সাধারণত ধবনীয় এসিড বলে থাকি এর কারণ হচ্ছে এটি
পানিতে খুব সহজে দ্রব্যনীয় হয়ে যায় । এই ফলিক এসিডের ভিটামিন বি ৯ রয়েছে। এটা আমাদের রক্তশূন্যতা ও আয়ন জাতীয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান বয়ে আনে । অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় গর্ভবতীদের এই ফলিক অ্যাসিড খেতে বলা হয় । এতে বাচ্চা সুস্থ থাকে কম সুন্দরভাবে করতে পারে
গর্ভবতী মা । কিন্তু ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় এই ট্যাবলেটটি প্রয়োজনের তুলনায় যেন বেশি না খায় তাহলে করতে পারে নানা রকম সমস্যার । এই ফলিক এসিড পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং কলিজা জাতীয় খাবারে । এই ফলিক এসিডের কারণে লোহিত রক্তকণিকা নতুনভাবে সৃষ্টি হয়
অস্থিমজ্জায় । লোহিত রক্ত কণিকা এমনিতেই .৪ মাস পরে নষ্ট হয়ে যায়।তাহলে বোঝা গেল ফলিক এসিড আমাদের দেহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ । তাছাড়া আমাদের এ ধরনের রোগে সমস্যার সমাধান করে থাকে এই ফলিক এসিড ট্যাবলেট ।কিন্তু এটি ডাক্তারদের পরামর্শ ছাড়া একদম উচিত নয় ।
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম। আমরা জানি প্রত্যেকটি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। যা আমরা নিয়ম খাই । ঠিক তেমনি অনেক এই ওষুধেরও কিছু নিয়ম আছে যা আমাদের মেনে খাওয়া-দাওয়া দরকার। একটি মহিলা গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রগ্রাম ট্যাবলেট খাওয়ার প্রয়োজন । তবে
এসোব খাবার থেকে পাওয়া অনেক কঠিন বিষয় ।তাই বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির ফলিক ট্যাবলেট পাওয়া যায় । ট্যাবলেটই খাওয়ার নিয়ম হলো খালি পেটে খেলে সব থেকে বেশি কাজ করে তাই ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় যে কোন খাবারের ৩০ থেকে ১ ঘন্টা আগে এই ট্যাবলেটটি খেয়ে নেয়া উচিত ।
এছাড়াও ডাক্তাররা রোগী বোঝে খাওয়ার সময়ও কতটুকু খাওয়া প্রয়োজন এটি নির্ধারণ করবে । তবে একটি গর্ভবতী মহিলাকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ফলিক অ্যাসিড খাওয়া প্রয়োজন ।
লেখকের মতামত
ফলিক এসিড সাধারণত গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ । কারণ বাচ্চা সুস্থ রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তবে অন্যান্য মানুষদের জন্য এটি অনেক উপকারি যা জানলাম। এই ফলিক এসিড টি আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন জনিত সমস্যার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে ।
যাতে সহজেই ভিটামিন ধারতি কমানো যায় ।যেমন এই ফলিক এসিডে পদার্থ পরিমানে ভিটামিন বি ৯ উপস্থাপন রয়েছে । তবে প্রত্যেকটি চেয়েছিলেন দুইটি দিক রয়েছে ভালো আরেকটি খারাপ। তবে আমাদের যেকোনো ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া প্রয়োজন । এতে করে কিছু বাড়তে
ঝামেলা হওয়ার টেনশন থাকে না ।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url