ডিপ্রেশনের অর্থ কি কেন এই সমস্যাগুলো হয় জেনে রাখুন

আপনি যদি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন আশা করি । এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করব এই প্রশ্নের মাধ্যমে চলুন তাহলে জেনে নেয়াওযাক ।

ডিপ্রেশন এর অর্থ কি এই বিষয় নিয়ে হাজারো মানুষ প্রশ্ন করেন । এর কারণ হচ্ছে মানুষ প্রতিনিয়তই এ ধরনের ডিপ্রেশনের শিকার হয়ে পড়ছে । সেজন্য প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই একটি জানার ও বোঝার কৌতুহল জাগচ্ছে । তাহলে চলুন জেনে নিই ডিপ্রেশন এর অর্থ কি ডিপ্রেশন এই বিষয়টি নিয়ে যে 

কথাগুলো বলা জরুরী সে বিষয়টি তুলে ধরবো । মনের যে রোগ হতে পারে এটা কেউ বিশ্বাস করতে চান না । এর ফলে ঠেলে দেয় বেশিরভাগ মানুষ এই মানসিক রোগের ভেতরে । কিন্তু তাও মানুষের ভিতরে একটি আতঙ্ক থেকে যায় মন খারাপ মানে কি ডিপ্রেশন বা মানসিক রোগী । বিশেষজ্ঞদের মতে বলা যায়

মন খারাপ আর ডিপ্রেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য । কিন্তু এই মন খারাপ কে ডিপ্রেশনের প্রথম ধাপ বলা হয় । অতিরিক্ত মন খারাপ কি একটি মানুষকে আসতে আসতে ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয় । তাই ডিপ্রেশনের হাত থেকে বাঁচতে হলে যত মন খারাপই হোক না কেন তা থেকে বেরিয়ে আসাটাই জরুরী।

এটা থেকে কেউ কেউ বেরিয়ে আসতে পারে আবার কেউ কেউ পারেনা । এই ডিপ্রেশনের অর্থ হলো কোন ব্যক্তি মানসিক চাপের ফলে যখন পাগলের মতো ব্যবহার করে কিংবা একটি সুস্থ মানুষ ভালো থাকতে থাকতে একঘেয়েমি হয়ে যায় ও কারো সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয় তখন তাকে ডিভিশনে রোগী হিসেবে গণ্য করা হয় । এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল পাগলের মতো আচরণ করা কথাবার্তা না বলা ।

আরো পড়ুনঃ ১০ মিনিটে মন ভালো করার উপায়

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়

ডিপ্রেশন কি এবং ডিপ্রেশন কেন হয় এই বিষয়টি আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে সাধারণ প্রশ্নের মতো হয়ে গেছে । ডিপ্রেশনের অর্থ কি ও ডিপ্রেশন কি এ বিষয়টি প্রায় সেম কিন্তু ডিপ্রেশন কি জন্য হয় এটা হয়তো অনেকে জানে না । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কি জন্য ডিভিশন হয় ও কেন মানুষ

ডিপ্রেশনে ভোগে । লক্ষ্য করা যায় যে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ শিক্ষিত মানুষ বিশেষ করে ছাত্ররা এই ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এই ডিপ্রেশন কে কয়েকটি বিষয় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে যার ফলে ডিপ্রেশন করতে পারে ।

এই ধরনের আরো অনেক সমস্যা হলে একটি মানুষ ধীরে ধীরে ডিপ্রেশনে ভক্তে শুরু করে । বিশেষ করে দেখা যায় এ ধরনের সমস্যা ছেলেরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে । এই কারও হচ্ছে পারিবারিক চাপ কিংবা প্রেমে যুক্ত হওয়ার ফলে ।

যা যুব সমাজকে ধীরে ধীরে শেষ করে ফেলছে । এর পিছে যেমন দায়ী হলো তার পরিবার ও যে ধোঁকা দেয় তারা । আশা করি বুঝতে পারছেন যে কি জন্য একটি মানুষ ডিপ্রেশনের মধ্যে ধাবিত হয় ।

ডিপ্রেশনের রোগী আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘোরাঘুরি করে । এবং আপনিও তার ভিতরে একজন হতে পারে । আজকের প্রশ্নটি হল ডিপ্রেশন রোগী চেনার উপায় । আমরা ইতিমধ্যে জেনে এসেছি স্টেশন কাকে বলে ,ডিপ্রেশন এর অর্থ কি ইত্যাদি এ ধরনের প্রশ্ন উত্তর ইতিমধ্যে দিয়েছি। আমাদের চারিপাশে প্রতিনিয়তই ডিপ্রেশন রোগীর আকার হুরহুর করে বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই এখন আমরা জানবো ডিপ্রেশন চেনার উপায় গুলো কি কি

• মানুষের সাথে কম মিশামিশি করবে ।

• কম কথা বলতে পছন্দ করবে ।

• অতিরিক্ত কথা বলা সহ্য করতে পারবে না ।

• সব সময় নিস্তব্ধ হয়ে এক কোণে বসে থাকবে ।

• হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়বে ।

• সবার সঙ্গে ঝগড়া বা মনোমালিন্য হবে ।

• বিভিন্ন ধরনের গায়েবী আওয়াজ বা বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে পাবে ।

• সবকিছু থেকে আগ্রহ চলতে শুরু করে ।

• সবকিছুতে নিজে নিজেকে দোষারোপ করতে শুরু করবে ।

• ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে বা ঘুমাতে পারবে না ।

• খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দিবে ।

• বিভিন্ন ধরনের কাজের আগ্রহ একদমই হারিয়ে ফেলবে ।

• নিজে নিজেকে আঘাত করা শুরু করবে।

• ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ করে দেবে ।

ইত্যাদি এই ধরনের আরো অনেক রকম সমস্যা দেখা দিবে ডিপ্রেশন রোগীদের মধ্যে । যা একটা সময় ধীরে ধীরে মানুষটিকে শেষ করে ফেলবে । এই ডিপ্রেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচিত করা হয় । যা একটি মানুষকে ধীরে ধীরে ব্রেন থেকে স্মৃতি ক্ষয় করতে শুরু করে । দেখা যায় 

অতিরিক্ত মাত্রায় যদি ডিপ্রেশনে ভোগতে শুরু করে কোন ব্যক্তি ।একসময় দেখা যায় যেগুলো পায়ে রোগ ভালো করা হয় যেমন তার যে জায়গা পছন্দ ছিল সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া , তার যেটা ভালো লাগতো সেটা করতে দেওয়া , এরকম যত ভালো কিছুই করেন না কেন তখন আর কোন কাজে আসবে না ।

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার বিভিন্ন ধরনের ঔষধি সেবার পাশাপাশি শারীরিক কিছু নিয়ন্ত্রণ করলে সব থেকে ভালো ফলাফল দিবে । যা একটি মানুষকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় করে দেবে । যেমন ডিপ্রেশনের অর্থ কি এ বিষয়টি জানার জন্য মানুষের আগ্রহ ঠিক তেমনি 

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়গুলি জানার জন্য একটি মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করে । আপনার আশেপাশের প্রায় প্রতিটি মানুষের এখন ডিপ্রেশনে ভুগছেন । চলুন তাহলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় গুলো জেনে আসি ।

এছাড়াও এই রোগটি সবার ক্ষেত্রে একই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না।আপনি কি জন্য এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন শুধু একমাত্র আপনি বুঝবেন । তাই আপনাকে নিজে নিজে সতর্ক হতে হবে ও কি কি করলে এ ধরনের রোগ গুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সেই বিষয়টিকে ভালোভাবে মেনটেন করতে হবে । এই ডিপ্রেশনের বিষয়গুলো যদি লজ্জাজনক হয়লেও বাসার মানুষের সঙ্গে শেয়ার করার চেষ্টা করুন ।

এই ডিপ্রেশন রোগটি আমাদের আশেপাশে যেভাবে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । এরপরে দেখা যাচ্ছে একসময় সত্য মানুষ পাওয়াটাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে । বিশেষ করে যুবসমাজ এই ধরনের শিকার বেশি হচ্ছে । তার একমাত্র কারণ হচ্ছে ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা হওয়ারকারণে। এই ডিপ্রেশনের রোগী বিশেষ করে ছেলেরাই বেশি হচ্ছে ।

এর কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের মানুষের চাপ বা পারিবারিক চাপ। তাই আমাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করে যে কোন কাজ করতে হবে । আর নিজেকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে । আপনার মধ্যে যদি এ ধরনের ফোনে পেতে শুরু করে তাহলে অবশ্যই কোনো বিশেষ কাছে পরামর্শ নিয়ে বা যে নিয়ম

গুলো দেওয়া ছিল তা মেনে চলাচল করা শুরু করুন । হলে দেখবেন আপনি আস্তে আস্তে সুস্থ হতে শুরু করেছেন । আর ওই সময় একদম একা থাকা চলবে না।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো ।