লাল শাক চাষের পদ্ধতি কি কি

 প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো লাল শাক চাষের পদ্ধতি কি কি? ও লাল শাকের উপকারিতা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার মনের সকল প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন লাল শাক চাষের পদ্ধতি রয়েছে 

লাল শাক চাষ করার সহজ পদ্ধতি জেনে নিন
অনেক ধরনের কেউ শখের বসে বাড়ির ছাদেও লাগিয়ে থাকে লাল শাক। লাল শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর একটি শাক চলুন তবে জেনে নিয়ে যাক লাল শাক লাগানোর পদ্ধতি কি কি ও লাল শাক এর উপকারিতা কি কি।

লাল শাক চাষের পদ্ধতি কি কি 

আপা কমবেশি সবাই লাল শাক এর সঙ্গে পরিচিত আমাদের দেশে সবাই কম বেশি লালসার পছন্দ করে থাকেন পছন্দনীয় শাকের ভেতরে তালিকাভুক্ত করলে লাল শাক একটি অন্যতম জায়গা জুড়ে রয়েছে। তবে এই লাল শাক চাষেরও রয়েছে অনেক ধরনের পদ্ধতি। এই লাল শাকটি কম বেশি আমাদের 

বাংলাদেশের সকল অঞ্চলেই চাষ করে থাকে। এই লাল শাক চাষে নেই বাড়তি কোন সার-বিষ এর ঝামেলা। এই লাল শাক অতি অল্প জায়গাতেই চাষ করা যায় যেমন এটি টপেও চাষ করা যায়। তাই এই শাকটি উৎপাদনে নেই কোন বাড়তি উৎপাদন খরচ এতে যারা লাল শাক চাষ করে থাকে এতে 

 লাভবানও ভালো হয়ে থাকে। লাল শাক জমিতে রোপন করার পরে ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। গবেষকদের মতে এটি সব মাটিতেই চাষ করা উপযুক্ত। কিন্তু যেগুলো জমিতে পানি জমা হয়ে থাকে সেখানে এই লাল শাকটি হয় না বরং উঁচু দাঙ্গা জায়গায় এই লাল শাকটি উৎপাদন 

হয়। লাল শাক লাগানোর জন্য জমির অবস্থা বুঝে .৪-৫ টি চাষ দেওয়া উচিত। লাল শাকের ১ ভাগ বীজের সঙ্গে৫ ভাগ শুকনা বালু মিশিয়ে নিয়ে জমিতে লাল শাকের বিচি ছিটিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও মানুষ সখের বসে টপেও চাষ করে থাকে লাল শাক। বাড়ির ছাদেও লাল শাক চাষ করা হয়। তবে আপনি যদি ভালো ফলন পেতে চান তাহলে ভালো মাটিতে বীজ রোপন করতে হবে।

টবে লাল শাক চাষ পদ্ধতি

লাল শাকটি দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও ঠিক তেমন সুস্বাদু তাই এই লাল শাকটিকে সবাই পছন্দ করে থাকে। আপনি যদি খাঁটি লাল শাক খেতে চান একদম বিষ মুক্ত তাহলে আপনার বাড়ির ছাদে কিংবা টপে এই ধরনের লাল শাক চাষ করতে পারেন। আপনি যদি টপে লালশাক উৎপাদন করতে চান তাহলে 

একটি টপ বেছে নিয়ে সেটা যেন একটু বড়সড় হবে এবং সে টপে একটু করে রোদে যেন লাগে। লাল শাক চাষের জন্য মাটির টপ বা প্লাস্টিকের ডামাকার কাঠামো জাতীয় জায়গা নিতে হবে। জায়গাটি উর্বর যুক্ত মাটি দিয়ে পূরণ করে নিতে হবে র এরপরে ভালোভাবে মাটিতে পাউস মিশিয়ে নিতে হবে। তারপরে 

আপনার টপের জায়গা অনুযায়ী বীজ সরিয়ে নিতে হবে। আপনি লাল শাক চাষের জন্য দো-আঁশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করতে পারেন এতে লাল শাক ভালো উৎপাদন হয়। এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার থাকে যার ফলে লাল শাক উৎপাদন হয় প্রচুর পরিমাণে। আপনি সারা বছরে লাল চাষ করতে পারেন কিন্তু এটি শীতের মধ্যে বেশি চাষ হয়ে থাকে।

লাল শাক চাষের সময়

লাল শাক একটি জনপ্রিয় শাক । এ শাকটি সারা বছরই উৎপাদন হয়ে থাকে। লাল শাক চাষের কোন নির্ধারিত সময় নেই তবে বিশেষজ্ঞদের মতে শীতের সময় লাল শাক বেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া এ লাল শাকটি বছরের যে কোন সময় চাষ করা যায়।

লাল শাকের উপকারিতা

আমাদের সবার জনপ্রিয় শাকের তালিকাভুক্ত করলে হয়তো লাল শাক থাকবে সবার উপরে। এর শাকে রয়েছে অনেক পুষ্টিগু। অনেক মানুষ ভেবে থাকে এই লাল শাক আমাদের শরীরের রক্ত ঘাটতি দূর করে থাকে ধারণাটা ভুল নয়। রক্তশূন্যতা কমায় এই শাকে কারণ এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় আয়রন তাছাড়াও 

রয়েছে এর আগে আরো অনেক ধরনের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরের জন্য উপকার এবং শিশুদের জন্য লাল সাগের জুড়ি নেই পরিশেষে বলা যায় আমাদের দেহের জন্য লাল শাকের উপকারিতা অনেক বেশি তবে জেনে নেয়া যাক কি কি উপকার রয়েছে ও পুষ্টিগুণ রয়েছে লাল শাকের 

মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে প্রতি ১০০ গ্রাম লাল শাকের মধ্যে রয়েছে ৮৮ গ্রাম পানি, লাল শাক এ রয়েছে ১ দশমিক ৬ গ্রাম খনিজ পদার্থ এবং লাল শাক এ বিদ্যামান রয়েছে আয়ন, লৌহ , ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, দস্তা, প্রচুর পরিমাণে কেরাটিন। চোখের জন্য সবচেয়ে উপকারী 

ক্যারোটিন যে খাবারে যত ক্যারোটিন থাকে ওই খাবার চোখে যেন তত উপকারী চোখকে ভালো রাখতে ক্যারোটিন এর কোন জোর নেই। এছাড়াও লাল শাকে আরো রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি। লালসাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়ন যার ফলে আমাদের শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য 

করে। এছাড়াও রয়েছে লালসাগরে বিভিন্ন ধরনের আন্টিক-অক্সিজেন যা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের মতো প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। লাল শাক রঙিন হওয়ার ফলে শিশুরাও এটি খেতে বেশ পছন্দ করে। এই লাল শাকটি শিশুদের জন্য খুবই উপকারী এর কারণ হলো তালসার মানব দেহের গঠন ও 

মানব মস্তিষ্কের বিকাশিত করতে সাহায্য করে। লাল শাক আমাদের বাড়তি ওজনও কমাতে সাহায্য করে। তাই লাল শাক আমাদের খুবই উপকারী মানব দেহের জন্য

লাল শাকের অপকারিতা

লাল শাক আমাদের সবার পছন্দের ও জনপ্রিয় একটি শাক। এই সাল টি মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ শাক। এসবের উপকারিতা অনেক কিন্তু এর অপকারিতা তেমন নেই বললেই চলে। তবে এর কিছু কিছু অপকারিতাও রয়েছে যেমন লাল শাককে প্রচুর পরিমাণে আয়ন থাকে এই 

অতিরিক্ত আয়নের ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের লিভারের সমস্যা এবং আহারের সমস্যা রয়েছে তাদের রাতে লাল শাক না খাওয়ায় ভালো কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়ন। যারা গর্ভবতী অবস্থায় লাল শাক পছন্দ করেন কিন্তু যাদের হজম শক্তি খুবই দুর্বল শুরু থেকেই যাদের বমি হয় কিংবা 

এসিডিটি সমস্যায় জর্জরিত তাদের অতিরিক্ত তেলাক্তক খাবার, ফাস্ট ফুড, শাক এগুলো না খাওয়াই ভালো। কিন্তু এর পোষ্টটি গুণ বিশ্বাস করতে গেলে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলের জন্যই লাল শাক এর উপকারিতা কোন ঘাটতি নেই বললেই চলে

লেখকের মতামত

প্রতিটি শাক আমাদের জন্য দেহের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমরা লালসাগ একটু বেশিই সবাই পছন্দ করে থাকি লাল শাক আমাদের সবাই পছন্দ করে থাকি এটা কিন্তু নয় এতে রয়েছে অনেক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী তাই আমরা সবাই নিয়ম মেনে 

কমবেশি যেকোন স্বাদ প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন শাক আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ এর ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের শরীর ও মন দুটোই সুন্দর ও সতেস থাকে এই লাল শাক চাষ করতেও তেমন নেই কোন ঝামেলা তাই আমরা বিশুদ্ধ স্বাদ বাসাতেই চাষ করে পেতে পারি 

পরিশেষে বলা যায় লাল শাক আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে খাবারের সঙ্গে।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url