লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আজকে চলে আসলাম আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে। প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু অনেক ওয়েবসাইট খোলার পরেও অনেক পোস্ট করার পরেও লাল চা খাওয়ার উপকারিতা
লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনি সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নিয়ে যাক চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি।

লাল চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

লাল চা তো আমরা সবাইকে থাকি। কিন্তু এই লাল চায়ের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা যা আমাদের শরীরকে যোগায় এনার্জি। তাছাড়া এই লাল চায়ের রো কিছু কিছু সাইড ইফেক্ট হয়েছে তবে আগে জেনে আসি লাল চা খাওয়ার উপকারিতা। লাল চা এর মধ্যে খুবই অল্প পরিমাণে ক্যাফিন থাকার 

ফলে এই পানীয় তরলটি মস্তিষ্কে যেয়ে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয়। এর ফলে দেখা যায় মানুষের ব্রেনের কর্মক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। একটি গবেষণায় শনাক্ত করা হয়েছিল যে কেউ যদি একমাস নিয়মিত লাল চা খেয়ে থাকে তাহলে ওই ব্যক্তির পারকিনস নামক একটি রোগ আছে যেটা 

থেকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা খুবই কমে যায়। এছাড়াও লাল চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আদ্র। যা খেলে শরীরে আদ্রতা ভালোবাসে। এছাড়াও রয়েছে লাল চায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক যায় শরীরকে মোটিভেশন করে। এই লাল চায়ের রাসায়নিক উপাদান গুলো থাকার ফলে হাড় মজবুত করে , মন 

ভালো রাখে , রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে , আরো রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্টের । এন্টি অক্সিডেন্টের জন্য অনেক মানুষ গ্রিন টি চা খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই এন্টি অক্সিডেন্টের লাল চায়েও কোন অংশে কম নেই। এই লাল চাটে যেমন সবার কাছে 

সুপরিচিত ঠিক তেমনি সবার কিনার ও ক্রয় করার লাগালে রয়েছে। লাল চা খেলে পেটের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস কমাতে সাহায্য করে থাকে লাল চা । এর কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত দুই থেকে তিন কাপ লাল চা খাওয়া প্রয়োজনীয়। কিন্তু খালি পেটে লাল চা খেলে অনেক সময় 

অস্বস্তি বোধ হয়। কেউ কেউ মনে করে থাকে এই অস্বস্তি বোধ হচ্ছে হয়তো তার শরীরে ক্ষতি হচ্ছে । আপনি যখন লালচা খালি পেটে খাবেন তখন আপনার পেটের ভেতরের যত ব্যাকটেরিয়া থাকে এগুলোর পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে । এই লাল চা যখন আপনি খালি পেটে খাবেন আপনার বিভিন্ন 

ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে খুবই সহজে ধ্বংস করতে সফল হয়ে থাকে । অনেক অনেক ক্ষেত্রে শোনা যায় এই লাল চা খেলে হৃদরোগের মতো রোগের ও আশঙ্কা কমে। যাদের রক্ত চাপ আছে তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে এই রাজ্যে খাওয়ার ফলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যারা অতিরিক্ত রাত 

জাগতে চায় তারা রাতে লাল চা খেলে ঘুম থেকে বিরত থাকবে। লাল চা খেলে ঘুমের পরিমাণ কমে আসে। তাই যারা রাত জাগতে চান তারালাল চা খেতে পারেন। লাল চায়ে রয়েছে ৭%থিওফাইলিন ও থিওব্রোমিন যা শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে আবার কিছু কিছু গবেষকদের 

মতে চা খেলে ঘুম আসে না এই ধারণাটি ভুল, চায়ে লিভারের সমস্যা করে এ ধারণাটি ভুল, কেউ কেউ মনে করে থাকে চা খেলে গায়ের রং কালো হয়ে যায় এ ধারণাটি ভুল।

দুধ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা বাঙালিরা সকাল সকাল চা খেতে পছন্দ করি শুধু আমরা চা খেতে পছন্দ করি তাই নয় পুরো দেশের বা পৃথিবীর মানুষি চা খেতে পছন্দ করে কিন্তু কোন কোন দেশে চায়ের থেকে কফির প্রচলন বেশি তবে আমরা বাঙালি কবে থেকে চা খেতে বেশি পছন্দ করি আর চায়ের সঙ্গে দুধ হলে তার কোন 

কথাই নেই তবে এই দুধ চা খেলে আমাদের শরীরে যে উপকারিতা ও অপকারিতা আছে সেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন না হলে আমরা প্রতিদিন যে দুধ চা খাচ্ছি তা আমাদের শরীরে কতটুকু উপকার করছে এবং কতটুকু ক্ষতি করছে তা জানা অত্যন্ত প্রয়োজন জেনে নিয়ে যাক দুধ চা খাওয়ার 

আরো পড়ুনঃ কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি। আচ্ছা আমাদের শরীরের জন্য ভালো কিন্তু তা অতিরিক্ত লেভেলে গেলে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর অতিরিক্ত চা খেলে আমাদের শরীরকে করে দেয় কড়া। আবার লাল চায়ের সঙ্গে দুধ মিশালে সে চারটি হয়ে যায় এসিটি যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। 

দুধ চা আমাদের শরীলে গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয় এবং আলসার এর পরিমাণও বৃদ্ধি করে দেয় যা আমাদের খুবই কষ্টের ভিতরে ফেলে থাকে। তবে মানুষ যা পছন্দ করে কিন্তু শীত এলে এর জনপ্রিয়তা আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। এর উপকারে দিকগুলো হল দুধ চা খাওয়ার পরে প্রায় ১৫ মিনিট এর মধ্যে 

ক্যাফিন নামক এর পদার্থ আমাদের রক্তে প্রবেশ করে এর ফলে আমরা অনেকটা স্বস্তির অনুভব করে থাকি যা আমাদের শক্তির মাত্রা দ্বিগুণ করে দেয় । যারা অতিরিক্ত রাত জাগতে চাই তারা যদি চা খাই তাহলে তাদের ঘুম থেকে দ্রুত বজায় রাখে সাহায্য করে । তবে দুধ চায়ে উপকার থেকে ক্ষতিকর দিকগুলোই বেশি রয়েছে এখন আপনাদের এই ইচ্ছা দুধ চা খাবেন কি খাবেন না খাওয়াই ভালো কারণ এর সাইড ইফেক্ট অনেক রয়েছে।

দুধ চা এর ক্ষতিকর দিক

আমরা চায়ের স্বাদ বাড়ানোর জন্য লাল চয়ের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে দুধ চা তৈরি করি। কিন্তু এই দুধ চায়ে রয়েছে অনেক ধরনের ক্ষতিকর দিক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ক্ষতি কর দিক এগুলো কি কি
আপনি যদি দিনে ৫ থেকে ৬ কাপ দু চার খান তাহলে আপনার বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে । আপনি 

দিনের পর দিন বছরের পর বছর এ ধরনের দুধ চা খেয়ে যাচ্ছেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আপনি জানেন কি লাল চায়ের সঙ্গে দুধ মিশালে সেটি অ্যাসিটিক হয়ে যায় । এর সঙ্গে চিনি দিলে আরো বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে আপনার শরীরে যা আস্তে আস্তে আপনার শরীরে প্রবাহিত করে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে চা না খেলে তো মনে হয় দিনটাই শুভ হয়না। তার মধ্যে শুরুতেই তাকে দুধ যা চায়ের সাথে মিশিয়ে খুব আনন্দের সঙ্গে খেয়ে থাকেন। এই দুধ চা নিয়মিত খেলে আপনার পেটের ভেতরে ফাঁপা করে দেয়। বোল্টিয়ের সমস্যা দেখা দেয় যার ফলে আপনার শরীরের হজম ক্ষমতার কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যায় যা একপ্রকার আপনার অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
  • দুধ-চা উদ্বেগের কারণ হিসেবে ধরা যায়।
  • দুধ চা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
  • দুধ চা আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয়।
  • খালি পেটে দুধ চা খেলে আলসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চা এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চা হলো আমাদের সবারই সুপরিচিত একটি দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে ধরা যায়। কেউ কেউ মনে করে চা না খেলে তো তার দিনটাই ভালো কাটে না। চা রয়েছে অনেক ধরনের যেমন ব্লাক চা, লাল চা, গ্রিন চা , দুধ চা, ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অনেক জনপ্রিয় চা রয়েছে আমাদের দেশে এর মধ্যে সবচেয়ে 

সহজ লাল চা বানানো। গরম পানি করে গরম পানির মধ্যে চাপাতি দিয়ে দিলেই লাল চা তৈরি হয়ে যায় এরশাদ বাড়ানোর জন্য চায়ের মধ্যে গরম মসলা, এলাচ, দারচিনি,গোলমরি্চ, ইত্যাদি মসলা দিয়ে থাকে চায়ের স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য। এই মসলাগুলো চায়ের সাথে বৃদ্ধি করে শুধু তাই নয় বরং চায়ের 

উপকারিতাও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতগুলো চায়ের ভেতরে সবচেয়ে উপকারী হল লাল চা যেটা বিশেষজ্ঞরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। আমরা জানি দুধ চা খেলে আমাদের শরীরের অনেক ধরনের ইফেক্ট ফেলে যেমন গ্যাস্টিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেয় আলসারের মতো রোগ সৃষ্টি করে চীনের 

পরিমাণ বেশি হয়ে গেলেও সর্দিও হতে পারে বলে আসুভ করা যায় । বিশেষজ্ঞদের মতে চায়ের সঙ্গে চিনি না খাওয়াটাই ভালো কারণ চিনতে রয়েছে সুগার যা আমাদের শরীরের সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয় এর ফলে ঘন ঘন প্রসাব ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চায়ে চিনির পরিমাণ যতটুকু না দিলেই নয় ততটুকু দিয়ে খাওয়া উচিত । চা খেলে আমাদের শরীরের এনার্জি অনুভব করি ক্লান্তিবোধ দূর হয়। আমরা হ্যাপিনেস ফিল করে থাকি। চা খাওয়ার উপকারিতা গুলি হলোঃ
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
  • ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • আমাদের দেহের মাইগ্রেন কমাই।
  • আমাদের নার্ভ কে শান্ত করে।
  • আমাদের মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

লেখকের মতামত

চা তো আমরা সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি। চায়ের মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের উপকার যা আমরা এই পোস্টটি করে জানতে পারলাম ও এর ক্ষতিকর দিকগুলো জানতে পেরেছি যে কোন জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয় তা আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী ঠিক তেমনি ক্ষতিকর দিক তাই আমরা সবাই 

নিয়ম মেনে চা খাওয়ার চেষ্টা করব আর দুধ চা খাওয়ার অভ্যাসটি ত্যাগ করা চেষ্টা করব। কারণ দুধ চাই রয়েছে বেশি পরিমাণ ক্ষতি কিন্তু দুধে রয়েছে ঠিক সমপরিমাণ পুষ্টি। আমরা সবাই নিজের শরীরকে ঠিক রাখার জন্য যা করণীয় সেটাই করা উচিত কারণ শরিলি একমাত্র সম্বল। অতিরিক্ত লাল চা খেলে 

শরীরকে কড়া করে ফেলে যার ফলে আপনার পেটে মধ্যে কামড়ানো কামড়ানো ভাব হতে পারে এবং ঠিক পরিমানে যদি খান তাহলে কোন সমস্যাই হবে না বরং আপনার শরীরের জন্য উপকারী। তাই শেষ কথা যে জিনিসই খাবেন নিয়ম মেনে পরিমান অনুযায়ী খাবেন।এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত 

হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url