কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চাচ্ছেন কিন্তু অনেকগুলো ওয়েবসাইট ঘোরাঘুরি করেও এর সঠিক তথ্য বা আপনার মন মত তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি চেষ্টা করব আপনাদের কে খুব অল্প কথার মাধ্যমে কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কপি খেলে কি 
কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
হয়, চিনি ছাড়া কফি খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়, বা খালি পেটে কফি খাওয়া ঠিক কিনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি।

কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কফি এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। অনেক মানুষ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ কফিতে চুমুক না দিলে তার সকালটা ভালো যায় না। কেউ কেউ দিলে তো অনেকবারই কফি অনেক কাপ খেয়ে থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি যে কপিটা খাচ্ছেন যে নিয়মে খাচ্ছেন এটা কি 

আদৌ আপনার শরীরের জন্য উপকারী না ক্ষতি করছে। কফিতে রয়েছে অনেক রকমের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ। এই কফিতে যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি এর অপকারিতা রয়েছে চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কফিতে কি কি উপকারিতা রয়েছে আর অপকারিতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন 


আপনি যদি ঠিক নিয়মে পরিমাণ অনুসারে কফি খেয়ে থাকেন তাহলে হেলথ ও বডি ফিটনেস ঠিক রাখতে খুবই উপকারী দিক পালন করে। কিন্তু এই কফি যদি আপনি নিয়মে থেকেও বেশি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার শরীরে বড় ধরনের ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি ৫০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন 

ইনটেক করে থাকেন তাহলে সেটি আপনার বাড়ির জন্য ভালো হবে। আপনি যদি দিনের ২ থেকে ৩ কাপ কফি খেয়ে থাকেন তাহলে যে কোন রোগের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকবে। কফি স্পেশালিস্ট সিরাজাম মুনিরা এর পরীক্ষা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি যদি দিনে বা নিয়মিত কপি পান করে থাকেন তাহলে ওই ব্যক্তির 

কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি খুব কম থাকে। ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে, আপনার যদি মন খারাপ থাকে তাহলে কফি খেলে আপনার মনকে ডিপ্রেশন হতে ঝুঁকি কমিয়ে আনে। এবং মনকে প্রফুল করে তোলে। আপনার যদি কন্ঠনালীর কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কফি খেলে তা ঠিক হতে সাহায্য করে ও ভালো 
ফলাফল পাওয়া যায়। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে ও সহায়তা করে। ঘুমঘুম ভাবো দূর করতে সহায়তা করে। কাজ করতে করতে একঘেয়েমি হয়ে গেলেও কফি খেলে কাজের উপরে মনোযোগ বসে। আপনি যখন দুর্বল দুর্বল ফিল করবে এক কাপ কফি খেলে আপনাকে এক্সট্রা এনার্জি সাপ্লাই করবে। যা আপনার দুর্বলতা কমিয়ে ফেলে। এবার আসুন জেনে নিয়ে যাক কফির অপকারিতা গুলো কি কি। 

যেমন বাড়তে পারে আপনার পেটের সমস্যা। আপনি যখন কফি খান তখন আপনার পেটের মধ্যে এক ধরনের হরমোন বেরিয়ে আসে যা আপনার পেটে গ্যাস ও এসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই আপনি যদি ওদের একটু কফি খেয়ে থাকেন সেটা পরিমাণের ভিতরে আনার চেষ্টা করুন না হলে আপনারই বিপদ।

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

আমরা সবাই মোটামুটি কফি খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনো ভিতরে রয়েছে অনেক ধরনের যাত। তার মধ্যে ব্লাক কপি সবার কাছে সুপরিচিত একটি নাম। আমরা কমবেশি সবাই বেশিরভাগ ব্লাক কপি খেয়ে থাকি। এই ব্ল্যাক কফিরও আছে উপকারিতা ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এবং তাহলে জেনে নেয়া যাক। ব্ল্যাক কফির উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি। 

সাধারণত কফি তৈরি করা হয় কফির দানার পাউডার ও গরম পানিতে মিশিয়ে সাধারণত ব্ল্যাক কফি তৈরি করা হয়। কেউ কেউ এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য কফির মধ্যে চিনি ও দুধ মিশাই। কিন্তু এখন যদি ব্ল্যাক কফির উপকারিতা নিতে চান তাহলে আপনাকে কফির সঙ্গে কোন কিছু মিশানো যাবে না যেমন দুধ, চিনি, সুগার ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় কোন কিছু। ব্লাক কফির উপকারিতা গুলো
  • হৃদযন্ত্র গুলোকে শক্তিশালী করে তোলে
  • স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
  • যকৃত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
  • পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • মেদ ভুড়ি কমায়
এ ছাড়া আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে ব্ল্যাক কফির মধ্যে তবে এবার চলুন জেনে নিয়ে যা এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো কি কি আমাদের শরীরের উপর প্রভাব ফেলে
  • কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কফি খেয়ে থাকেন তাহলে ভ্রমণের চাপ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এই এজন্যই কফি পরিমাণ অনুযায়ী খাওয়া পরামর্শ দেয়।
  • আপনার শরীরে যদি কফির ভাতটা বেশি হয়ে যায় তাহলে তা পেটে যেয়ে বিভিন্ন হরমোন নিষ্কৃত করে যার ফলে পেটের ভেতরে গ্যাস ও কম লিও ভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • আপনি যদি অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার দেহের প্রয়োজনীয় যেসব খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম লৌহ ও জিংক এ ধরনের খনি শোষণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়াও আরো অনেক জানা অজানা সমস্যা রয়েছে যা আমাদের অজান্তেই ক্ষতি করে থাকেন। তাই আমাদের সকলের উচিত কবে পরিমাণ ঠিক রেখে পান করা যাতে আমাদের ভালোর জন্য খাওয়ার পরে সেটাই আমাদের অসুস্থর কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।

চিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই কফি খেয়ে থাকি। কফির সাদ বাড়ানোর জন্য আমরা তার সঙ্গে চিনি মিস করি। এই চিনি মিস করার ফলে কফির স্বাদ বৃদ্ধি পায় কিন্তু কফির যে গুনাবলি দিকগুলো রয়েছে তা কিছুটা নষ্ট করে ফেলি তা চলুন যিনি ছাড়া কফি খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নিন। আপনি যদি চুরি ছাড়া কফি খেয়ে থাকেন তাহলে সব থেকে এর বড় গুণ হল মেটাবলিজম।

মেটাবলিজম হলো আমাদের শরীরের শক্তির তাপমাত্রা বৃদ্ধি করেছে থাকে তাপমাত্রা।এতে চিনি মিশালে এর গুণাবলী ক্ষমতাটি কমে যায় এবং ক্যাফিন ছাড়াও ক্লোরোজেনিক এসিড সমৃদ্ধ হয়ে থাকে যার ফলে গ্লুকোজের উৎপন্ন কমিয়ে নিয়ে আনে এবং কি যাদের অতিরিক্ত ফ্যাট রয়েছে ফ্যাট কেউ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

সকালে কফি খাওয়ার উপকারিতা

আমরা সবাই সকালে ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি খেয়ে থাকি। এই চা বা কফি আমাদের সকালের ঘুম ঘুম ভাব গায়ে অলস এগুলো দূর করে থাকে। এবং মনকে ফ্রেশ করে তলে অনেকের মতে সকালে খালি পেটে কফি খেলে এর উপকারিতা নাকি বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু খালি পেটে যদি আপনি কফি খান 

তাহলেও হতে পারে আপনার নানা রকম সমস্যা। অনেক গবেষণা করে দেখা যায় যে কফিতে থাকার ক্যাফেস্টল আপনার শরীরের ক্ষতি করে থাকে। খালি পেটে কফি খাওয়ার উপকারিতা থেকে অপকারিতায় রয়েছে আপনার শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে 

উঠে কফি খান তাহলে এই পানীয় পদার্থ শরীরে যে আইন শাসনের ক্ষমতা রোধ করে। অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকে আপনি যে দিনে ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফিন খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার ব্লাড প্রেসার বাড়ার সম্ভাবনা বেশি হয়ে যায়। সারাদিনে একটি মানুষের ২থেকে ৩ কফি খাওয়া ঠিক নয়। কফি 

সঙ্গে যদি কোন খাবার খান তাহলে গ্যাস , এসিডিটি , এছাড়া নানা রকম সমস্যা হতে পারে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন। আপনি যদি এক কাপ কফি খান তাহলে কফি খাওয়ার আগে চার গ্লাস পানি পান করতে হবে। তাই রোগ হওয়ার আগেই সাবধানতা অবলম্বন করেন।

লেখক এর মতামত

আমরা সবাই তো চা কফি খেয়ে থাকি এতে রয়েছে যেমন পুষ্টিগুণ ঠিক তেমনি ক্ষতিকর দিক। তাই আমাদের সবারই উচিত যে কোন জিনিসই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাব না। কারণ যে কোন জিনিসই বেশি খেলে তা আমাদের শরীরের পক্ষে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি করে। আমরা আমাদের নিজের 

ভুলেই আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও অসুখ করে ফেলি যার ফলে আমাদের নানা রকম রোগ হয়ে যায়। কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যা আমাদের শুনলে এনার্জি যোগাযোগ কিন্তু কোন কিছু না খেয়ে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চা বা কফি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য মোটেই ঠিক নয় তাই আমাদের 

এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে এবং সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে যে কোন জিনিসই নিয়ম মোতাবে খেতে হবে নিজে ভালো থাকুন এবং অপরকে ভালো রাখুন। এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url