ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য গুলো কি জানুন
ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্যপ্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করব কি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। বিষয়টি হলো ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য গুলো কি কি রয়েছে। আর আমার কি জন্য ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড ব্যবহার করব। আর এগুলো ব্যবহার করলে কি কি উপকারিতা রয়েছে আর এগুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
তাই আপনির যদি ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন যথাযথ ধারনা পেয়ে যাবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য গুলো কি কি রয়েছে এই বিষয়ে এর সব খুঁটিনাটি কথাবার্তা ।
ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য
প্রথমে আমরা আসবো ডেবিট কার্ডের বিষয়ে । ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য অনেকে জানে না আজকে সব ধরনের আলোচনা করা হবে । কারণ দেশের বাইরে বা দেশে যে কোন স্থানে এখন প্রচলিত হয়ে গেছে ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড তাই প্রত্যেকটি মানুষেরই জানা দরকার ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের পার্থক্য ।
আরো পড়ুনঃ ১৫টি ফেসবুক হ্যাক হওয়ার কারণ ২০২৪
যারা ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে ইনশাল্লাহ সব জেনে যাবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য এগুলো কি কি রয়েছে ও কোনটির সুবিধা অসুবিধা বেশি
ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের এরমধ্যে পার্থক্য হলো ডেবিট কার্ড বলতে এক কথায় পারেন । আপনি যখন কোথাও টাকা লেনদেন করবেন ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তখন ওই টাকাটা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা হবে মানে আপনার টাকা কাটা হবে। মানে আপনার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তোলন করতে সফল হয়েছে এবার আসুন ক্রেডিট কার্ডের কথাযরুন
ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের এরমধ্যে পার্থক্য হলো ক্রেডিট কার্ড এক ধরনের প্রদানকারী কার হিসাবে হতে পারে । এর কারণ হচ্ছে আপনি যখন ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা কোথাও পেমেন্ট করবেন বা খরচ করবেন তখন ওই টাকাটা ব্যবহারকারীর নিজের টাকা বা নিজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে আসে না বা খরচ হয় না। বড় ওই ক্রেডিট কার্ডটি যে ব্যক্তি তাকে প্রদান করেছে তখন টাকা খরচের সময় ওই ব্যক্তির টাকা খরচ হবে বা পেমেন্ট করে দিবে ।
এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড এর মধ্যে যে পার্থক্য গুলো লক্ষ্য করবেন সেটি হল দুটি কার্ড দুই রকমের হয়ে থাকে । রঙ্গ আলাদা হয়ে থাকে ক্রেডিট কার্ডের রং আপনি যেকোনো রঙে পরিবর্তন করতে পারেন ।তবে অনেকেই বলে থাকেন ব্যবহার সুবিধার্থে ক্রেডিট কার্ড অনেক ভালো ক্রেডিট কার্ড থেকে যেকোন স্থান নিয়ে গিয়ে আপনি টাকা লেনদেন করতে পারবেন ।
এই ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ডই ভালো বলে বিবেচিত করা হয় ।আশা করি ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য গুলো কি কি বুঝতে পেরেছেন এছাড়াও আরো অনেক বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য রয়েছে । যে পার্থক্যটা বলা হলো সেটি আসলে টাকা লেনদেনের বিষয় কিন্তু এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য রয়েছে যা আমরা আস্তে আস্তে জানতে পারবো।
তবে আপনাকে কিছু কিছু যোগ্যতা অবলম্বন করতে হবে আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড পেতে চান। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে বাকি যোগ্যতা থাকলে আপনি ক্রেডিট কার্ড পেতে পারেন এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
চলুন তাহলে কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনি ক্রেডিট কার্ড পাবেন এ বিষয়টি জেনে নিন । আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড নিতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যেকোনো একটি ব্যাংক একাউন্টে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে । এরপরে সে একাউন্টে অনেক টাকা লেনদেন করতে হবে । তা থেকে বোঝাতে হবে যে আপনি আর্থিকভাবে সচ্ছল।
এরপরে আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন তবে । এসব অতভাবে এটির বিভক্ত করার রয়েছে ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা লেনদেন করতে হয়। চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ হাজার এর মধ্যে মাসিক বেতন হলে এই কার্ডটি প্রদান করে থাকেন ।
তবে এক কার্ড নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক কিছু জমা দিতে হবে যেমন আপনি যে কাজে আছেন সেই কাজের আইডি কার্ডের ফটোকপি, ভোটার আইডি কার্ডের , নাগরিক সনদ , কারেন্ট বিল বার বাড়ির ডেক্সটপে , আপনার দুই কপি ছবি । এগুলো নিয়ে আপনার কাঙ্খিত ব্যাংক অফিসে গিয়ে জমা দিলে আপনাকে সময় দিয়ে ক্রেডিট কার্ড হস্তান্তর করবেন ।
আশা করি ক্রেডিট কার্ডের জন্য কি প্রয়োজন ও কি কি যোগ্যতা থাকা লাগে এই বিষয়টি নিয়ে আপনার আর কোন সমস্যা । ক্রেডিট কার্ড চাইলে যে কেউ নিতে পারে। তবে তার এই যোগ্যতা গুলো থাকতে হবে বা যে দেশের ক্রেডিট কার্ড নিতে যাচ্ছে ওই দেশের নাগরিক হতে হবে ।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম
ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় । এর কারণ হচ্ছে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে । বাজার করতে গেলেও ক্রেডিট কার্ড , শপিং করলেও ক্রেডিট কার্ড , কোথাও গেলেও ক্রেডিট কার্ড , যেকোনো কাজের এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হচ্ছে ।এই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণটি হল এটি তে খরচক্র লাভও বেশি এখন অনেক বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে । স্পেশাল ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডের পার্থক্য বিবেচনা করতে গেলে দেখা গিয়েছে যে ক্রেডিট গাড়ি এগিয়ে রয়েছে ।চলুন তাহলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জেনে নিই ।
- প্রথম কোথায় আপনাকে প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ডের টাকা উত্তোলন বা ডিপোজিট করতে হবে নিয়ম মেনে ।
- নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের কর প্রদান করতে হবে ।
- প্রতি মাসে ঠিক সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করতে হবে ।
- আপনার ইচ্ছা যখন তখনই টাকা তুলবেন না বরং যখন প্রয়োজন হবে তখন একবারে পারলে দুই তিনবার টাকা তুলে নিবেন ।
- অইচ্ছাকৃতভাবে যখন তখন টাকা তোলা যাবে না ।
- এটিএম মেশিন থেকে টাকা তোলা থেকে বিরত থাকতে হবে ।
- আপনার এটিএম কার্ডে মিনিমাম যত টাকা ধার্য করা আছে কত টাকা রাখতে হবে ।
- আপনার লেনদেনের ব্যাগ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে যতটুকু খরচ করা প্রয়োজন তার থেকে কম খরচ করার চেষ্টা করবেন ।
- আনুমানিকভাবে বলা আপনি যদি দুই লক্ষ টাকা প্রতি মাসে ডিপোজিট করুন তাহলে ওখান থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা মাসে খরচ করুন তাহলে কোন সমস্যা হবে ।
- এছাড়াও এর যখন বিভিন্ন চার্জ বা ফি সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবেপারলে সাথে সাথে পূরণ করবেন কিন্তু শেষ তারিখ এর জন্য কখনোই চিন্তা করবেন না ।
তাই আপনি যদি একটি ক্রেডিট কার্ডের মাল খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই যে কাজগুলি করতে নিষেধ করা হয়েছে সেগুলি থেকে বিরত থাকবেন ও যেগুলি করতে বলা হয়েছে সেগুলো যথাযথ সময়ের মধ্যে করার চেষ্টা করবেন । আশা করি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বিরোধী সম্পর্কে আপনি কিছুটা হলেও ধারণা নিতে পেরেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url