খেজুরের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো খেজুরের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আশা করি এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার মনের সব ধরনের প্রশ্ন উত্তর পেয়ে যাবেন।শীতের কথা মনে হলেই একটা কথা মনে পড়ে যায় শীতের সকালের রস খাওয়ার কথা। শীত মানেই নতুন এক উৎসব ভরা ঋতু। এই রসটি শহরে খুব একটা বেশি দেখা যায় না। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলে এই রস তাই সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। রস আমাদের দেহের জন্য উপকার বটে কিন্তু শীতের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা খেজুরের রস খাওয়ার পরে শুরু হয়ে যায় কাঁপুনি। সেই শীতের মধ্যে কাঁপনের ভিতরে এই ঠান্ডা রস খাওয়ার মজাই আলাদা এই খেজুরের রস আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
খেজুরে রসে কি কি ভিটামিন আছে?
- ফোলেট বি ১৩%০.১৬৫ মিগ্রা
- ভিটামিন ই ৫%১৯ মিগ্রা
- ভিটামিন সি ০%০.৪ মিগ্রা
- ভিটামিন বি ০%০.০৫ মিগ্রা
খেজুরের রসে কি রোগ হয়?
শীতের সকালে এলেই বাংলাদেশী মানুষের মধ্যে খেজুরের রস খাওয়ার প্রচলন বেড়ে যায়। সকাল সকাল গাছ থেকে খেজুরের রস নামিয়ে এনেই কাঁচা খেয়ে ফেলেন। কিন্তু এই রসের ভিতর অনেক ধরনের ভাইরাস ও দূষিত ময়লা মিশে থাকে যার ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এর মধ্যে প্রচলিত একটি ভাইরাস
হলো নিপাহ্ ভাইরাস এ আক্রান্ত হতে পারে স্বাস্থ্য তথ্য অনুসারে নিপাহ্ ভাইরাসকে বলে (জুনোটিক ভাইরাস) বলে এই ভাইরাস টি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ধীরে ধীরে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর মধ্যে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসটি ধরা পড়েছিল মালয়েশিয়ার শূকর
খামারদের মধ্যে ১৯৯৯ সালে। আমার পরবর্তীকালে বাংলাদেশে আক্রান্ত হয় ২০০১ সালে। পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিকভাবে ACDDR এর নমুনা নিয়ে গবেষণা করার ফলে জানা যায় এ ভাইরাসটি বাদুড়ই থেকে সরিয়েছে। এর প্রমাণ হল খেজুরের রসের হাড়িতে বাদুড়ই এর মল থাকতে দেখা যায়। আর এই মল
থেকেই এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। গবেষণা বৃদ্ধির মতে ২০০১-২০১৮ সাল পর্যন্ত ২১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে নিপাহ্ ভাইরাস এর কারণে। আর আক্রান্ত হয় ৩০৩ জন তাই আমাদের সকলেরই সাধারণত অবলম্বন করে খেজুরের রস খাওয়াটা প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃকুশারের রসের উপকারিতা কি কি
আরো পড়ুনঃআখের রসের পুষ্টিগুণ
আরো পড়ুনঃগর্ভাবস্থায় আখের রসের উপকারিতা
খেজুরের রসের উপকারিতা ও অপকারিতা
খেজুরের রস খাওয়ার উপকারিতা ও আছে এবং এর ক্ষতিও আছে। খেজুরের রস গাছ থেকে নামিয়ে এনে এমনি খাওয়া যায়। আবার সেই রসকে চুলায় জাল দিলে ওই রস থেকে গুঁড়ো তৈরি হয়। খেজুরের রসে অনেক খনিজ পুষ্টি সমৃদ্ধ আইরন থাকে এই খেজুরের রস খেলে মানুষের দুর্বলতা কাটে। অনেক
বিশেষজ্ঞরা মনে করে খেজুরের রসে ১০ থেকে ২৫ % দ্রবীভূত শর্করা থাকে। সেজন্য খেজুরের রসটি মানব দেহের জন্য পুষ্টিকর এছাড়াও আরো অনেক গুণাবলী রয়েছে এই খেজুরের রসে।
খেজুরের রসের স্বাস্থ্যের উপকারিতা
খেজুরের বাসায় রয়েছে নানান রকমের পুষ্টি শেষদিনের রসের অনেক ধরনের উপকারিতাও রয়েছে। খেজুরের রস খেলে যেমন শরীরে শক্তি যোগায়, পিসি শক্তিশালী করে ও সচল করে, কর্মশক্তি যোগায, রক্তস্বল্পতা দূর কর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায, হার শক্ত কর, ওজন কমায়, হজম শক্তি ঠিক রাখে
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা মহাজন শক্তি দুর্বল তাদের জন্য এই খেজুরের রস একটি বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। ওজন নিয়ে চিন্তা করে তাদের জন্যও খেজুরের রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এশার আরো অনেক গুণাবলী রয়েছে খেজুরের রসের খেজুরের রসে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি ও ভিটামিন যেমন ভিটামিন ই ভিটামিন সি ভিটামিন বি ইত্যাদি।
লেখক এর মতামত
শীতকালে আমরা সবাই কম বেশি খেজুরের রস খেয়ে থাকি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি ও ভিটামিন। আবার এই খেজুরের রসে কয়েক ধরনের ভাইরাস ও দেখা যায় তাই এটি সতর্ক হতে আমাদের সবার খাওয়া উচিত খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরি হয় সে গুড়ো আমাদের জন্য পুষ্টিকর তাই বলবো
খেজুরের রস খাওয়ার ভালো ও শতকের সাথে খাওয়া প্রয়োজন।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url