ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো বিভিন্ন ধরনের ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক।কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও আপনার মন মত প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না । আশা করি আমি আপনাকে এই পোস্টটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন রূপে আপনার যত প্রশ্নের উত্তর আছে সুন্দরভাবে 
ফল
ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবো। তবে আপনাকে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে । তাহলে আশা করা যায় আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।তাহলে চলুন জেনে নিয়ে যা ফলমূলের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম গুলি কি কি ।

রাতে ফল খাওয়ার উপকারিতা

রাতে ফল খাওয়ার উপকারিতা কি কি এই বিষয় নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ঘুরে । নিজের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ফলের কোন জুড়ি নেই । যেকোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ থাকে রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল খাওয়ানো প্রয়োজন। ফলমূল আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।ডাক্তারদের 

পরামর্শ মতে রাতে ফল খান আর যাই খান কোন সমস্যা নেই । কিন্তু রাতে ডিনার টি করতে হবে ঠিক সময়মতো ৯ টা থেকে ১০টার মধ্যে । তাহলে দেখবে এমনিতেই আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ঠিক থাকবে । কিন্তু বেশি বোধের মতে রাতের বেলায় টক বা লেবু জাতীয় কোন ফল না খাওয়াটাই ভালো মনে

করা হয় । টক জাতীয় ফলে সাইট্রাস জাতীয় এসিড থাকে তাই অ্যাসিডিটির হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । তাই রাতে ফল খাওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় অবশ্যই রাখা উচিত। তাছাড়া রাতে ফল খেলে উপকারিতা রয়েছে অনেক বেশি । তবে রাতে ফল খেলে শরীরে শর্করা এবং শক্তির মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় । এক্ষেত্রে হিসাব করলে রাতে ফল না খাওয়াটাই ভালো ।

খালি পেটে ফল খেলে কি হয়

খালি পেটে ফল খেলে যে যে উপকারিতা গুলো পাবেন তা জানলে আপনি অবশ্যই ফল পছন্দ করতে শুরু করবেন । আর এমন হয়তো লোক খুবই কম আছে যে ফল পছন্দ করে না । আমাদের দেশে ঋতুতে ঋতুতে ফল চেঞ্জ হয় বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায় । কথাতেই আছে খালি পেটে জল

 ভরা পেটে ফল। তাই বলে আপনি ভেবে না যে ভরা পেটে ফল খেতে হবে এটি একটি শুধু প্রবাদ বাক্য । খালি পেটে ফল খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায় । কিন্তু যে কোন ফল খাওয়ার আগে সকালে পানি খেতে হবে তারপরে ফল খাবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সকালে ফল খেলে কি কি উপকারিতা ।

আছেঃহার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করেঃ দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে হলে আপনাকে ফল খাইতে হবে। কারণ পরে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি এবং ভিটামিন । এই প্রয়োজনে পুষ্টি ও ভিটামিন আপনার থেকে গিয়ে হার্ট এর হেলথকে ভালো রাখতে সাহায্য করে ।পুষ্টি ভান্ডারঃ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে খাবার ১৫ মিনিট

আগে খালি পেটে যদি কেউ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খান তাহলে ফলের যে সব পুষ্টিগুণ রয়েছে তা শরীর ভালো হবে কাজ করতে সফল হয় ।শরীরের বিষ বের করতে সাহায্য করেঃ আমাদের শরীরের জমে থাকা সকল টক্সিক জাতীয় দেশপ্রিয় পদার্থ দমন করতে সাহায্য করে ।এছাড়াও যে যে উপকার গুলো পাবেন ফল খেলে
  • শরীরের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
  • শক্তিবৃদ্ধি করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ।
  • ত্বককে সুন্দর করে তোলে ।
  • বডি ফিটনেস নিয়ন্ত্রণ করা ।
  • ওজন হ্রাস পায় ।
  • ওজন বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করেব।
  • লম্বা হতে সাহায্য করে ।
  • চোখের জ্যোতি বাড়তে সাহায্য করে ।
  • ব্রেনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের গুণাবলী রয়েছে ফলমূলের মধ্যে । তবে প্রত্যেকটি ফলের মধ্যে এই সব ধরনের থাকেনা । কিছু কিছু ফলের মধ্যে এর থেকেও বেশি উপকারটা রয়েছে । তাই আমাদের সুস্থ থাকতে ফল খাওয়ার কোন বিকল্প নেই । যেমন কিছু ফল যেকোনো সময়ই খাওয়া যায় যেকোনো ভাবে ।

আবার অনেক ফল খেতে হয় বিভিন্ন নিয়ম কানুন ও সময় বোঝে । না হলে উপকার থেকে হতে পারে প্রতিবেশী ।সেজন্য ফল খাওয়ার আগে তা ভালোভাবে বুঝে শুনে খেতে হবে । যাতে করে পরবর্তীতে যেন কোন সমস্যা না হয় ।

ফল খাওয়ার নিয়ম

ফল খাওয়ার নিয়মটি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কারণ কোন ফল কখন খেতে হয় এটি জেনে রাখা ভালো। না হলে পড়তে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখে । কোথায় আছে খাওয়াতেই বাঁচে খাওয়াতেই মরে । ঠিক এই ফলের ক্ষেত্রেও তাই ফল খেতে যদি আপনি ভুল করে থাকেন তাহলে হতে

পারে বড় ধরনের সমস্যা । এখন প্রশ্ন হলো আপনি কখনো ফল খাবেন এই প্রশ্নের সমাধানটি দিতে আজকের এই বিষয়টি সাজানো হয়েছে । অনেক ফোন রয়েছে যেমন কাঁঠাল, আম , জাম ,লিচু ,বড় , এই ফলগুলো হচ্ছে মৌসুমী ফল বলা হয়ে থাকে । কারণ এই ফলগুলো শুধু বছরে একবারই পাওয়া যায়

সেজন্য এই ফল খেলে আগ্রহ তাকে অনেক বেশি । ফল খাওয়ার নিয়মঃকেউ কেউ ভেবে থাকে ভরা পেটে ফল খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় ।এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এই ধারণাটি সম্পূর্ণ রূপে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সেজন্য ফোন রাতে না খাওয়াটাই ভালো ।খাবারের সঙ্গে ফল খাওয়া এটিও ঠিক নেই।

কেউ কেউ বলে থাকেন খাবারের সঙ্গে নাকি ফল খেলে স্বাস্থ্য কমে এ ধারণা ভুল ।সকালে ফল খেলে আপনার অনেক ধরনের এক্সট্রা উপকার। তাই সকালে ফল খাওয়ায় উত্তম মনে করা হয় । এবং বিজ্ঞানীদের কাছেও প্রমাণিত যে সকালে ফলমূল খেলে বেশি উপকার মিলে । নাস্তা করার অন্তত দরতে

১৫ মিনিট আগে ফল খাওয়া জরুরি। ও বেশি উপকারী বলে মনে করা হয় ।কেউ কেউ মনে করে থাকেন ঘুমানোর আগে ফল খেলে ঘুম ভালো হয়। এ কথাটিও সম্পূর্ণরূপে ভুল । বিশেষজ্ঞদের ঘুমানোর আগে কোন ফল খাওয়া উচিত নয়

গর্ভাবস্থায় ফল খাওয়ার সঠিক সময়

গর্ভ অবস্থায় ফল খাওয়ার কি ঠিক হবে এই প্রশ্নটি অনেক মনে থাকে । চলুন আজকে এই বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সব ধরনের দ্বিধা আপত্তি দূর করে দিব । ডাক্তারদের মতে গর্ব অবস্থায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ রকমের ফল খাওয়া উচিত এবং এর সঙ্গে নানা ধরনের সবজি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি । এতে মা ও

0নবজাতক শিশুর দুই গঠন ও মস্তিষ্ক দুটোই স্বাভাবিক রূপে বৃদ্ধি পায় । কেননা এসব ফলমূল ও শাকসবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন ও প্রোটিন যা আমাদের এক্সট্রা শক্তি যোগায় । এই ফলমূল বা শাকসবজি আপনি যে কোন ভাবে খেতে পারেন এটি আপনার উপরে নির্ভর করে । তবে গর্ব

অবস্থায় থেকেই বা প্রথম থেকেই ফল খাওয়া শুরু করতে পারেন এতে কোন সমস্যা নেই । তবে রাতে না হওয়াটাই ভালো মনে করা হয় এবং সকাল সকাল ফলমূল খেতে পারেন খেতে শরীর স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে ।

বিভিন্ন ফলের উপকারিতা

আমাদের দেশে ঋতু চেঞ্জ হয় এর সঙ্গে সঙ্গে ফলগুলো চেঞ্জ হয় । তবে প্রত্যেকটি ফলের প্রত্যেকটি স্বাদ ও এর উপকারিতা রয়েছে । এক কথায় বলা হয়ে থাকে নানান রকম ফলে নানা রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে । আমাদের শরীরেও মেধা দুটো ঠিক রাখতে নিয়মিত ফলমূল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । তবে কয়েকটি ফলের উপকারিতা গুলো জেনে আসি

আম এটি একটি অত্যন্ত পরিচিত ও সুন্দর হওয়া। এই ফলে রয়েছে যেমন ভিটামিন তেমনি পুষ্টিগুণ ও স্বাদ । এ আমটি কমবেশি সবাই পছন্দ করে থাকে । এই আমার ভেতর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভাগ যেমন ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ , খেরশাপাত , ফজলি ইত্যাদি অনেক ধরনের আম রয়েছে যা বলে

বোঝানো খুবই মুশকিল । এই আমে রয়েছি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেমন ভিটামিন, আয়রন , সোডিয়াম এ ধরনের উপাদানগুলি রয়েছে আমের মধ্যে যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
কাঁঠালঃ এই ফলটিকে কে বা না চিনে এ ফলটি হল আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল ।টি যেমন কাঁটা

থাকতে ব্যবহার হয় ঠিক তেমনি পাকলেও খাওয়া হয়। কিন্তু এই ফলটি জাতীয় ফল হওয়া সত্ত্বেও মানুষ খুব কমই পছন্দ করে এর থেকে আমকে বেশি অন্ধকারে থাকে । তবে এই কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর এনার্জি ও শর্করা মাত্রা রয়েছে প্রচুর পরিমানে। জাতির রক্তে চীনের মাত্রা কম কাঁঠাল খেলে এই ঘাটতি কমে যায় ।, ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কাঁঠাল গুরুত্বপূর্ণ।

লিচু , জাম , কলা , পেঁপে , পেয়ারা ,সফেদা , তরমুজ ,আমড়া , জামরুল , লটকন , বেল , আপেল ,কমলা ইত্যাদি এছাড়া আরো অনেক ধরনের ফল রয়েছে। যা এভাবে ভরে শেষ করা সম্ভব নয় কিন্তু সব ফলে উপকারিতা রয়েছে অনেক । এবং প্রত্যেকটি ঘরে আমাদের জন্য পুষ্টি সমৃদ্ধ ও প্রয়োজনীয় ।

লেখকের মতামত

আমরা বেশিরভাগ মানুষই ফল খেতে পছন্দ করে । আর ফল খেতে পছন্দ করবেই না কেন । ফলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টিগুন । ফোন কেটে নিজে উৎসাহিত হয় এবং অপরকে উৎসাহিত করুন । কারণ ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি

কি । এবং ফল খেলে কি কি আমাদের শরীরের জন্য । তবে ফল আমার মতে রাতের থেকে দিনে খাওয়াই বেশি উত্তম । রাতে খাওয়া দাওয়ার পরে এমনি অনেক সমস্যা দেখা দেয় । এর মধ্যে আবার একটা করে ফল খেলে নতুন করে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে । তাই বিশেষ করে ফল খেতে বলে সকালে

ব্রেকফাস্ট এর সঙ্গে । একটি মানুষকে সুস্থ রাখতে পারে একটি ফল । ফল খেলে বডি ফিটনেসও ভালো থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে ।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url