মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক-মানুষের মন নিয়ে উক্তি

প্রিয় পাঠক এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে মানুষের মন ও আত্মার মধ্যে পার্থক্য কি কি। ও মানুষ কেন পরিবর্তনশীল এবং মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক কেমন। এই বিষয়গুলো নিয়েই আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি হয়তো অনেক ওয়েবসাইট খোঁজাখুঁজি করেও আপনার মন মত তথ্য পাচ্ছেন না। আশা
মন ও মস্তিষ্কের সম্পর্ক-মানুষের মন নিয়ে উক্তি
করি আমার এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার মনের সকল প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনাকে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে তাহলে বুঝতে পারবেন।মনের সম্পর্ক কেমন এবং আত্মার পার্থক্য কি কি এই বিষয়গআবন। তাহলে আর কথাটা বাড়িয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক আজকের বিষয়গুলি ।

মানুষের মন নিয়ে উক্তি

পৃথিবীতে সব থেকে অদ্ভুত জিনিস হচ্ছে মানুষের মন ।কল্পনা রাজ্যের রাজা কে বলা হয় মন যার অসীম ক্ষমতা যা ইচ্ছা তাই করা যায় এই ক্ষমতার মালিক কে বলা হয় মন। আপনি মনকে যতই বিবেক দিয়ে বন্দি করার চেষ্টা করবেন না । কেন তারপরেও সে সকল বাধা পার করে চলে আসবে তার গন্তব্য স্থানে এর নাম মন । এই মন কখনো এক জায়গায় ঠিকভাবে সন্তুষ্ট থাকেনা ছুটে বেড়ায় সারা দুনিয়া কোন দ্বিধা আপত্তি ছাড়া । তাহলে চলুন মন নিয়ে কিছু উক্তি জেনে আসি ।
  • প্রথম কথা মন তোমার কিন্তু নিয়ন্ত্রণ অন্যের ।
  • কোথায় আছে যে মনের দিক থেকে দুর্বল সে কর্ম দিক থেকেও দুর্বল।
  • চিকিৎসকরা সাধারণত যে ভুলটি করে মনের চিকিৎসা না করে দেহের চিকিৎসা করে।
  • মানুষের মন হলো সবথেকে বড় কাঠগড়া।
  • মন দিয়ে মনের কথা ঠিকই বুঝবেন কিন্তু গভীর ভালোবাসা আপনাকে নিরব করে দেবে।
  • আপনার মন যেদিন ক্লান্ত হবে সেদিনই ভেবে নিবেন আপনার মৃত্যু হয়ে গেছে।( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
  • মন একটি স্বাধীনপাখি যাকে বেঁধে রাখার ক্ষমতা কারো নেই।
  • তুমি সাফল্য পেতে চাও মনের বিরুদ্ধে চলে যাও।( কাজী নজরুল )
  • তোমার মনের সব থেকে বড় শত্রু অবিশ্বাস সন্দেহ বেশি কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা 
  • পৃথিবীতে সবথেকে শক্তিশালী দুইটি জিনিস রয়েছে , আইন ও মন । এই মনের কাছে শেষপর্যন্ত আইন কেউ মাথা নত করতে হয়।
  • আপনার মন যখন আকাশে উড়বে,চোখ কান তখন লাটে উঠবে । এটি একটি প্রবাদ বাক্য ।
  • যার মন যত দুর্বল সে ব্যক্তি ততই দুর্বল।
  • চোখকে যদি মন শাসন করতো, তাহলে চোখ আর ভুল করত না।
  • আপনি যাকে যত তাড়াতাড়ি ভালবাসবে তাকে তত তাড়াতাড়ি ভুলবেন।
  • মনের কাছে চাওয়ার আগে বিবেকের সাথে পরামর্শ করুন।
মানুষের মন নিয়ে উক্তি দিতে গেলে সারারাত শেষ হয়ে যাবে তবু উক্তি ফুরাবে না। মন মানে নেই অকুল প্রত্যাশা আশা আবদার ইচ্ছাহীন ভাবনা ইত্যাদি। যে মনকে কন্ট্রোল করতে পারবে সে তবুও তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করবে । মানুষের মন একটি উড়ন্ত পাখির মতো বসন্ত বাতাসের মতো। কখন কি করে 

মন নিজেই ঠিক করতে পারে না। একটি মনের মধ্যে থাকে কষ্ট দুঃখ ভালোবাসা ভালোলাগা ইমোশন ইত্যাদি এই নিয়ে গঠন হয় মন। যার একটি সুন্দর মন আছে তাকে বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবথেকে ধনী ব্যক্তি। কারণ ধনী ব্যক্তিরও সুন্দর একটি মন থাকে না। একটি সুন্দর মন হলো রাতের অন্ধকার।
পথের মধ্যে জোনাকির আলো। এর কারণ হচ্ছে আপনার পথ যতই অন্ধকার হোক না কেন, সফলতা একদিন আসবেই যদি আপনার মনটা ভালো হয়। আজ পর্যন্ত কেউ মনের উপরে জোর করে কিছু করতে পারেনি। আর কোনদিন কেউ জোর খাটিয়ে কিছু করতেও পারবেনা ।

মন ও আত্মার পার্থক্য

অনেকের মনে প্রশ্ন ঘুরে মন ও আত্মার পার্থক্য কেমন। আমরা আগেই বিশ্লেষণ করে এসেছি মানুষের মন কেমন। মানুষের মন হচ্ছে একটি খালি আকাশে পাখি ওড়ার মত, যাকে বাতি আর ক্ষমতা কার নেই। আমরা আসলে মনের উপরে জোর খাটি যে কাজগুলো করছে যায়। তারা সবগুলোই কমবেশি 

ব্যর্থ হয়ে যায়। এর কারণ হলো মনের উপরে জোর খাটিয়ে কিছু করা সম্ভব নয় । তবে জেনে নেয়া যাক মন ও আক্তার মধ্যে কি এমন পার্থক্য রয়েছে যা আমাদের বিবেকে নাড়া দেয়। মনে কোন নির্ধারিত নাম 
নেই তবে আপনি যেটা ভাবতে ভাবতে অচিনপুরে উড়াল লেন সেটাই হলো মন । ভাবনা ছাড়া মনে হল 

মূল্য নেই। প্রথমে আসি আত্মার বিষয় আত্মা কি আত্মা হল আত্মশক্তি আত্মবান আত্মা এইরকম সিলেবাস। কিন্তু আর তাকে আরো পরিষ্কারভাবে বুঝতে গেলে আমরা যেমন খাবার খায় তখন খাওয়া শেষে বলে ওঠে অনেক ভালো হয়েছে। এই কথাটা বলার মানে ওই খাবারটি খাওয়ার পরে আমাদের 

আত্মা টি রয়েছে সেটি সন্তত অনুভব করে তখন সেখান থেকে তারিফ উৎপন্ন হয় । এখন আত্মার বিষয়টা হলো আমরা ভাল কোন কিছু উপলব্ধি করে । তার গুরুত্ব ও শান্তি অনুভব করে থাকে বা প্রকাশ করি এটাই আত্মার কাজ । এবার আসুন মন কি এই যে আমরা যে ধরনের ভাবনা চিন্তা দুঃখ আবেগ 

ইত্যাদি এ ধরনের চিন্তাভাবনা বা অনুভব করি । যেমন উদাহরণস্বরূপ আমি একটু সকালে কাজ করলাম কিন্তু কাজটি ঠিক করিনি । এই কাজটি করার পরে আমি যে দুঃখ প্রকাশ টি করছি বা আফসোস করছি এটি হলো সাধারণত মনের কাজ। এক কথায় বলতে গেলে কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট হলে সেটি আত্মার সাথে তুলনা করা যায় ।এবং কোন কিছুতে কষ্ট পেলে অনুতপ্ত হলে দুঃখ প্রকাশ করলেন এগুলোকে মনের সঙ্গে তুলনা করা হয় ।

মানুষের মন পরিবর্তনশীল কেন

আমরা সবাই জানি একটি মানুষ কোনদিনই এক থাকেনা । কারণ মানুষের মন পরিবর্তনশীল, ক্ষণিকের জন্যই আপনার মন ভালো লাগাই হাবুডুবু খাচ্ছে আবার একটু পরে তা অথৈয় কষ্টে সমুদ্রে ডুব দিচ্ছে । বিভিন্ন কারণে অনেক মানুষ হতাশায় ও খারাপ লাগানো নামক একটি ভয়ানকরোগ ভুগছে। অনেক 

মানুষ শারীরিক সমস্যা , পারিবারিক সমস্যা , ভালোবাসা জড়িত সমস্যা, ইত্যাদি এছাড়াও অনেক কারণে প্রতিনিয়ত ভুগছে বিষণ্ণতার রোগে । কেউ আবার কারণ ছাড়া এই রোগের রোগী । এই বিষন্নতা আবার বেশিক্ষণ থাকে না কারণ আপনি যে সমস্যাকে যত ফেস করবেন তার উপর থেকে যতই মায়া 

উঠে যাবে । তার প্রমাণস্বরূপ আপনি একটি মেয়েকে ভালোবাসেন । তার জন্য হাত কাটেন এবং তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিন অটোমেটিকলি ১৫ দিনের মাথায় আপনি দেখেন তাকে ভুলতে সক্ষম হবে । তখন আপনার মন শুধু একটাই ভাববে আমি তার জন্য হাত কাটলাম কেন । এই কথা ভাবতে ভাবতে 

আপনি তার কথাই ভুলে যাবেন । তখন আপনার মনটা আরো অন্যদিকে কাজ করবে না । নিজের দিকেই ভাবাবে সবসময় । তাই আগে নিজের দিকে ভাবুন কারণ নিজের মনের দিকে গুরুত্ব দিয়ে পড়েছি আর গুরুত্ব দেওয়া উচিত । একটা মানুষ কখন পরিবর্তন হয় সেই সময় । সকালে উঠে 

আপনাকে আমি আমার যেটা সবচেয়ে বেশি মূল্যবান কাজ সেটার একটু আগে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপরে আসতে আসতে আপনার দিনটির কাছ থেকে কি করবেন এগুলো গুছিয়ে ফেলতে হবে । কিভাবে একটি মানুষ যখন তার নিজেকে মোটিভেশন করে ফেলে । তখন সে মানুষটি পরিবর্তন হয়ে 

যায় । এবং মানুষ কি পরিবর্তন হতে চাইলে খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলে । এজন্যই বলা হয় মানুষ পরিবর্তনশীল মানুষের মন পরিবর্তন হয়ে যায় । কোন কাজ করতে থাকলে সেই মানুষের মন পরিবর্তন হয়ে যায় ।

মানুষের মন কোথায় থাকে

এই মনটি নেই অনেকেই অনেক রকম প্রশ্ন । মন টি থাকে কোথায়, এই মন নিয়ে রচিত হয়েছে শত শত কবিতা ও গান । অবশেষে জানা যায় মনে আমাদের প্রাণ । তবে সবার মাঝে থেকে যাই একটি প্রশ্ন মনের স্থান কোথায় ।আপনি তো বিশ্বাস করেন যে আপনার একটি মন আছে , এই মনটি প্রত্যেকটি 

মানুষেরই রয়েছে । একটি বাচ্চা যখন তার মায়ের গর্ভে আসে, তখন সেই বাচ্চাটি মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তার মস্তিষ্কের গঠন সৃষ্টি হয় । মস্তিষ্কের গঠন সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তার মানুষের বিকাশ শুরু হয়ে যায় । তবে সে পৃথিবীতে জন্ম নেয়ার পরের পাঁচ বছর পর থেকে যে ভালোলাগা সৃষ্টি হয় তার মধ্যে 

থাকে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন পরিবেশ প্রকৃতি ইত্যাদি এগুলো সঙ্গে তার ভালোবাসার ক্ষতি হয়।
এই চিন্তাধারা গুলি এক সময় মানসিক চিন্তাধারা ও চেতনা সৃষ্টি করে। যা আমাদের মনের আনা গোনা সৃষ্টি হয় তবে এই নিয়মটাই থাকে মস্তিষ্কের ভিতরে । এই মনের স্থান বুকে নয়। এই মন টি এক প্রকার 

স্মৃতির সঙ্গে জড়িত। যার স্মৃতিশক্তি যত ভালো খেয়াল করে দেখবেন। তার মনবল তত বেশি। স্যারেরা বলে থাকে মন দিয়ে পড়াশোনা করা তাহলে ভালো হবে । এখন প্রশ্ন মন দিয়ে পড়াশোনা করলে পড়াশোনা টা কোথায় ছিল। তাহলে উত্তর অবশ্যই মস্তিষ্কে , তাহলে মনের সঙ্গে মস্তিষ্কের সম্পর্ক রয়েছে । তাহলে মনের স্থান মাথার ভিতরে যা মস্তিষ্কের সাথে সম্পর্কিত ।

শরীর ও মনের সম্পর্ক

প্রথমত বলা যায় শরীরে মন দুটোই ভিন্ন জিনিস । একটি সাথে অন্যটির কোন মিল নেই । তার প্রমাণস্বরূপ শরীরের রোগ হলে সেটি ঠিক করা যায় । কিন্তু মনে রোগ হলে হাজার ওষুধ খেলেও তা ভালো হবে না । এজন্য প্রবাদ বাক্যতে উল্লেখ করা হয়েছে। মনের রোগ বড় রোগ একবার ধরলে আর 

সহজে ছাড়ে না । এবার চলুন মন আর শরীরের সঙ্গে কি সম্পর্ক জেনে নেওয়া যাক। আগেই বলেছি মন ও শরীর দুটোই অবিচ্ছিন্ন। অংশ হিসেবে ধরা হয়। শরীর ও মনকে বুঝতে হলে প্রথমত একটি মানুষকে নিজের আয়ত্তে আনতে হবে। তার উভয় চলা ফেরা কথাবার্তা উপলব্ধি করতে হবে । যেমন আমরা কষ্ট 

আবেগ দুঃখ ভালোবাসা ইত্যাদি এগুলো অনুভব করে থাকি এই কাজগুলো মনের দেওয়া সারা । আর বাংলাদেশের কাজ করে থাকি যেমন টাকা উপার্জনের জন্য কাজ করি এই কাজ করতে যে শক্তি ক্ষয় হয় এগুলো হল শারীরিক কাজ যা আমরা শরীর নিয়ে করে থাকি । এবার আসুন শরীর ও মনেরপ্রমাণিত 

কাজে । মনে করুন আপনি একটি কাজ করছেন । কাজটি করতে করতে প্রচুর ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সে ক্ষেত্রে আপনার শরীর একটু দুর্বল হবে শরীর দুর্বল হওয়াটাই শারীরিক বা শরীর গত উদাহরণ। এবার আসন মনের দিকটি নিজে আপনি ক্লান্ত হলেন এটি আপনার ব্রেন থেকে মনকে উথিত করল যার ফলে আপনি অনুভব করলে যে আপনি ক্লান্ত এই অনুগ্রহ করাটাই মনের কাজ ।

লেখক এর মতামত

আমাদের সবারই একটি মন রয়েছে যা প্রতিনিয়তই নানা রকম বায়না ধরে ফেলে । এর ফলে আমাদের করতে হয় নানা রকম কষ্ট। কিন্তু আমরা যে কষ্টটা করি এর ফলে আমাদের মনে একমাত্র দায়ী না বরং মস্তিষ্ক এর সঙ্গে দায়বদ্ধ রয়েছে । এই পোস্টটি করে বুঝতে পারলাম যে মন আত্মা দেহ শরীর ব্রেন 

প্রত্যেকটির সঙ্গে রয়েছে । একটি উপলব্ধি করলে প্রত্যেকটি অঙ্গ উপলব্ধি করে থাকে । যা আমাদের শরীরের সঙ্গে সম্পর্কিত । তবে মনকে কন্ট্রোল করা নিজের দায়িত্ব। কিন্তু কয়জনা আমরা গঠন করতে পারি । অবশেষে বলা যায় নিজের মনকে কন্ট্রোল করা নিজের দায়িত্ব ।

এই পোস্টটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে আপনার পরিচিত দের কাছে শেয়ার করুন এবং আপনার মূল্যবান কমেন্টটি করে আমাদেরকে জানিয়ে যান যে আপনার কেমন লাগলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url